দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা এবার রাফা শহরের অভ্যন্তরে পুরোপুরি ট্রাঙ্ক ও সজোয়া যান নিয়ে ঢুকে পড়েছে। এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষনের মাধ্যমে নিরীহ ও নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদেরকে হত্যা করছে। আল জাজিরা টেলিভিশন এর খবরে বলা হয়েছে ইসরাইলি বাহিনীর সাথে প্রবল প্রতিরোধযুদ্ধ অব্যাহত রেখেছে হামাস যোদ্ধারা তারা তাদের সক্ষমতা সামর্থ দিয়ে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর বিরুদ্ধে চরম প্রতিরোধ গড়ে তুল্লেও অত্যাধুনিক ট্রাঙ্ক ও সামরিক সাজোয়া বহরের মুখে স্থানীয় প্রযুক্তি নির্ভর অস্ত্রের মাধ্যমে টিকতে না পেরে গোপন, অপ্রকাশ্য ও গেরিলা হামলা পরিচালনা করছে দখলদার বাহিনী। রাফার পরিস্থিতি এতটুকু আতঙ্কিত ও মৃত্যু তৈরী করেছে যে দখলদার বাহিনী ঘোষনা দিয়েছে রাফা শহরে কোন জন মানুষ কে দেখলে (দেখা মাত্রই) গুলি করা হবে এবং হচ্ছেও তাই যে কারনে পুরো রাফা শহরে শ্মশানে পরিনত হয়েছে। অর্ধৈক অংশ দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা দখলে নিয়েছে। সর্বত্র লাশ আর লাশ, রক্ত আর রক্তের ছোপ, হামাস যোদ্ধারা উড়ন্ত হামলা ও পরিচালনা করে চলেছে। এদিকে গাজা উপত্যকায় প্রতিরোধ হামলার পাশাপাশি হামাস যোদ্ধারা এবার ইসরাইলের অভ্যন্তরে রকেট হামলা পরিচালনা করেছে। আল জাজিরা টেলিভিশন জানিয়েছে হামাস যোদ্ধারা যখন রকেট হামলা পরিচালনা করছিলো তখন ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিব সহ অপরাপর শহরগুলোতে সাইরেন বাঁজতে থাকে। দখলদার বাহিনীর গত চব্বিশ ঘন্টার হামলায় চব্বিশ ঘন্টায় শতাধীক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গাজার হামাস নিয়ন্ত্রীত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে এ পর্যন্ত দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হামলা প্র্রায় সাতাশ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গাজার হাসপাতাল গুলোর অধিকাংশ ধ্বংস হওয়ায় চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না। এদিকে হামাস ইসরাইল যুদ্ধকালীন সময়ে বিশেষ করে দখলদার ইসরাইল যখন হামাস নির্মূলে নির্বিচারে নিরীহও নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের গণহত্যা করে চলেছে সেই মুহুর্তে ইউরোপের তিনদেশ ফিলিস্তিনিকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ইউরোপের দেশ তিনটি হলো স্পেন, নরওয়ে ও আয়ারল্যান্ড, পশ্চিমা মিডিয়া, এ এফপি ও বয়টার্স এর খবরে বলা হয়েছে ইসরাইল শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত কুটনৈতিক প্রচেষ্টা চালায় যেন তারা ফিলিস্তিনিকে স্বীকৃতি দেয় কিন্তু ইসরাইলের সব ধরনের চেষ্টা প্রচেষ্টা ও দেন দরবার ব্যর্থ হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ফিলিস্তিনিকে রাষ্ট্র হিসেবে তারা স্বীকৃতি দিয়েছে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ আবার জরুরী বৈঠক করেছে উক্ত বৈঠকে নিরাপত্তা পরিষদ অবিলম্বে রাফা হত্যাকান্ড ও সামরিক অভিযান পরিচালনা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত ইসরাইলকে জানিয়ে দিয়েছে কিন্তু বাস্তবতা হলো ইসরাইল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্তকে অমান্য করে হামলা অব্যাহত রেখেছে যেমনটি আন্তর্জাতিক আদালতের নির্দেশনা তারা মানছে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই বলেদাবী করেছে যে ইসরাইল রাফায় সীমা লঙ্ঘন করছে না এবং তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্দেশনা মেনে চলছে এবং গণহত্যা পরিচালনা করছে না। মিশর এবং ইসরাইলের সম্পর্ক বর্তমান সময়ে দারুন সংঘাত ময়। দেশ দুটির সেনা বাহিনী একে অপরের ভূ-খন্ডে গুলি বর্ষনের পর এবার মিশরে ইসরাইলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতের স্মরনাপন্ন হলো। মিশরে এবং ইসরাইলের মধ্যে যে কোন সময়ে বড় ধরনের সহিংসতার ঘটনা ঘটতে পারে এমন আশঙ্কা করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলো। এদিকে উত্তর ও পশ্চিম গাজাতে ও গতকাল দখলদার ইসরাইলি বাহিনী একাধিকবার বিমান হামলা পরিচালনা করেছে। হিজবুল্লাহ ও ইসরাইলি সেনাদের মাঝে গুলি বিনিময় চলছে। রাফা শহরে অবরুদ্ধ রাখায় ও রাফা ক্রসিং বন্ধ করায় গত পনের দিন যাবৎ মিশর থেকে রাফায় কোন ধরনের ত্রান সামগ্রী যাচ্ছে না আর এ কারনে যুদ্ধের আতঙ্কের মাঝে না যেতে পেরে মৃত্যুমুখে পতিত হচ্ছে রাফা বাসি। এদিকে হামাসের সশস্ত্র শাখা আল কাসেম ব্রিগেড জানিয়েছে গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরাইলি বাহিনী প্রতিনিয়ত এবং প্রতিমুহুর্ত হামাস যোদ্ধাদের দ্বারা প্রতিরোধ হামলার সম্মুখিন হচ্ছে এবং হামাসের পাতা ফাঁদে পড়ে প্রান হরাচ্ছে দখলদার সেনারা।