শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৪৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
দেশের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে গেছে হাসিনার স্বৈরতন্ত্র: কূটনীতিকদের ইউনূস ভারতে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ-হত্যার প্রতিবাদে শাটডাউন কর্মসূচির ঘোষণা চিকিৎসকদের নলতা আহসানিয়া মিশন রেসিডেনসিয়াল কলেজের অধ্যক্ষের দুর্নীতি ॥ উত্তাল নলতা ॥ শিক্ষক কর্মচারীরা মতবিনিময় করলেন ডাঃ শহিদুল আলম ও চেয়ারম্যান আজিজুর রহমানের সাথে মহামারীর দ্বারপ্রান্তে গাজা আলোচনায় থাইল্যান্ড ॥ বন্দী থাকসিন মুক্ত হরিনগর বাজারে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদের মাঝে নগদ অর্থ প্রদান পাইকগাছায় একটি বাঁশের সাঁকো পারাপারে এলাকাবাসীর চরম ভোগান্তি মাথাভারি হচ্ছে প্রশাসনের ॥ বাড়ছে সরকারের দু:চিন্তা ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদ এর পদত্যাগ দাবীতে-মানববন্ধন চাম্পাফুল ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত

ইজারা মূল্যসহ অন্যান্য করাদী পরিশোধ করেও জলমহল বুঝে পেল না গ্রহীতা

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২১ জুন, ২০২২

আশাশুনি প্রতিনিধি \ আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের বেউলা মৌজার বেউলা খাল জলমহলের ইজারা মূল্যসহ অন্যান্য করাদী পরিশোধ করেও জলমহলের দখল বুঝে পেল না গ্রহীতা কুঁন্দুড়িয়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি সঞ্জয় মন্ডল। উপজেলা ও ইউনিয়ন ভুমি অফিসের কর্মকর্তাদের উদাসীনতায় একদিকে যেমন নিঃস্ব হচ্ছে সঞ্জয় মন্ডলের মত মৎস্যজীবীরা অন্য দিকে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতায় হয়রানি ও মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে এলাকার কৃষক ও মৎস্য চাষিরা। ভুমি অফিসের কর্মকর্তাদের এই উদাসীনতার সুযোগে এক শ্রেনীর জলমহলদস্যুরা ইজারা উপযুগী এবং উন্মুক্ত জলমহল গুলো জবর দখলে নিয়ে নেটপাটা এমনকি বেড়িবাঁধ দিয়ে মৎস্য চাষ করে এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করছে। অধিকাংশ ক্ষেতে দেখা গেছে এ সকল জলমহলদস্যুদের পর্দার আড়ালে থেকে সহযোগিতা করে থাকে দু’এক জন প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতা। জানা গেছে, উপজেলা জলমহল ব্যবস্থাপনা কমিটির ০৬/০৭/২০২০ তারিখের সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক বেউলা মৌজার ০১নং খাস খতিয়ানের সাবেক ৪১, ৫৫৩, ৫৩৭, ১৮১১, ২১১১, ২১৫৬ ও ২১৩৫ দাগের ১৩.৯৫ একর খাস সম্পত্তি ১৪২৭ থেকে ১৪২৯ বঙ্গাব্দ অর্থাৎ ৩ বছর মেয়াদে কুঁন্দুড়িয়া মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি সঞ্জয় মন্ডলের অনুকূলে সর্বচ্ছ মুল্যে ইজারা প্রদান করা হয়। ৩১.৪৪.৮৭০৪.০০০.০১০.০০৩.২০-৬২৫ নং স্মারকে ইউনিয়ন সহকারী ভুমি কর্মকর্তা, তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ইজারা গ্রহীতার আনুকুলে জলমহলটির দখল বুঝিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। তারপরও সরকারি খাতে ইজারা মূল্যসহ অন্যান্য করাদী পরিশোধ করে জলমহল বুঝিয়ে দেয়া হয়নি গ্রহীতাকে। সর্বশেষ সঞ্জয় মন্ডল ইজারাকৃত খাস জলমহল থেকে অবৈধ দখলদার কুল্যা গ্রামের সিরাজুল ইসলাম, বেউলা (গাজীর হাট) গ্রামের তুহিন গাজী, ফজলুর রহমান ও লাভলুকে উচ্ছেদ পূর্বক দখল বুঝে পেতে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রেক্ষিতে এবং সরকারি খাতে পরিশোধ কৃত ইজারা মূল্যসহ অন্যান্য করাদী ফিরে পেতে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তার দপ্তরে বারবার ধর্ণা দিয়ে অবশেষে গত ১৬জুন সহকারী কমিশনার ভূমি শাহিন সুলতানার নির্দেশে ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ও এসিল্যান্ড অফিসের সার্ভেয়ার দুজনে মিলে সঞ্জয় মন্ডলকে দখল বুঝিয়ে দিতে সরেজমিনে আসতে গিয়ে মাঝপথ থেকে ফিরে গিয়ে ইজারা গ্রহীতা সঞ্জয় মন্ডলকে উলে­খিত খাস সম্পত্তিতে বৈউলা গ্রামের মৃত নূর মোহাম্মদ এর ছেলে নাসির উদ্দিন (বর্তমান ঠিকানা কাটিয়া, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা) কর্তৃক জেলা জজ আদালত সাতক্ষীরাতে দেং আঃ- ৪১/২০১৫ নং মোকদ্দামায় ২নং আদালতে সরকার পক্ষে রায়ের ডিগ্রীর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে নালিশি ভূমি বাবদ বিগত ইং ০৩/০১/২০১৯ এবং পুনরায় ১৪/১১/২০২১ তারিখের স্থিতিবস্থা আদেশের কথা বলেন। বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুল হক ডাবলু বলেন, এভাবে প্রকৃত ইজারা গ্রহীতাকে দখল বুঝিয়ে না দিয়ে অবৈধ দখলদারের দখলে বা অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে বেড়িবাঁধ বা নেটপাটা বসিয়ে মাছ চাষ করার কারনে বর্ষা মৌসুমে এলাকার জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি চরম পর্যায়ে উপনীত হয়। গুটি কয়েক স্বার্থ লোভী ব্যক্তির ইন্ধনে এসব অবৈধ দখলদাররা দাপটের সাথে দিদারছে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যায়। এসব খাস সম্পত্তি বা জলমহলে একটা নাম মাত্র মামলা ঠুকে দিতে পারলেই তাদের ধারে কাছে আর কেউ ঘেঁষে না। বর্ষা মৌসুমে এলাকা নিমজ্জিত হওয়ার পূর্বেই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা অতিব জরুরী হয়ে পড়েছে। এবিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) শাহিন সুলতানা প্রতিবেদকে জানান, আমার জানামতে উলে­খিত জলমহলটিতে হাইকোর্টের স্থিতিবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ আছে। যার কারণে আমরা কোন পদক্ষেপ গ্রহন করতে পারছি না। প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় এ সকল জলমহলদস্যুদের কারনে বর্ষা মৌসুমে ফসল, মৎস্য ঘের, রাস্তাসহ ঘর বাড়ি তলিয়ে গেলে দায়ভার কে বা কারা নিবে? তাছাড়া জবর দখলের সুবিধার্থে ঐ সব নাম মাত্র মামলার স্থিতিবস্থা ভ্যাকেট করতে হাইকোর্টে যাওয়ার দায়িত্ব কে নিবে সরকার পক্ষ না জনগণ ? স্থানীয় সচেতন মহল এ ধরনের একাধিক প্রশ্নের উত্তর জানতে চায় দায়িত্বে থাকা সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাদের কাছে। এদিকে উলে­খিত জলমহলের দখল বুঝিয়ে দিতে অথবা সারকারি খাতে পরিশোধকৃত ইজারা মূল্যসহ অন্যান্য করাদীর সমপরিমাণ টাকা ফেরৎ পেতে যথাযথ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সঞ্জয় মন্ডল।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com