এফএনএস আন্তজার্তিক ডেস্ক: এক হাজারের বেশিদিন ধরে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে। এরই মধ্যে যুদ্ধে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়তে রাশিয়ায় অন্তত ১০ হাজার সেনা পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া। এসব সেনার একটি অংশ ইতোমধ্যে কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। এখন প্রশ্ন উঠেছে, ইউক্রেনের পক্ষে এবার কী পশ্চিমা দেশগুলো সেনা পাঠাবে। ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স¤প্রতি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ব্রাসেলস যান। সেখানে ইইউ শীর্ষবৈঠকে নেতাদের সঙ্গে ইউক্রেন নিয়ে আলোচনা করেছেন তিনি। এর আগে চলতি বছরের শুরুর দিকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রেঁা প্রস্তাব দিয়েছিলেন, পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনে সেনা পাঠাক। ইউরোপের অন্য দেশগুলোর নেতারা এই প্রস্তাবে রাজি ছিলেন না। তারা বারবার বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের তীব্রতা বাড়ুক, তা তারা চান না। ম্যাক্রেঁার সঙ্গে আলোচনার পর জেলেনস্কি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেন, ইউক্রেনে সেনা পাঠানো নিয়ে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রেঁা প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তার সেই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। শান্তির পথে যেতে গেলে এটা জরুরি। জেলেনস্কি আরও বলেন, আমরা মনে করি, শান্তির জন্য কিছু নিশ্চয়তা থাকা দরকার। অন্যদিকে ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল মার্ক রুটে ইইউ শীর্ষবৈঠকের আগে বলেন, ইউক্রেনের যা দরকার, সেটা তাদের দেওয়াটা জরুরি। তাহলেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই যুদ্ধে জিততে পারবেন না। তবে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি কীভাবে হতে পারে, তা নিয়ে রুটে কোনো কথা বলেননি। এ ছাড়া জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস বলেছেন, ইউক্রেনকে যথাসম্ভব সামরিক সহায়তা দেওয়া দরকার। ইউক্রেনের জানানো দরকার, শান্তিচুক্তিতে তারা কীভাবে পেঁৗছাতে চায়। শলৎস মনে করেন, ইউক্রেনের উপর কোনো কিছু চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়। তিনি বলেন, ট্রাম্পের সঙ্গে স¤প্রতি ফোনে কথা বলে আমার মনে হয়েছে, ইউক্রেন নিয়ে একসঙ্গে একটা ইতিবাচক নীতি নিয়ে চলা সম্ভব হবে।