এফএনএস বিদেশ : ইউক্রেইনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর স্লেভিনস্কে রাশিয়ার ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্রে নয় বেসামরিক নিহত হয়েছেন। বাখমুতের পশ্চিমে অবস্থিত এই শহরটির কয়েকটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবন ও অন্যান্য লক্ষ্যে এসব ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে, এতে নয়জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি আরও ২১ জন আহত হয়েছেন বলে আঞ্চলিক গভর্নর পাভলো কিরিলেঙ্কো ইউক্রেইনের জাতীয় টেলিভিশনকে জানিয়েছেন। তিনি জানান, মোট সাতটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়েছে। ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভøদিমির জেলেনস্কির দপ্তরের ভাষ্য অনুযায়ী, ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে একটি ভবনের উপরের দুটি তলা ভেঙে পড়েছে, উদ্ধারকারীরা রাতভর তল্লাশি চালানোর সময় সত্তোরর্ধ একটি নারীকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেছেন। একটি শিশুকে উদ্ধার করার পর হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়। এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা ইউক্রেইনের যুদ্ধে বেশ কিছু বেসামরিক নিহত হলেও রাশিয়া বারবার বলছে, তারা বেসামরিকদের লক্ষ্যস্থল করে না। এদিকে বাখমুতের যুদ্ধক্ষেত্রে রুশ বাহিনীর তীব্র গোলা হামলার মুখে ইউক্রেইনের সেনারা কিছু এলাকা থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে বলে শুক্রবার নতুন গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয় এবং এর প্রধান ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনার গ্রæপের কথা উল্লেখ করে যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, রাশিয়া দোনেৎস্ক-ওবøাস্টের শহর বাখমুতে নতুন করে তুমুল হামলা চালাচ্ছে। রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয় এবং ওয়াগনার গ্রæপের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার হওয়ায় হামলা গতি পেয়েছে। এই হামলার ইউক্রেইনীয় বাহিনী কয়েকটি এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নিয়ে সেগুলো ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। বাখমুতে কয়েকমাসের দীর্ঘ প্রাণঘাতী লড়াইয়ে রাশিয়ার হয়ে লড়ছে ওয়াগনার গ্রæপ। তবে ওয়াগনার বাহিনীর নেতা রুশ সামরিক বাহিনীর কাছ থেকে বেশি সাহায্য-সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন। ব্রিটিশ গোয়েন্দা তথ্য বলছে, ইউক্রেইন বাহিনী এখনও বাখমুতের পশ্চিমাঞ্চলে প্রতিরক্ষা অবস্থান ধরে রেখেছে। তবে সেখানে তারা গত ৪৮ ঘন্টায় রাশিয়ার তুমুল গোলা হামলার শিকার হয়েছে। আর রুশ ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনার এখন বাখমুতের কেন্দ্রস্থলের দিকে অগ্রসর হওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে। তাদেরকে এগিয়ে যেতে সহায়তা করছে রুশ প্যারাট্রুপাররা। গত কয়েক মাস ধরে বাখমুত দখলের চেষ্টা করছে রাশিয়া। তাদের লক্ষ্য পুরো দোনেৎস্ক অঞ্চল নিয়ন্ত্রণে নেওয়া। বাখমুত দখল করতে পারলে সেই লক্ষ্যের অনেকটাই কাছে পৌঁছে যাবে রাশিয়া। তাছাড়া, নগরীটি দখল করতে পারলে গত ৮ মাসের লড়াইয়ে এটিই হবে রাশিয়ার বড় জয়।