বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ০৮:০৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
পাকিস্তানে এবার সাইবার হামলার তৎপরতা, প্রথম পদক্ষেপে ব্যর্থ ভারতীয় হ্যাকাররা ভারত-পাকিস্তানকে সংযমী হওয়ার আহŸান চীনের গাজার বাসিন্দাদের কাছে অবিলম্বে মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে হবে : রেড ক্রস ২০২৭ সালের মধ্যে রুশ গ্যাস আমদানি বন্ধের প্রস্তাব ইইউ’র আজ মস্কোতে পুতিন-শি বৈঠক, আলোচনা হবে ইউক্রেন যুদ্ধ ও যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে রাশিয়ার ঐতিহাসিক বিজয় দিবস প্যারেডে থাকবেন শি ও লুলাসহ ২৯ বিদেশি নেতা গাজায় ইসরাইলের অভিযানের বিরোধিতা চীনের রোমাঞ্চকর ম্যাচে বার্সাকে হারিয়ে ফাইনালে ইন্টার যুদ্ধের প্রভাবে অনিশ্চিত বাংলাদেশের দুই গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ পাকিস্তানে নিরাপদেই আছেন নাহিদ-রিশাদ

ইউক্রেইনে হামলা রাশিয়ার

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৯ মে, ২০২৩

এফএনএস বিদেশ : রাজধানী কিইভ ও ইউক্রেইনজুড়ে একের পর এক বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে রাশিয়া, এতে ধ্বংসযজ্ঞের পাশপাশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে ইউক্রেইনীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি জার্মানিকে হারানোর বার্ষিকী উদযাপনে মস্কোর প্রস্তুতির মধ্যেই গত রোববার দিবাগত রাতে এসব হামলা চালানো হয়। গতকাল সোমবারের প্রথমদিকে উইক্রেইনীয় কর্মকর্তারা জানান, কিইভে রাশিয়ার হামলায় অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেইনের কৃষ্ণসাগরীয় বন্দর শহর ওদেসার একটি খাদ্য গুদামে আগুন ধরে যায়। ইউক্রেইনের অন্য কয়েকটি অঞ্চলেও বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মস্কো আজ মঙ্গলবারের বিজয় দিবসের প্রস্তুতি নিচ্ছে, তার মধ্যেই নতুন এসব হামলা চালানো হল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি জার্মানিকে পরাজিত করেছিল সোভিয়েত লালফৌজ (রেড আর্মি)। বিজয়ের এ বার্ষিকী প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের জন্য একটি বড় অনুপ্রেরণা। তিনি লালফৌজের চেতনা জাগিয়ে ‘নব্য নাৎসিবাদের খপ্পরে পড়া’ ইউক্রেইনকে পরাজিত করার প্রত্যয় জানিয়েছেন। ইউক্রেইনের অবরুদ্ধ শহর বাখমুতের প্রতিরক্ষায় নিয়োজিত শীর্ষ জেনারেল জানিয়েছেন, আজ মঙ্গলবারের মধ্যে শহরটির দখল নেওয়ার জন্য রাশিয়া গোলাবর্ষণের তীব্রতা বাড়িয়েছে। এর আগে শহরটি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করার নেওয়ার পরিকল্পনা বাদ দেয় রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গ্রæপ। কিইভের মেয়র ভিতালি ক্লিচকো এক টেলিগ্রামে পোস্টে জানিয়েছেন, কিইভের সোলোমিয়ানস্কিতে বিস্ফোরণে তিনজন আহত হয়েছেন এবং এবং সিবাতোশিনে ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ পড়ে আরও দুই জন আহত হয়েছেন। কিইভের সামরিক প্রশাসন জানিয়েছে, নগরীর একটি বেসামরিক ঝুলিয়ানি বিমানবন্দরের রানওয়েতে ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ পড়েছে, এতে অগ্নিকাÐের ঘটনা না ঘটলেও জরুরি পরিষেবা সেখানে কাজ করছে। তারা আরও জানিয়েছে, কিইভের কেন্দ্রস্থলের শেকচেন্কিভিস্কি এলাকায় ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ সম্ভবত একটি দোতলা বাড়িতে আঘাত হেনেছে, এতে বাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কেউ হতাহত হয়েছে বলে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো খবর হয়নি। রয়টার্সের প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, তারা কিইভে অনেকগুলো বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এয়ার ডিফেন্স হামলা প্রতিহত করেছে। কিইভে কতোগুলো ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তা পরিষ্কার হয়নি। ওদেসার সামরিক প্রশাসনের মুখপাত্র সের্হিও ব্রাচ্চুক তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে যে ছবিগুলো পোস্ট করেছেন সেগুলোতে বড় একটি স্থাপনায় পুরোপুরি আগুন জ¦লতে দেখা গেছে। রাশিয়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্যান্য স্থাপনার পাশাপাশি এই খাদ্যগুদামটিতে আগুন ধরে যায় বলে জানিয়েছেন তিনি। ইউক্রেইনের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ এলাকায় কয়েক ঘণ্টা ধরে বিমান হামলা সতর্ক সংকেত বাজার পর দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসন অঞ্চল ও দক্ষিণপূবাঞ্চলীয় জাপোরিজিয়া থেকেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনার খবর পাওয়া যায়। জাপোরিজিয়া অঞ্চলে রাশিয়ার নিয়োজিত স্থানীয় কর্মকর্তা ভøাদিমির রগোভ জানিয়েছেন, অঞ্চলটির ছোট শহর ওরিখিভে অবস্থান নিয়ে থাকা ইউক্রেইনীয় সেনা ও তাদের একটি গুদামে রুশ বাহিনী হামলা চালিয়েছে। তবে এ প্রতিবেদন রয়টার্স স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করতে পারেনি বলে জানিয়েছে। পৃথকভাবে রাশিয়ার বাহিনীগুলো গত রোববার ইউক্রেইনের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় সুমাই অঞ্চলের আটটি এলাকায় গোলাবর্ষণ করেছে বলে অঞ্চলটির সামরিক প্রশাসন এক ফেইসবুক পোস্টে জানিয়েছে। গত দুই সপ্তাহে রাশিয়ার অধিকৃত এলাকাগুলোর, বিশেষভাবে ক্রাইমিয়ার, লক্ষ্যস্থলগুলোতেও হামলা জোরদার করেছে ইউক্রেইন। এসব হামলায় নিজেদের কোনো ভ‚মিকার কথা স্বীকার না করে ইউক্রেইন বলেছে, শত্রæর অবকাঠামো ধ্বংস করা তাদের দীর্ঘ প্রত্যাশিত স্থল আক্রমণের প্রস্তুতি। রাশিয়াকে ইউক্রেইনের কথিত নব্য নাৎসিদের থেকে রক্ষার জন্য রাশিয়া ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রæয়ারি প্রতিবেশী দেশটিতে সামরিক অভিযান শুরু করে, যাকে তারা ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ বলে অভিহিত করেছে। অপরদিকে কিইভ ও তার পশ্চিমা মিত্ররা রাশিয়ার এই অভিযানকে ‘বিনা উস্কানিতে ভ‚মি দখলের জন্য করা’ আক্রমণ বলে অভিহিত করেছে। এই আক্রমণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় লড়াইয়ের সূচনা ঘটিয়েছে এবং এতে কয়েক হাজার মানুষ নিহত ও লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com