দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ ইসরাইলে ইরানের হামলার পর থেকে বিশ্বময় আতঙ্ক আর উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছিল এবং ইসরাইল পাল্টা হামলার ঘোষনা দিয়ে উত্তেজনার পারদ আরও বৃদ্ধি করে। ইতিহাসের নজিরবিহীন হামলার শিকার ইসরাইল এতোদিনে কেবলমাত্র বিশ্বের দেশে দেশে ইরানের দুতাবাসে হামলা এবং হত্যা একই সাথে ইরানের সেনা বাহিনীর উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদেরকে হত্যাকান্ড চালিয়ে আসছিল নিজ ভূমিতে ফিলিস্তিনিদেরকে পরাধীন করে রাখা ছাড়া ও তাদেরকে নির্বিচারে হত্যাকান্ড চালিয়ে আসছিল সর্বশেষ গত সাত অক্টোবরের পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত দখলদার অমানবিক ইসরাইল গাজায় নির্বিচারে বিমান হামলা সহ গণহত্যা চালিয়ে আসছে। সেই ইসরাইল নিজেই বর্তমান সময়ে হামলার চরম শিকার। দখলদার ইসরাইল নিজে হামলার শিকার হয়ে ইরানে পাল্টা হামলার ঘোষনা দিলে ইরানের পক্ষ হতে তাৎক্ষনিক ভাবেই জানান দেওয়া হয় যে ইসরাইল ইরানে হামলা পরিচালনা করলে মুহুর্তের মধ্যে ইসরাইলের ভূ-খন্ডে পুনরায় হামলা পরিচালনা করা হবে এবং এই হামলা হবে অতি ভয়াবহ এবং মর্মান্তিক। গত কয়েক দিনে অবশ্য ইসরাইল নিজের অবস্থান পরিস্কার করে বলেছে ইসরাইল অবশ্যই পাল্টা হামলা পরিচালনা করবে কিন্তু গতকাল আন্তর্জাতিক মিডিয়া গুলোতে প্রকাশিত খবরা খবরে বলা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ হতে ইসরাইলকে ইরানে হামলা পরিচালনায় নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। তারপরও ইসরাইলের হামলা কে উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। ইসরাইল কর্তৃপক্ষ সহ ইসরাইল সংশ্লিষ্টদের পক্ষ হতে বলা হচ্ছে ইরানে ইসরাইলের হামলা কোন অবস্থাতেই স্বাভাবিক হামলা হবে না অবশ্যই সেই হামলা হবে চরম বিপর্যয়কর এমনকি পারমানবিক বোমার ব্যবহার ঘটাতে পারে ইসরাইল। এদিকে গাজা উপত্যকাতেও চলছে হামাস যোদ্ধাদের প্রতিরোধ যুদ্ধ। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সাথে হামাস যোদ্ধাদের প্রতিরোধ হামলায় দৃশ্যতঃ বিপর্যস্থ ইসরাইলি বাহিনী। ইসরাইলের ভু-খন্ডে ইরানের হামলা এবং উক্ত হামলা পরবর্তি উত্তেজনার মধ্যে ও থেমে নেই ইসরাইলের গাজায় গণহত্যা ও আগ্রাসন প্রতিদিনই সেখানে চলছে হত্যাকান্ড। গতকাল আল জাজিরা টেলিভিশনের পক্ষ হতে তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে গাজার খান ইউনিস ও রাফা শহরে ব্যাপক ভিত্তিক স্থল অভিযানের পাশাপাশি বিমান হামলা পরিচালনা করছে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনী তাদের চিরাচারিত প্রথা ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদেরকেও হত্যা করছে। গতদুই দিনে খান ইউনিস ও রাফা শহর হতে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী বিপুল সংখ্যক ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করেছে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনী গত্যাকান্ডের পাশাপাশি গণ গ্রেফতার অভিযানেও নিমেছে। তাদের গ্রেফতার অভিযানে বাদ যাচ্ছে না ফিলিস্তিনি নারীরাও। এদিকে হামাসের পক্ষ হতে অভিযোগ করে বলা হয়েছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা গ্রেফতারকৃত ফিলিস্তিনিদের উপর শারিরীক ও মানবিক নির্যাতন পরিচালনা করছে। এমনকি কারাগারে আটক নারী ও কিশোরীদের উপর যৌন নির্যাতন পরিচালনা করছে। হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে গতকাল পর্যন্ত দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হাতে চৌত্রিশ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে পনের হাজারের অধিক নারী ও শিশু। ইরানের অভ্যন্তরে ইসরাইলের হামলার বিপরীতে ইরান যে ব্যাপক ভিত্তিক হামলা পরিচালনার ক্ষমতা রাখে তা খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকে জানান দিয়েছে। এদিকে ইসরাইলের বর্তমান সময়ে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে এবং বিশ্ববাসি, গতকালও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইসরাইলি বিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে, দীর্ঘ দিনের প্রথানুযায়ী বৃটেনের মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য দেশটির সরকারের পক্ষ হতে ঈদের দিনে মত বিনিময় ও শুভেচ্ছার বিষয়টি ধারাবাহিক ভাবে হয়ে আসলেও দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর ফিলিস্তিনিদের উপর গণহত্যার প্রতিবাদে এবং বৃটিশ সরকারের ইসরাইলী নীতির কল্যানে এবারের ঈদের আয়োজনে মুসলিম নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হইনি। এদিকে কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা বলেছে বৃটেন ইতিমধ্যে ঘোষনা দিয়ে বলেছে যে বৃটেন ইসরাইলে অস্ত্র বিক্রি তথা অস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এদিকে ইসরাইল বিশ্বের অন্তত বত্রিশটি দেশের কাছে ইসরাইল পত্র দিয়েছে এবং উক্ত পত্রে ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন তথা ইরানকে বয়কটের আহবান জানিয়েছে। গাজার ঘরে ঘরে ক্ষুধা আর এই ক্ষুধা সমগ্র গাজা সিটিকে দৃশ্যতঃ দুর্ভিক্ষের মধ্যে ফেলেছে। বিশ্বের গাজাই একমাত্র ভু-খন্ড যে ভূ-খন্ডের জন সাধারন কেবল মাত্র অভূক্ত তার কারনে মৃত্যুমুখে পতিত হচ্ছে। সর্বশেষ খবরে বলা হয়েছে মিশরের রাজধানী কায়রোতে চলছে আলোচনা।