পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি \ খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনিতে ডোবা থেকে উদ্ধারকৃত ইব্রাহীম মোড়ল হত্যা মামলার প্রধান আসামী ওবায়দুলাহ জোয়াদ্দার(৫২) কে থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সে উপজেলার শ্রীকন্ঠপুর বর্তমানে বান্দিকাটি এলাকার ওহাব জোয়াদ্দারের ছেলে। বুধবার (৪ মে) রাত আনুমানিক সাড়ে ১২ টার দিকে থানা অফিসার ইনচার্জ জিয়াউর রহমানের সার্বিক দিক নির্দেশনায় পাইকগাছা থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এর আগে গত বছরের ২১ ডিসেম্বর কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আব্দুল আলীম মামলার অপর আসামী উপজেলার খাটুয়ামারী বেতবুনিয়া আবাসনের বাসিন্দা আকবর ফকির (৩৯ কে উপজেলার আদালত সংলগ্ন মোটর সাইকেল স্ট্যান্ড থেকে আটক করেছিল। প্রসঙ্গত, গত ৬ নভেম্বর বেলা ১১ টার দিকে পাইকগাছা থানা পুলিশ উপজেলার কপিলমুনির সলুয়া এলাকার একটি মাঠের মধ্যে ডোবা থেকে অজ্ঞাত পরিচয় হিসেবে ইব্রাহীমের লাশটি উদ্ধার করে। পরে তার বড় ভাই ইসমাইল হোসেন পত্রিকায় প্রকাশিত খবর ও ছবি দেখে লাশটি তার ভাইয়ের বলে শনাক্ত করে। ইব্রাহীম মোড়ল তালা উপজেলার বালিয়া গ্রামের কাচের আলী মোড়লের ছেলে। পুলিশ জানায়, ক্ষেত মালিক আছাদুল ইসলাম প্রতিদিনের ন্যায় ঘটনাস্থল নিজ ক্ষেত পরিচর্যায় সেখানে গিয়ে ডোবায় ভাসমান লাশটি দেখে প্রথমে কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ি ও পরে থানা পুলিশে খবর দেন। পরে বেলা ১১ টার দিকে থানা ফুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এরপর মিডিয়ায় লাশের পরিচয় নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে থানা পুলিশ লাশের পরিচয় প্রকাশ করে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে পাইকগাছা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। যার নং-৪, তারিখ ০৬/১১/২১ ইং। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আব্দুল আলীম জানান, মামলায় দীর্ঘ তদন্তে প্রথমে সন্দেহভাজন আসামী হিসেবে আকবর ফকিরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা জানিয়ে ২২ ডিসেম্বর পাইকগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে হাজির করা হলে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেয়। এতে ঘটনায় ওবায়দুলাহর জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত ও ভ্যান চুরির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে ঘটনার দিন তারা দু’জন ইব্রাহীমকে ঘটনাস্থলে নিয়ে একজন তার পা ও অপরজন গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করে লাশটি ওই ডোবায় ফেলে দেয় বলে জানিয়েছিল। এরপর থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। তবে ঘটনার পর থেকে সে পলাতক ছিল। সর্বশেষ গোপন সংবাদেও ভিত্তিতে পুলিশ তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এবিষয়ে পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জিয়াউর রহমান বলেন, ওবাইদুলা উপজেলার বান্দিকাটি গ্রামে আনুমানিক রাত ১২ টার দিকে মোবাইল চুরি করতে গেলে এলাকাবাসী তাকে ধাওয়া করে। পরবর্তীতে পুলিশের সহায়তায় তাকে আটক করে। এছাড়াও তার নামে পাইকগাছা,তালা, আশাশুনি, ড়ুমুরিয়া থানায় ডাকাতি, অস্ত্র, হত্যাসহ ১৬ টি মামলা রয়েছে।