বাংলাদেশ নতুন দিন অতিবাহিত করলো। আলোয় আলোয়, আনন্দস্রোতে, উৎসবে, উচ্ছ¡াসে গতকাল দেশবাসি বিশেষ দিন পার করেছে। স্বপ্ন বাস্তবায়নের মহেন্দ্রক্ষন দেখেছে দেশের সতের লক্ষাধীক জন মানুষ। কেউ সরাসরি আবার কেউ কেউ ইলেকট্রিক মিডিয়ার কল্যানে। বাংলাদেশ গতকাল নিজেকে বিশেষ ভাবে পরিচিতি পেয়েছে। কেবল এই জাতি নয় বিশ্বের কোটি কোটি জন মানব দেখেছে বাংলাদেশের অমর সৃষ্টি। সত্যিকার অর্থে আমাদের জন্য পদ্মা সেতু ছিল অতি কাঙ্খিত অথচ অসম্ভব বিষয়। আর সেই অসম্ভব বিষয়কে সম্ভব করেছে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের উন্নয়ন বিশেষ করে অবকাঠামোগত উন্নয়নে বরাবরই বিশ্ব ব্যাংক সহ বিদেশী দাতা সংস্থাগুলোর অংশ থাকে। সরকারের পক্ষ হতে বিশ্ব ব্যাংক সহ অপরাপর আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার সহযোগিতা প্রত্যাশা করে। কিন্তু আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলোর নানান ধরনের অসম্মান জনক শর্ত মেনে নিতে পারেনি সরকার। আর তাই সেদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন প্রয়োজনে আমরা আমাদের নিজেদের অর্থ দিয়ে পদ্মা সেতু নির্মান করবো। কিন্তু কোন অবস্থাতেই কোন ধরনের অসম্মান জনক শর্ত মানবো না। প্রধানমন্ত্রীর সেদিনের প্রতিশ্র“তি, সংকল্প, দৃঢ়তা আর ষড়যন্ত্রকারীদের চক্রান্তের মহান সৃষ্টি পদ্মা সেতু। সারা বিশ্ব গতকাল কেবল পদ্মা সেতুর সুদৃশ্য অবকাঠামো কেবল দেখেনি বিশ্ববাসি অতি বিস্ময়ের সাথে দেখেছে লাল সবুজের বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সৃষ্টিকে। বাংলাদেশের সম্মান, মর্যাদা আর সক্ষমতার পদ্মা সেতু দৃশ্যমান এবার যাতায়াত আর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন সহ অর্থনীতিতে বিশেষ গতি সঞ্চার করবে, আর এই সুফল ভোগীর তালিকায় সাতক্ষীরার বিশলক্ষাধীক জনসাধারন এর অবস্থান থাকবে।