দৃষ্টিপাত ডেস্ক॥ হামলার বদলা প্রতিশোধ হিসেবে এবার ইসরাইল ইরানে হামলা চালিয়েছে। গতকাল সকালে ইসরাইলের ছোড়া ক্ষেপনাস্ত্রটি ইরানের স্পাহানী শহরের বিমান বন্দর এলাকায় বিস্ফরন ঘটায়। এই হামলায় কোন ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানীর ঘটনা ঘটেনি। হামলার ধরন সীমিত বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাগুলো। ইসরাইলের হামলার পর পরই ইরান তার গুরুত্বপূর্ণ শহর গুলোতে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করেছে এবং তেহরানের আকাশে বিমান চলাচল বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। ইরানের সেনা প্রধান তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছে ইসরাইলকে করুন পরিনতি ভোগ করতে হবে। ধারনা করা হচ্ছে যে কোন মুহুর্তে ইরান ইসরাইলের হামলা পরিচালনা করতে পারে। ইসরাইলের হামলার বিষয়ে ইরান আগেই বলে রেখেছে ইরানে ইসরাইল হামলা করলে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে তার জবাব দেওয়া হবে। ইরানের পক্ষহতে ইসরাইলের হামলার বিষয়ে আরও বলা হয়েছে ইসরাইলের ছোড়া একাধিক ড্রোন ইরান ভুপাতিত করেছে। আগ্রাসনবাদী ইসরাইল ইরানে হামলার পাশাপাশি একই সময়ে ইরাক ও সিরিয়াতে ও হামলা চালিয়েছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম গুলো নিশ্চিত করেছে। ইরাকের রাজধানী বাগদাদ ও বাবিল এলাকাতে এবং সিরিয়ার আস-সুওয়াদা শহরে বিষ্ফরনের খবর পাওয়া গেছে। ইরানের যে ইসফাহান শহরে হামলা চালিেেছ ইসরাইল উক্ত শহরটি কৌশল গত কারনে ইরানের কাছেঅতি গুরুত্বপূর্ণ এবং ইসরাইলের কাছে আতঙ্কের নাম। শহরটির কাছাকাছি ইরানের পারমানবিক স্থাপনা ও কর্মসূচি চলমান। দখলদার ইসরাইল অবশ্য পারমানবিক স্থাপনায় হামলা চালাইনি, ইরান সরকার ইতিমধ্যে তেহরান, ইসফাহান ও শিরাজ বিমান বন্দরের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে। কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা জানিয়েছে ইরান এবার ইসরাইলে পারমানবিক হামলা পরিচালনার বিষয়টি ভাবছে। যে কোন সময়ে ইরান ইসরাইলে পারমানবিক হামলা সহ বড় ধরনের হামলা পরিচালনা করলে কিছুই করার থাকবে না ইসরাইলের। ইরানের সামরিক শক্তি, এবং সক্ষমতা ইসরাইলকে বিপর্যস্থ করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট। গত শনিবার ইরান ইসরাইলে হামলা চালিয়ে তার সেনা কমান্ডার হত্যার প্রতিশোধ গ্রহন করে। পরবর্তিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ ইসরাইলি সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রগুলো ইরানে হামলা হতে বিরত থাকার বিষয়ে বলে ইসরাইলকে। ইরানে ইসরাইলের হামলা ইরানের জন্য প্রতিশোধের বিকল্প থাকবে না আর এবারের হামলার ধরন আর গতি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা বাজার বা ঘটার সম্ভাবনার বিষয়টি ফেলে দেওয়া যাচ্ছে না। ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা ইতিমধ্যে বলেছেন ইরানের শক্তি, সামর্থ আর সক্ষমতাকে যে বা যারা দুর্বল মনে করবে তাদের জন্য করুন পরিনতি অপেক্ষা করছে। গোটা বিশ্বময় তীব্র উত্তেজনার ছড়িয়ে পড়েছে। ইরানের হামলার খবরে সাথে সাথেই আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের ও স্বর্ণের দাম এক লাফে বেড়ে গেছে। সর্বশেস খবরে জানাগেছে এবং ইরান স্পষ্ট ভাবেই বলে দিয়েছে যে তার দেশে কোন ধরনের বৈদেশিক হামলা হইনি। অর্থাৎ বহিঃ শক্তি হামলা করেনি। ইরানের প্রতিরক্ষা বিভাগহতে বিবৃতিতে বলা হয়েছে ইরানের অভ্যন্তরীন আকাশ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করনের কাজ করা কালিন সময়ে বিস্ফরনের শব্দ হয়েছে আর উক্ত বিস্ফরনের শব্দকে কেন্দ্র করে ইসরাইল আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে বাস্তবতা হলো ইরানের অভ্যন্তরে হামলা চালিয়ে কোন শক্তি ফিরে যাওয়ার সুযোগ সংরক্ষন করে না। ইসরাইলি মিডিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ পত্র গুলো ইসরাইল ইরানে হামলা চালিয়েছে এবং ইরানের তেহরান আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর সহ কয়েকিট বিমান বন্দর বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে বলে যে খবর দিয়েছে সেটা সম্পূর্ণ ভাবে মিথ্যা। এদিকে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী গতকালও গাজা উপত্যকায় ব্যাপক ভিত্তিক বিমান হামলা ও স্থল অভিযান চালিয়েছে। হামাস যোদ্ধারা প্রতিনিয়ত প্রতিরোধ হামলা চালাচ্ছে। গতকালও খাদ্য সরবরাহ বাঁধা দিয়েছে। হিজবুল্লাহর হামলা চলছে। গাজার ঘরে ঘরে দুর্ভিক্ষ, অভূক্ত ফিলিস্তিনিরা মৃত্যু মুখে পতিত হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সত্যিকার অর্থে ইসরাইলের স্বার্থই রক্ষা করছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র স্বীকৃতির পাশটি শেষমুহুর্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো ক্ষমতার কল্যানে বাতিল হয়েছে। অর্থাৎ স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র আপাতত আলোর মুখে দেখছে না।