এফএনএস : ইউক্রেনের মারিউপোল থেকে স্থলমাইল অপসারণকারী দাতব্য সংস্থা ‘দ্য হ্যালো ট্রাস্ট’ টুইটে লিখেছে- রোববার তাদের একজন সুপারভাইজারের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে। ওই শহরে কোনো যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। নেই কোনো পানি ও বিদ্যুৎ। দোকানে নেই কোনো খাবার। জাহাজ, বিমান, কামান থেকে গুলি করা হচ্ছে। মানুষের সংখ্যা এরই মধ্যে প্রান্তসীমায় এসে পৌঁছেছে। পরিস্থিতি বর্ণনা করার মতো শব্দ জানা নেই। চারদিকে এক জীবন্ত নরক যেন। এর আগে শনিবার সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে রাশিয়া-ইউক্রেন। কিন্তু ঘোষণা পর্যন্তই সার! যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়ে অব্যাহতভাবে হামলা চালাতে থাকে রাশিয়ান বাহিনী। এ কারণে মারিউপোল, ভলনোভাখা শহর থেকে সাধারণ মানুষকে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হয়। ঠিক, এ কারণেই দ্য হ্যালো ট্রাস্টের সুপারভাইজারের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। চারদিকের পরিস্থিতি এবং নিজেদের অবস্থান নিয়ে ওই ট্রাস্ট টুইট করে। যুদ্ধবিরতি ঘোষণা দিয়ে হামলা অব্যাহত রাখার জন্য পুতিনের উদ্দেশ্য নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বৃটিশ উপ-প্রধানমন্ত্রী ডমিনিক রাব। মারিউপোলে দ্বিতীয় দফায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি: দ্বিতীয় দফায় ইউক্রেনের মারিউপোল শহরে সাময়িক যুদ্ধবিরতি পালিত হচ্ছে। স্থানীয় সময় রোববার সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এই যুদ্ধবিরতি পালিত হওয়ার কথা। এ সময়ে সেখানে আটকে পড়া সাধারণ মানুষকে উদ্ধার করার কথা। মূলত, এ উদ্দেশ্যেই এই যুদ্ধবিরতি। লন্ডনের অনলাইন গার্ডিয়ান এ খবর দিয়ে বলছে, শনিবার প্রথম দফা সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিল রাশিয়া-ইউক্রেন। কিন্তু ওইদিন বেসামরিক লোকজনকে উদ্ধার শেষ পর্যন্ত স্থগিত করা হয়। কারণ, মারিউপোল শহরকে ঘিরে রেখেছে রাশিয়ান সেনারা। তারা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলেও হামলা বন্ধ করেনি। এ জন্য উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়। বিষয়টি শনিবারই মারিউপোল সিটি কাউন্সিল পরিষ্কার করে। শহরের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানকারীদের আবার সেখানে ফিরে যেতে বলে সিটি কাউন্সিল। উদ্ধারের জন্য পরবর্তী তথ্যের জন্য তাদেরকে সেখানে অবস্থান করার পরামর্শ দেয়। এদিন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্সিয়াল উপদেষ্টা ওলেকসি আরেস্তোভিচ টেলিভিশনে বলেন, অনেক এলাকায় যুদ্ধবিরতি মানছে না রাশিয়া। ফলে উদ্ধার অভিযানে বেসামরিক লোকজন সাড়া দিতে পারছে না।