দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ দখলদার ইসরাইলি বাহিনী নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের উপর নির্বিচারে বিমান হামলা সহ স্থল হামলা পরিচালনা করে হত্যা করে চলেছে নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের। হামাস ইসরাইল যুদ্ধ ছয়মাসপূর্ণ হওয়ার মধ্যদিয়ে গোটা বিশ্ব ব্যবস্থায় অমানবিক রাষ্ট্র হিসেবে খ্যাত ইসরাইল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। দখলদার বাহিনীর নির্মমতা আর নিষ্ঠুরতা এমন পর্যায় অতিক্রম করছে যে বিশ্ব মানবতা ইসরাইলকে ইতিমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের কসাই হিসেবে অবহিত করেছে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ইসরাইল হামাসযুদ্ধ বিরতি অর্থাৎ গাজায় যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব পাশ করলেও দগখলদার ইসরাইল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের যুদ্ধ বিরতি প্রস্তাব কোন ভাবেই মানতে নারাজ এবং ফিলিস্তিনিদের উপর প্রতিনিয়ত নির্বিচারে বিমান হামলায় হত্যা করে চলেছে। এদিকে জাতিসংঘ এবার আরও একটি অতিগুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব পাশ করেছে। প্রস্তাবটিতে বলা হয়েছে ইসরাইল নিরীহ এবং নিরস্ত্র বেসামরিক ফিলিস্তিনি নারী পুরুষকে হত্যা করে চলেছে। ইসরাইলের এই হত্যা দমন পিড়ন এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্র ঐক্যবদ্ধ বিধায় সদস্য রাষ্ট্র গুলোর প্রস্তাব বিশ্বের কোন দেশ যেন ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি না করে। জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ আনীত এই প্রস্তাবে ইতিমধ্যে সদস্য রাষ্ট্র গুলো সমর্থন জানিয়েছেন। প্রস্তাবের পক্ষে বাংলাদেশ ওভোট প্রদান করেছে। বিশ্বের নির্যাতিত, নিষ্পেষিত মানবতার পক্ষে বাংলাদেশের অবস্থান বিধায় বিশ্বের শতশত কোটি মানবতা বাংলাদেশ কে ব্যাপক সমর্থন করেছে। প্রশংসায় ভাসছে বাংলাদেশ এদিকে গতকালও হামাসও ইসরাইলি বাহিনীর সাথে খান ইউনিস ও রাফা শহরে ব্যাপক যুদ্ধ হয়েছে। খান ইউনিসের তথ্যা মধ্য প্রাচ্যের অন্যতম বৃহত্তম হাসপাতাল আল সিফা ধ্বংসের পর এবার মসজিদ গুলো ধ্বংস করার পর একের পর এক বসত বাড়ীতে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী ব্যপক হামলা শুরু করলে হামাস যোদ্ধারা প্রতিরোধ হামলায় লিপ্ত হয়। দখলদার ইসরাইলি বাহিনী গত ছয় মাসেফিলিস্তিনিদের অন্ত সত্তর ভাগ বসতবাড়ী আশি ভাগ মসজিদ এবং ষাটভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে। গাজার হামাসনিয়ন্ত্রীত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে গত ছয় মাসে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর নির্মমতায় অন্তত তেত্রিশ হাজারের বেশী ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এবং বহুসংখ্যক ফিলিস্তিনি চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যু বরন করেছে। বর্তমান রোজার দিন গুলোতে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হামলা এতটুকু প্রকট ও প্রবল আকার ধারন করেছে যে রোজাদার ফিলিস্তিনিরা ইফতারি করতে ঘরের বাইরে বের হওয়ার সাহস পাচ্ছে না কারন ইফতার সংগ্রহ ও বিতরন কালে বার বার দখলদার ইসরাইল বিমান হামলা ও গুলি বর্ষন করে নিরীহ রোজাদার ফিলিস্তিনিদেরকে একের পর এক হত্যা করে চলেছে। সমগ্র গাজা উপত্যকা বর্তমান সময়ে দুর্ভিক্ষাবস্থা বিরাজ করছে এবং মৃত্যুকুপে পরিনত হয়েছে। এমন কোন দিন নেই যে দিনে গাজায় ফিলিস্তিনিরা ইসরাইলের বিমান হামলা ও গুলি বর্ষনে প্রাণ হারাচ্ছে না এবং অভূক্ত থাকায় মৃত্যু মুখে পতিত হচ্ছে না। গতকাল কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা জানিয়েছে হামাস ইসরাইল যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব এবং আলোচনা এখনও পর্যন্ত শেষ হইনি গতকাল ও মিশরের রাজধানী কায়রোতে কাতার, মিশর, হামাস ও ইসরাইলের প্রতিনিধিরা যুদ্ধ বিরতি নিয়ে আলোচনা করেছে। ধারনা করা হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেহেতু গাজায় যুদ্ধ বিরতির পক্ষে সে কারনে ইসরাইলের পক্ষ হতে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়াটা কঠিন বিষয়ে পরিনত হবে। হামাস ইসরাইলের যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে সমগ্র বিশ্ব ব্যবস্থা তথা বিশ্বের শত শত কোটি মানবতা হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া ইসরাইল যে কোন সময়ে ইরান কর্তৃ হামলার শিকার হতে পারে এমনটি নিজেই জানিয়েছে ইসরাইল এদিকে হিজবুল্লাহ ইসরাইলের সাথে যুদ্ধকরতে নতুন আরও একটি ফ্রন্ট খুলেছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।