দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা তাদের পুরো সামরিক শক্তি ব্যয় করেও দীর্ঘ নয় মাসের ব্যবধানে হামাসের হাতে আটক ইসরাইলি বন্দীদের মুক্ত করতে পারেনি। অথচ দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা ফিলিস্তিনির প্রতিটি প্রান্তরে তল্লাশীর পাশাপাশি গণহত্যা চালিয়েচে হামাসকে নির্মূল ও ধ্বংস করতে একের পর এক বিমান হামলা চালিয়েছে, কিন্তু হামাস এর হাতে আটক ইসরাইলিদেরকে মুক্ত করতে পারেনি, যুদ্ধ বিরতির (সামরিক সময়ের জন্য) দখলদার বাহিনীর হাতে বিভিন্ন দফায় চল্লিশজন ইসরাইলি বন্দীকে মুক্তি দিলেও এখনও পর্যন্ত ইসরাইলি সামরিক ও বেসামরিক অন্ততঃ একশত চল্লিশজন পনবন্দী হামাসের হাতে আটক আছে। কিছুদিন পূর্বে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা রাফায় ২৫০ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে ও শত শত ফিলিস্তিনিকে আহত করে চারজন বন্দীকে মুক্ত করলেও বাদবাকি বন্দীদের মুক্তকরার চেষ্টা করলেও হামাসের দুর্ভেদ্রতা থেকে মুক্ত করতে পারছে না। এদিকে গাজায় হামাসেরহাতে বন্দী ইসরাইলি সেনা ও বেসামরিক ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন বন্দীত্বের অবসান চাইছে। তারা তাদের সরকারের প্রতি অতি বিরক্ত। ইসরাইলি সেনা তথা সরকার তাদেরকে মুক্ত করে নিজদেশে নিতে পারছে না। দিনে দিনে তারা অতিষ্ট হয়ে পড়ছে। বন্দীত্ব জীবন আর নিজ সরকার কর্তৃক তাদেরকে অবহেলা ওমৃত্যুর মুখোমুখি রাখার যন্ত্রনা সইতে না পেরে ইসরাইলি বন্দীলা আত্মহত্যার চেষ্টা করছে। হামাসের পক্ষ হতে এমন তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরার পক্ষহতে প্রচার করা হয়েছে হামাসের সশস্ত্র শাখা আল কাসেম ব্রিগডের মুখপাত্র আবু ওবাইদা বলেছে হামাসের হাতে বন্দীইসরাইলের হামাস সদস্যদের আচরনে এবং আন্তরিকতায় বিশেষ ভাবে খুশি। বন্দীরা অতি মানবিকতার জন্য হামাস সদস্যদেরকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। তবে আবু ওবায়দার একটি প্রকাশ ও প্রচার ইসরাইলি বন্দীদের বেদনাময় মনোভাব স্পষ্ট হয়েছে। আবু ওবাইদা বলেছে হামাসের হাতে আটক ইসরাইলিরা আত্মহত্যা করতে চাইছে। হামাস সদস্যরা ইসরাইলি বন্দীদেরকে ওষুধ সরবরাহ সহ সব ধরনের চিকিৎসা সেবা প্রদান করে চলেছে। কিন্তু ফিলিস্তিনিরা যখন ইসরাইলি বাহিনীর হাতে বন্দী থাকে তখন তাদেরকে নূন্যতম চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয় না। আর এটাই হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে বিশেষ পার্থক্য। এদিকে হামাসের যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব সম্বলিত লিখিত প্রতিবেদন ইসরাইলের কাছে পৌছেছে। ইসরাইল তা পরীক্ষা করেছে। আবারও হামাসের পক্ষ হতে বলা হয়েছে স্থায়ী যুদ্ধ বিরতি ব্যতিত ইসরাইলের সাথে কোন ধরনের যুদ্ধ বিরতি ও বন্দী বিনিময়ে বা বন্দী মুক্তি দেওয়া হবে না। এদিকে ইসরাইলের হামলায় এক হিজবুল্লাহ কমান্ডারে নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে হিজবুল্লাহ ইসরাইলের ভূ-খন্ডে অন্তত ২০০ রকেট হামলা পরিচালনা করেছে। অব্যাহত ভাবে গাজায় ইসরাইলের মারনাস্ত্রের ব্যবহারের বিরুপ প্রতিক্রিয়ায় গাজায় নানান ধরনের রোগ ব্যধি ছড়িয়ে পড়েছে। গাজার কৃষি ব্যবস্থাকে পরিপূর্ণ ভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরাইল, যান ইউনিসে ও শুজাইয়ায় চলছে নরকীয় হামলা। সর্বশেষ খবরে জানাগেছে হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ার নেতৃত্বে হামাসের নেতৃবৃন্দ তুরস্ক সফর করছে।