রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ০৫:০৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

ইউক্রেন যুদ্ধে এবার দূরপাল­ার ক্ষেপণাস্ত্র পেতে আলোচনা

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২৩

এফএনএস আন্তর্জাতিক: রাশিয়ার সামরিক বাহিনীকে ঠেকাতে ইউক্রেন দীর্ঘদিন ধরে তার পশ্চিমা মিত্রদের কাছে দূরপাল­ার ক্ষেপণাস্ত্র চেয়েছে। জেলেনস্কির উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াক জানিয়েছেন, কিয়েভ তার মিত্রদের সঙ্গে এই দাবি নিয়ে আলোচনা করছে। সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। ইউক্রেনের একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে মিখাইলো পোদোলিয়াক গত শনিবার জানিয়েছেন, যুদ্ধে রাশিয়ান সামরিক বাহিনীর প্রধান অস্ত্র হলো কামান। বর্তমানে, তারা মূল যুদ্ধক্ষেত্র আক্রমণ করতে এটি ব্যবহার করছে। রাশিয়ার এই অস্ত্রের ব্যবহার কমাতে চাইলে ইউক্রেনের দূরপাল­ার ক্ষেপণাস্ত্র দরকার। তাদের আর্টিলারি ও গোলাবারুদের ভাণ্ডার মিসাইল দিয়ে ধ্বংস করা যেতে পারে। মিখাইল পোডোলিয়াক উলে­খ করেছেন, রাশিয়ান সেনাবাহিনীর ক্রিমিয়াতে এরকম ১০০টিরও বেশি সংরক্ষণাগার রয়েছে। তিনি জানান, তাই প্রথমেই মিসাইল নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। দ্বিতীয়ত, এই আলোচনা খুব দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এদিকে, রাশিয়ান ভাড়াটে ওয়াগনার গ্র“প পূর্ব ইউক্রেনের ডোনেটস্ক অঞ্চলের ব্লাহোডাটন গ্রামের দখলের দাবি করেছে। তবে এই দাবি নাকচ করে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী গত রোববার জানিয়েছে, তারা ওই গ্রামে রুশ আক্রমণ প্রতিরোধ করে। যুক্তরাষ্ট্র ওয়াগনার গ্র“পকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে। গত শনিবার তারা মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে ব্লাহোদাতন গ্রাম দখলের দাবি জানায়। পরে এ নিয়ে নিয়মিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেন জানায়, শনিবার দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তবে তাদের সেনারা ব্লাহোদাতনের বিভিন্ন এলাকায় ‘হানাদারদের’ আক্রমণ প্রতিহত করে। তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্স উভয় পক্ষের এই বিবৃতির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। প্রধান যুদ্ধক্ষেত্র, বিশেষ করে বাখমুত শহরের আশপাশে ডোনেটস্ক অঞ্চলে কী ঘটছে তাও পরিষ্কার নয়। কারণ, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এই শহরকে ঘিরে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ চলছে। অন্যদিকে, ওয়াগনার গ্র“পের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তারা একটি এলাকা দখল করার আগে তাদের সাফল্য নিশ্চিত করেছে। ইউক্রেন জানিয়েছে, বাখমুত শহরে রাশিয়ার আক্রমণ এখনও শেষ হয়নি। বিশেষ করে শহরের যেসব এলাকায় সম্মুখযুদ্ধ চলছে, সেখানে পরিস্থিতি আরও জটিল। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গত শুক্রবার একই কথা বলেছেন। এদিকে ডোনেটস্কের গভর্নর পাভলো কিরিলেঙ্কো জানিয়েছেন, গত শনিবার ওই অঞ্চলে রাশিয়ার বিমান হামলায় চার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১৭ জন। নিহতদের মধ্যে একজন বখমুতের বাসিন্দা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com