দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর গণহত্যা থেমে নেই। গাজার বিভিন্ন জনপদে মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে সঙ্গী করে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা বিমান হামলা সহ স্থল হামলার মাধ্যমে গণহত্যা গ্রেফতার ও লূটপাট পরিচালনা করছে। সব ধরনের মানবতা বোধকে বিসজর্ন দিয়ে অমানবিকতাকে সঙ্গী করে দখলদার ইসরাইল বাহিনী হামলা ও হত্যা করছে না। ইতিমধ্যে রাফা শহর হতে তিন লক্ষাধীক অধিবাসি প্রাণ বাঁচাতে শহর ছেড়েছে। রাফার সীমান্ত পাড়ি দিয়ে অবিসিনিয়া মিশরে প্রবেশ করছে। মিশরের পক্ষ হতে আবারও ইসরাইলকে হুশিয়ারী উচ্চারন করে বলেছে অবিলম্বে রাফা হামলা বন্ধ করা না হলে তার জন্য ইসরাইলকে চরম খেসারত দিতে হবে। উল্লেখ্য গতসাত মাসের অধিক সময় যাবৎ দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা গাজার সর্বত্র গণহত্যা পরিচালনা করলেও মিশরে তীব্র নিন্দা বা প্রতিবাদ না জানালেও যুদ্ধ বিরতি মধ্যস্থতা করে চলছিলেন কিন্তু রাফা হামলা নিয়ে মিশর তীব্র প্রতিক্রিয়া, নিন্দা ও হামলা বন্ধের আহবান জানাচ্ছে। এদিকে কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা জানিয়েছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর ক্রমবর্ধমান বিমান হামলায় গাজা মৃত পুরীতে পরিনত হয়েছে। গাজা উপত্যকার অধিকাংশ বসতবাড়ী ধ্বংস করেমাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। গাজার উত্তরাঞ্চলে দখলদার বাহিনীর সদস্যরা নির্বিচারে বিমান হামলা পরিচালনা করে শতশত ফিলিস্তিনিকে হত্যা করছে। হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া আবারও বলেছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর কাছে কোন অবস্থাতেই হামাস আত্মসমর্পণ করবে না। ফিলিস্তিনি জাতিকে স্বাধীন এবং সর্বাভৌম রাখতে ও করনে হামাস যোদ্ধারা অকাতরে বুকের রক্ত ঝরাবে। হামাস প্রধান সহ নেতারা মিশর এর কায়রো মিশন ব্যর্থ হওয়ার পর কাতারে ফিরেছে এবং বর্তমান সময়ে কাতারে অবস্থান করছে। এদিকে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা ইসরাইলের মর্যাদা ও সম্মানের প্রতিক হিসেবে বিবেচিত ও ইসরাইলি সেনা বাহিনী এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় যে ট্রাঙ্ক নিয়ে গর্ব করে সেই মহা মর্যাদাপূর্ণ ট্যাঙ্ক মারকাভা ট্যাঙ্ক ধ্বংস করেছে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা। কাতার ভিত্তিক আল জাজিরা টেলিভিশন জানিয়েছে হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসিরুল্লাহ ঘোষণা দিয়েছে হিজবুল্লাহ দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় নিজেদের উদ্ভাবনী প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরী করা ক্ষেপনাস্ত্রের মাধ্যমে ইসরাইলের মারকাভা ট্যাঙ্ক ধ্বংস করেছে। হিজবুল্লাহ প্রধান আরও ঘোষনা দিয়ে বলেছে আগামী দিন গুলোতে হিজবুল্লাহ উদ্ভাবনী বিভিন্ন ধরনের সামরিক সরঞ্জাম ব্যবহারে মাধ্যমে দখলদার ইসরাইলকে বিভিন্নমুখি স্থাপনা ও সামরিক ক্ষেত্রে হামলা পরিচালনা করবে। ইরান ইসরাইল এর দীর্ঘ বিবাদ, বিরোধের বহিঃপ্রকাশ ছিল ইরান কর্তৃক ইসরাইলের ভূ-খন্ডে হামলা, উক্ত হামলার পর ইরান এবার প্রকাশ্যে ঘোষনা দিয়ে বলেছে যে ইসরাইল এর জন্য আগামী দিনগুলোতে কঠিন ও করুন পরিনতি অপেক্ষা করছে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়তুল্লাহ খোমেনী বলেছেন ইসরাইলকে ধ্বংস ও জব্দ করতে ইরান এবার পারমাবিক বোমা তৈরী করবে আর উক্ত পারমানবিক বোমাই ইসরাইলের জন্য করুন পরিনতি বয়ে আনবে। উল্লেখ্য ইরান প্রকাশ্যে পারমানবিক বোমা তৈরীর কথা বলার অর্থ এমন নয় তো যে ইতিমধ্যে ইরান পারমানবিক বোমা তৈরী করে ফেলেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভ চলছে তো চলছেই। দখলদার ইসরাইলি বিরোধীতায় অবতীর্ণ হয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও। ইতিমধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে মার্কিন পুলিশ। রাফা হামলা অব্যাহত রাখায় জাতিসংঘ) আবারও ইসরাইলকে হুশিয়ারী করে বলেছে অবিলম্বে গাজার বেসামরিক জনসমষ্টি হত্যা বন্ধ করতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনা বাহিনীর একজন মেজর ইসরাইলি নীতি গ্রহন করায় পদত্যাগ করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনা বাহিনীর মেজর হ্যারিসন ম্যান বলেন ইসরাইলকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পরিপূর্ণ ভাবে সমর্থন প্রদান করায় তিনি তার প্রতিবাদে নিজ বাহিনী হতে পদত্যাগ করলে বিশ্ব নেতৃত্ব ইসরাইলের গণহত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার ভাবে অবস্থান নিয়েচেন। দক্ষিন আফ্রিকা আবারও গাজায় বেসামরিক নাগরিক হত্যা ও বসতবাড়ী ধ্বংস করার বিষয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের নজরে নিয়ে আসলো। দখলদার বাহিনী গাজা উপত্যকাকে পরিপূর্ণ শশ্মানে পরিনত করতে ইতিমধ্যে শিক্ষক, সাংবাদিক, বিজ্ঞানী, সংস্কৃতিক কর্মি, খেলোয়াড় সহ সব পেশার প্রতিনিধিদেরকে হত্যা করেছে। গত সাতমাসে অন্তত পাঁচ শতাধীক ফিলিস্তিনি চিকিৎসককে হত্যা করেছে ইসরাইলি বাহিনী।