শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৫৯ পূর্বাহ্ন

ইসরাইলি সেনাদের মাঝে আতঙ্ক

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০২৪

দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ ইসরাইলি সেনাদের মাঝে হতাশা আর আতঙ্ক বিরাজ করছে। একের পর এক দখলদার সেনার হামাস যোদ্ধাদের হাতে নিহত হওয়ার ঘটনা দৃশ্যতঃ ইসরাইলি সেনাদের মনোবলে চিড় ধরেছে। ইসরাইলি সেনাদের মনোবল বৃদ্ধির লক্ষ্যে গতকাল দেশটির সেনা প্রধান গাজা যুদ্ধ ক্ষেত্রে সেনাদের সাথে মিলিত হয়েছে। গতকালও খান ইউনিসে দখলদার বাহিনীর সেনাদের সাথে হামাস যোদ্ধাদের তুমুল লড়াই চলেছে। গত মঙ্গলবার খান ইউনিসে হামাসের গ্রেনেট হামলায় চব্বিশ সেনার মর্মান্তিক নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ইসরাইলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে বলা হয়েছে যেহেতু খান ইউনিস প্রকৃতিগত ও ভৌগলিক দিক দিয়ে অন্যান্য এলাকার মত নয়, উপত্যকাটিতে সমতল, অসমতল এবং পাহাড়ে বেষ্টিত বিধায় হামাস সন্ত্রাসীরা প্রতিটি ক্ষেত্রে গুপ্ত হামলা ও গেরিলা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে যা আমাদের সেনাদের জন্য সমস্যার কারন হচ্ছে। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে বলা হয়েছে গাজা যুদ্ধে অবশ্যই আমরা সফল হব। হামাস সন্ত্রাসীদের নির্মূল এবং নিশ্চিহৃ করাই ইসরাইলের একমাত্র প্রত্যাশা, এদিকে গাজার হাসপাতাল গুলোতে ইসরাইলের বিমান হামলা থেমে নেই। এমনিতেই গাজার হাসপাতাল গুলোর অধিকাংশই দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর বিমান হামলায় ধ্বংস হয়েছে। গাজার উত্তরাঞ্চলের সর্বত্র বিমান হামলার ক্ষত দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। গাজার উত্তরাঞ্চলের এমন কোন এলাকা নেই যে এলাকাতে দখলদার বাহিনীর সদস্যরা বিমান হামলা পরিচালনা করেনি। গতকাল ও মধ্য গাজার বিভিন্ন এলাকা তে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী ব্যাপক ভাবে বিমান হামলা চালিয়েছে। গত চব্বিশ ঘন্টায় অন্তত দেড় শতাধীক নিরীহ ফিলিস্তীনির নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। হামাসের সশস্ত্র শাখা আল কাসেম ব্রিগেড জানিয়েছে হামাস মরবে অথবা মারবে তবুও দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পন করবে না। পশ্চিমা মিডিয়াগুলোর খবরে বলা হয়েছে জাতিসংঘের মহাসচিব আবারও গাজায় নিরীহ ও বেসামরিক ফিলিস্তীনিদের উপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে অবিলম্বে ইসরাইলের উচিত হবে গাজায় বিমান হামলা বন্ধ করা। এমন কোন দিন নেই, এমন কোন সময় নেই যে দিনে বা সময়ে ইসরাইলের বিমান বাহিনীর বিমান গুলো গাজার আকাশে উড়ছে না এবং নিরীহ ও নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের উপর বিমান হামলা পরিচালনা করছে না। গতকাল জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনের পক্ষ হতে বলা হয়েছে গাজায় অতীতের যে কোন সময় অপেক্ষা মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। উপত্যকাটিতে প্রতি দিনই লাশের মিছিল। নিকট অতীতে বা ইতিপূর্বে বিশ্বের কোন স্থানে অবলিলায় মানুষ হত্যার এমন ঘটনা দেখা যাইনি। এদিকে আন্তর্জাতিক আদালতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও গণহত্যার বিষয়ে দক্ষিন আফ্রিকার দায়ের করা মামলার শুনানী শেষ যে কোন সময়ে রায় ঘোষনা হতে পারে। পশ্চিমা মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে আন্তর্জাতিক আদালতে শুনানীর সময়ে ইসরাইলের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ ভাবে অস্বীকার করেছে ইসরাইল। হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে সমঝোতাও যুদ্ধ বিরতির যে কয়বার চুক্তি হয়েছে প্রতিবারই মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাতার ভূমিকা রেখেছে। গতকাল কাতারের পক্ষ হতে যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব সম্বলিত পত্র হামাস ও ইসরাইলের কাছে পাঠিয়েছে। খচড়া চুক্তিতে হামাসের হাতে বন্দী সকল ইসরাইলকে মুক্ত করার বিনিময়ে ইসরাইলের কারাগারে আটক ফিলিস্তিনিদের মুক্তি। কিন্তু হামাস বরাবরের ন্যায় এবারও তা প্রত্যাখান করেছে। গতকালও ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিব সহ বিভিন্ন শহরে ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে। গাজার ক্ষুধা থেকেই যাচ্ছে, ক্ষুধার পাশাপাশি সুপেয় পানি ও চিকিৎসা অভাব গাজা বাসির নিত্য সঙ্গী।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com