দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ গাজার সড়কে সড়কে, বাড়ী বাড়ী আগ্রাসী ইসরাইলের অমানবিক হামলা চলছেই। গতকাল গাজার উত্তরাঞ্চলে হামাস এর যোদ্ধাদের অবস্থান লক্ষ্য করে দখলদার ইসরাইলী বাহিনী ব্যাপক ভিত্তিক হামলা চালিয়েছে। ফিলিস্তীনিদের জীবন মৃত্যুর এই সন্ধিক্ষনে ত্রানের জন্য হাহাকার। চলছে লুটপাট। গোটা বিশ্ব হতে দৃশ্যতঃ গাজা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ইসরাইলের বর্বর হামলায় গতকাল ভেঙ্গে পড়েছে ত্রান তৎপরতা। মুহুর মুহুর বিমান হামলার কারনে ত্রান বিতরন কর্তৃপক্ষ জীবনের ঝুকি নিয়ে ত্রান তৎপরতা পরিচালনরা করছে না। শুধু ত্রান অভাব নয়, ফিলিস্তীনিরা বর্তমান সময় গুলোতে পানির জন্য হাহাকারে পড়েছে। সমুদ্রতীর বর্তি এলাকা গুলো বসবাসরত ফিলিস্তীনিরা সাগরের লবনাক্ত পানি পান করছে। ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরাইলের হামলা এতটুকু শেষ পর্যায়ে পৌছেছে যে আগামী দিনগুলোতে ফিলিস্তীনিদের অস্তিত্ব থাকবে কিনা এবং গাজা টিকে থাকবে কিনা এ প্রশ্ন বিশ্ববাসির। ইসরাইলের মধ্যযুগীয় এই হামলা বিশ্ববাসি প্রত্যক্ষ করেছে কিন্তু কোন প্রতিকার তো নেই অন্যদিকে পশ্চিমা বিশ্ব ইসরাইলকে সহযোগিতা করে চলেছে বিশ্ব শান্তী প্রতিষ্ঠান হিসেবে খ্যাত জাতিসংঘ ইতিমধ্যে গাজায় ইসরাইলী হামলা বন্ধের আহবান জানিয়েছে হামলার নিন্দা জানিয়েছে কিন্তু ইসরাইল তা মানতে নারাজ উল্টো ফিলিস্তীনিদের পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় ইসরাইল সরকার জাতিসংঘ মহাসচিব সহ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভিষাদাগার করে চলেছে। হামাস প্রতিরোধ হামলা অব্যাহত রেখেছে। একদিকে হামাস কে নির্মুলের চেস্টায় নিরীহ ফিলিস্তীনিদের উপর বর্বরতা অন্যদিকে হামাসের হামলা প্রতিরোধ ও করতে পারছে না বর্বর ইসরাইল। গত শুক্রবার হতে দখলদার ইসরাইল ঘোষনা দিয়ে স্থল অভিযান পরিচালনায় নেমেছে। ইসরাইলের বিমান গুলো বিমান হামলা পরিচালনা করে স্থাপনা বসতবাড়ী মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি স্থল বাহিনী স্থল অভিযানে হামাসের খোজে বর্বর অভিযান পরিচালনা করছে। ইহুদীবাদী রাষ্ট্রের নৃষংশতায় ফিলিস্তীনি নারী ও শিশুর ও রেহাই পাচ্ছে না। ফিলিস্তীনি নারীদেরকে ও গ্রেফতার করা হচ্ছে না। দশ বছরের শিশুরাও বর্বর বাহিনীর অত্যাচার হতে রক্ষা পাচ্ছে না। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে ইসরাইলের হামলা যে কোন বর্বরতাকেও হার মানাবে গাজার সামগ্রীক চিত্র সম্পূর্ণ ভাবে পরিবর্তন হয়েছে। গাজার অফিস আদালত, বিপনী বিতান সবই মৃত প্রায়। দখলদার বাহিনী গাজার উত্তরাঞ্চলের একটি হাসপাতাল বিমান হামলা চালিয়েছে। হাসপাতালটিতে হামলায় ইসরাইলী বাহিনীর পক্ষ হতে হাসপাতালটি খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়। ঘোষনার দুই ঘন্টার ব্যবধানে তারা হাসপাতালটিতে হামলা পরিচালনা করে। উল্লেখ্য গত সপ্তাহেও ইসরাইলী বাহিনী গাজার অত্যাধুনিক একটি হাসপাতালে বিমান হামলা পরিচালনা করে হাসপাতালটিকে মৃত্যুকুপে পরিনত করে। ইরানের পক্ষ হতে ইসরাইলে সহসা হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইরান বারবার ফিলিস্তীনিদের উপর হামলা বন্ধের আহবান জানিয়ে আসছে এবং হামলা বন্ধ না হলে পরিনতি কঠিন হতে কঠোর হবে বলেও ঘোষনা দিয়েছে। ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ গেরিলারাও ইসরাইলে হামলা অব্যাহত রেখেছে। ইসরাইল সরকার স্বীকার করেছে যে হিজবুল্লাহ তাদের ভূ-খন্ডে হামলা চালাচ্ছে। সারা বিশ্বের কোথাও ইহুদীরা নিরাপদ নয় গতকাল রাশিয়ার একটি বিমান বন্দরে ইসরাইলী নাগরিক ইহুরী অবতরন করেছে এমন খবরে রাশিয়ার উক্ত বিমান বন্দরে স্থানীয় জনসাধারন ইহুদীদের উপর হামলা পরিচালনা করে এ সময় বিমান বন্দর টিতে অবতরন কারী ইহুদীরা প্রাণ ভয়ে পালাতে থাকে। বিশ্বের দেশে দেশে ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত আছে।