দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর বর্বরতা আর নিষ্ঠুরতা এমন পর্যায়ে পৌছেছে যে, তাদের বর্বরতা এবং নিষ্ঠুর সব হত্যাকান্ডের ঘটনায় গোটা আন্তর্জাতিক বিশ্ব হতভম্ব। এমন কোন দিন নেই আর গাজার এমন কোন জনপথ নেই যে জনপথে দখলদার বাহিনীর সদস্যরা সাধারন ফিলিস্তিনিদের উপর নির্বিচারে বিমান হামলা সহ স্থল অভিযান পরিচালনা করছে না, এখানেই শেষ নয় দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর নিষ্ঠুরতা আর বর্বরতার ক্ষেত্র এতটুকু স্পর্শ ও ক্ষেত্র বিস্তৃত করেছে যে গাজার প্রতি এলাকার নারী ও শিশুরা তাদের পৈশাচিকতা নির্মম হত্যাকান্ড হতে পরিত্রান পাচ্ছে না। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর অমানুষিকতার বহিঃপ্রকাশ গাজার প্রতিটি ক্ষেত্রে বিদ্যমান, এদিকে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর জন্য গাজার আকাশ পথ এতোদিনে নিরাপদ থাকলেও হামাস যোদ্ধারা দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর জন্য নিরাপত্তাহীন করে ছেড়েছে। ইসরাইলি বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের সেনা কর্মকর্তাদের ধারনার বাইরে ছিল যে হামাস বা ইসলামিক জেহাদের মত সশস্ত্র সংগঠন গুলো আকাশ পথে ও হামলা করতে পারে। কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার রাফায় যুদ্ধরত সেনাদের জন্য রসদ সহ আহত সেনাদের আনা নেওয়ার জন্য রাফার আকাশে উড্ডয়নরত ছিল এ সময় যোদ্ধারা উক্ত হেলিকপ্টার লক্ষ্য করে ক্ষেপনাস্ত্র হামলা পরিচালনা করে, মাটি থেকে অর্থাৎ ভূমি হতে আকাশে উৎ ক্ষেপন যোগ্য ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালায়। কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেলটি আরও জানিয়েছে উৎ ক্ষেপন করা উক্ত ক্ষেপনাস্ত্রটি রাশিয়ার তৈরী। এদিকে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা আবারও দখলদার ইসরাইলের ভূ-খন্ডে ব্যাপক ভিত্তিক রকেট হামলা পরিচালনা করেছে। হিজবুল্লাহর রকেট হামলা ও ক্ষেপনাস্ত্র হামলার আশঙ্কা থেকে দখলদার ইসরাইল দক্ষিন লেবানন সংলগ্ন ইসরাইলের সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত ইহুদীদের সরিয়ে নিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক সমরবিদ পশ্চিম মিডিয়ায় সাক্ষাতকারে উদ্বেগ এবং আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছে হিজবুল্লাহর সংগ্রহে থাকা ক্ষেপনাস্ত্র গুলো ইসরাইলি ভূ-খন্ডে অনায়াসে হামলা করতে সক্ষম আর এ হামলা প্রতিরোধ ও প্রতিহত করার ক্ষমতা কোন অবস্থাতেই ইসরাইলের নেই আর যে কোন সময়ে ইসরাইল লেবাননে হামলা চালাতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসিরুল্লাহ ঘোষণা দিয়ে বলেছে যে, আগামী দিনগুলোতে হিজবুল্লাহ বিশ্ব শান্তীর জন্য বিষধর সাপ ইসরাইলের অভ্যন্তরে এমন সব ভয়াবহ হামলা পরিচালনা করবে তা থেকে ইসরাইল কোন অবস্থা থেকেই বাঁচতে পারবে না। গতকালও দখলদার ইসরাইলি বাহিনী উত্তর গাজা ও মধ্য গাজায় বিমান হামলা চালিয়েছে। খান ইউনিসে লড়াই চলছে। গত নয় মাসের ইসরাইলের অন্তত পাঁচ হাজারের অধিক সেনা নিহত হওয়ার পাশাপাশি শতাধীক ট্রাঙ্ক ও সাজোয়া যান ধ্বংস করেছে হামাস যোদ্ধারা। এই সময়ে দখলদার বাহিনীর অন্তত সত্তর হাজার সেনা আহত অথবা পঙ্গুত্ব বরন করেছে। হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ার নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল বর্তমানে কাতারে অবস্থান করছে। হামাসের পক্ষ হতে আবারও ঘোষনা দেওয়া হয়েছে যে, যুদ্ধ বিরতি ও বন্দী বিনিময় চুক্তি ও কার্যক্রম কেবল মাত্র হামাসের শর্ত মেনেই করতে হবে। কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় মিশরের রাজধানী কায়রোতে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে যুদ্ধ বিরতি আলোচনা অব্যাহত আছে।