এফএনএস: টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমার ময়দানে সাত মুসলির মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে গতকাল শনিবার দুপুর পর্যন্ত বার্ধক্যজনিত ও শ্বাসকষ্টজনিত কারণে তাদের মৃত্যু হয়। টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে সিলেটের জৈন্তাপুর থানার হেমুবুটে গ্রামের মো. নূরুল হক (৬৩) শ্বাসকষ্টজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। একই সময়ে গাজীপুর মহানগরীর ভুরুলিয়া এলাকার আবু তৈয়ব ওরফে আবু তালেব (৯০) বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। গত শুক্রবার ভোরে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাজি মোহাম্মদ হাবিবউল্যাহ হবি (৬৮)। সন্ধ্যায় মৃত্যুবরণ করে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর থানার মধ্যে কামার গ্রামের আক্কাস আলী সিকদার (৫০)। এ ছাড়া রাত আড়াইটার দিকে মৃত্যুবরণ করেন খুলনার ডুমুরিয়া থানার মলমলিয়া গ্রামের মোফাজ্জল হোসেন খান (৭০)। বার্ধক্যজনিত কারণে গতকাল শনিবার ভোর ৫টার দিকে মৃত্যুবরণ করেন নরসিংদীর মনোহরদী থানার মাছিমপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান হবি (৭০)। এরপর সকাল সাড়ে ছয়টায় মৃত্যুবরণ করেন চট্টগ্রাম সদর থানার রাওজান এলাকার আবদুল রাজ্জাক (৭০)। ওসি আশরাফুল বলেন, ইজতেমা ময়দানে তাদের জানাজা সম্পন্ন হয়। পরে তাদের লাশ নিজ নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে, বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিন গতকাল শনিবারও তুরাগ তীরে মুসলিদের ঢল অব্যাহত রয়েছে। গতকাল শনিবার বাদ ফজর থেকে ইজতেমা মাঠে আখলাক, ইমান ও কোরআন-হাদিসের আলোকে বয়ান চলছে। দেশ-বিদেশের খ্যাতনামা আলেমরা বিভিন্ন বিষয়ে বয়ান করছেন। ইবাদত-বয়ানে মশগুল হয়ে আছেন মুসলিরা। ইজতেমা আয়োজক কমিটির মুরুব্বি প্রকৌশলী মাহফুজ জানান, প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় দিনের শুরুতে বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা খোরশিদুল হক।