দৃষ্টিপাত রিপোর্ট ॥ প্রাতিষ্ঠানিক কোন শিক্ষা নয়, পড়ালেখা ও যেতমন হইনি, স্বীকৃতি কোন কারিগরি প্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রী নেই, অথচ অবলিলায় ইজিবাইকক এর ইঞ্জিন তৈরী, ফিটিং সার্ভিসিং বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রাংশ তৈরী এবং মেরামত করে চলেছেন, অকেজো, ভাঙ্গাচোরা, ভাংড়ির ঘরে যাওয়ার উপক্রম হওয়া গাড়ী নিজের মনন, মেধা আর শৈলীর মাধ্যমে চলাচলের উপযুক্ত করে চলেছেন। নিজ উদ্ভাবনী চিন্তায় রং করা সহ সব ধরনে ফিটিং এ অসাধারন সৃষ্টি করে চলেছে। ইজিবাইকের পাশাপাশি ইজিবাইক সাদৃশ্য গাড়ী, সহ টমটম জাতীয় যান তৈরীতে তার অসাধারন দক্ষতা ইতিমধ্যে তাকে অনন্য গুনের ও সৃষ্টির অধিকারীতে পরিনত করেছেন। হ্যাঁ আমরা এতোক্ষনে যার কথা বলছিলাম তিনি হলেন আজিজুল ইসলাম স্বাধীন, শহরের খুলনা রোডস্থ সদর হাসপাতাল সড়কের জনতা গ্যারেজের স্বত্ত্বাধিকারী, কামালনগরের বাসিন্দা স্বাধীনের সৃষ্টিশীলতা এবং নিজের দক্ষতা তাকে বিশেষ ভাবে আলোচিত, আলোকিত করেছে। এই প্রতিনিধি ইজিবাইক তৈরীর কারিগর জনতা গ্যারেজে দীর্ঘসময় অবস্থান করে প্রত্যক্ষ করেন সুনিপন ভাবে নিজের মেধায় তৈরী করছেন ইজি বাইকের বিভিন্ন অংশ, গ্যাস আর বিদ্যুৎ শক্তি ব্যবহারের বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রাংশ তৈরী এবং লোহা লক্করের সংমিশ্রনে তৈরী করছেন বিভিন্ন ধরনের অংশ, একাধিক সহকারী নিয়ে গড়ে তুলেছেন যান তৈরীর এক ভুবন। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও এই সৃষ্টিশীল কারিগর জানান তিনি হঠাৎ করেই বা সহসাই ইজিবাইক এবং টমটম তৈরীর দক্ষতা অর্জন করেন নাই, দীর্ঘ পরিশ্রম, কাজের প্রতি মনোযোগী, এক কথায় বলা যায় নিরবিচ্ছিন্ন অধ্যাবসায়, ধৈর্য এবং পরিশ্রম। তিনি তার আজকের অবস্থানের জন্য বিশেষ ভাবে কৃতজ্ঞতা জানান প্রথম জীূবনের অর্থাৎ কাজ শেখার ওস্তাদ হাবিবের প্রতি। তিনি জানান আমসার ওস্তাদ হাবিব আমাকে আজকের এই পর্যায়ে আসছে সহযোগিতা করেছেন। তিনি তার ওস্তাদের প্রতি ঋনী। সুন্দর সুন্দর যান নির্মানের জনক হয়েও স্বাধীন বলেন তিনি এখনও সব কিছু শিখেনি বা জানেন না। জানার এবং শেখার শেষ নেই। তিনি সহকারীদের সহযোগিতা গ্রহন করলেও সর্বদা নিজ হাতে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দবোধ করেন। ইঞ্জিন এমন এক মাধ্যম যা ত্র“টি পূণ থাকলে সড়কে দূর্ঘটনায় আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা থেকেই যায়। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আমাদের দেশে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই,হাতের কাজ জেনে কেউ বেকার থাকে না এবং অর্থকষ্টে পড়ে না। এমনও সময় আসে বা এমন মুহুর্তের সাথে তিনি পরিচিত যেদিনরাত পনের ষোল ঘন্টা একাগ্রতার সাথে কাজ করেছি বা করছি। আগামীতে তিনি প্রত্যাশা করেন ইজিবাইক সংশ্লিষ্ট ও অন্যান্য যানবাহনে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ উৎপাদনের কারখানা তৈরীর তবে এক্ষেত্রে পুজিই শেষ কথা। দেশে প্রতিভার শেষ নেই কেউ কাজে ব্যবহার করে আবার কেউ তা নয়, আজিজুল ইসলাম স্বধীন এমনই এক প্রতিভা যিনি জেলা শহর সাতক্ষীরায় তৈরী করে চলেছেন যানবাহন। সাতক্ষীরার এমন স্বাধীন আরও সৃষ্টি হোক এই প্রত্যাশা।