দৃৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ দখলদার ইসরাইলি বাহিনী গাজায় গণহত্যা চালিয়েছে। প্রতিদিনই নির্মম আর নিষ্ঠুর হত্যাকান্ডের শিকার হচ্ছে ফিলিস্তিনিরা। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা একক ব্যক্তিতে গাজায় হামলা ওহত্যাকান্ড পরিচালনা করলেও যেমনদীর্ঘ আটমাসের ব্যবধানে ফিলিস্তিনি জাতিসত্ত্বাকে যেমন নিশ্চিহৃ করতে পারেনি অনুরুপ ভাবে হামাস যোদ্ধাদেরকে নির্মূল করতে পারেনি। ফিলিস্তিনি জাতি গোষ্ঠীর মুক্তি আন্দোলনের পথিকৃত হামাস যোদ্ধারা জীবন বাজী রেখে প্রতিমুহুর্তে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর বিরুদ্ধে সংগ্রাম, লড়াই আর প্রতিরোধ হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। পক্ষান্তরে দখলদার ইসরাইল ও তার বাহিনী প্রতিনিয়ত ত্রিমুখি হামলার শিকার হচ্ছে এবং এসকল হামলায় ইসরাইলের ভূখন্ড জ্বলছে ধ্বংস স্তুপে পরিনত হচ্ছে একই সাথে দখলদার সেনারা নিহত, আহত হচ্ছে। ইসরাইলের জন্য বর্তমান সময়ে মরন যন্ত্রনায় পরিনত হয়েছে। এক কথায় বলরা যায় হামাস, হিজবুল্লাহ ও হুতিদের একের পর একশক্তি শালী হামলায় বেকায়দায় ইসরাইল। হুযি যোদ্ধারা দীর্ঘ আটমাস যাবৎ লোহিত ও ভারত মহাসাগরে ইসরাইল সহ ইসরাইলি সংশ্লিষ্ট জাহাজে হামলা পরিচালনা করে আসছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বধীন জোট হুতিদের নির্মূল এবং ইসরাইল ও ইসরাইলি সংশ্লিস্ট জাহাজে হামলা বন্ধের বিষয়ে পাল্টা হামলা ও প্রতিরোধ ব্যবস্থার প্রবর্তন ঘটালেও প্রতিনিয়ত ব্যর্থ হয়েছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট ভূক্ত দেশগুলো। এবার ইসরাইলের ভু-খন্ডে হুযি যোদ্ধারা ফিলিস্তিনি ক্ষেপনাস্ত্র নামক নতুন ধরনের ক্ষেপনাস্ত্রের মাধ্যম হামলা পরিচালনা করছে। উল্লেখ্য হুযি যোদ্ধারা তাদের নিজস্ব প্রযুক্তির মাধ্যমে এই ক্ষেপনাস্ত্র উদ্ভাবন করেছে এবং তার নাম দিয়েছে ফিলিস্তিন ক্ষেপনাস্ত্র। কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা জানিয়েছে ইসরাইলের অভ্যন্তরে হুতিরা তাদের নবসৃষ্ট ফিলিস্তিনি ক্ষেপনাস্ত্র পরপর কয়েকদিনে ইসরাইলের ভূ-খন্ডে বিস্ফরন ঘটিয়েছে। ফিলিস্তিনি ক্ষেপাস্ত্রের ভয়াবহতা এবং শক্তি এতটুকু অগ্রগামী যে ইসরাইলের ভু-খন্ডের বৃহৎ অংশ ধ্বংস স্তুপে পরিনতহয়েছে। বিশাল একাকার আগুন ধরেছে আল জাজিরা টেলিভিশন আরও জানিয়েছে গতকাল হুতি যোদ্ধারা তৃতীয় বারের উক্তক্ষেপনাস্ত্র ইসরাইলের ভূ খন্ডে বিস্ফরনঘটায়। ইসরাইলের পত্র পত্রিকাগুলো হুতির সক্সমতায় তৈরী ফিলিস্তিনি ক্ষেপনাস্ত্রের বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশকরে বলেছে এই ক্ষেপনাস্ত্রটি অতি শক্তিশালী ইসরাইলি সেনা বাহিনী প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিষয়ে কোন ধরনের মন্তব্য করা হতে বিরত আছে। এখানেই শেষনয় হিজবুল্লাহ ও হামাস সদস্যরাও ইসরাইলি বাহিনীর উপর ওদেশটির অভ্যন্তরে হামলা চালিয়ে আসছে। গতদুই দিনে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা সিরাইলের ভূখন্ডে ব্যাপক ভিত্তিক ক্ষেপনাস্ত্র হামলা পরিচালনা করছে এদিকে যুদ্ধ বিরতি নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ প্রস্তাবপাশকরলৌ যুদ্ধ ও হামলা বন্ধে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সামান্যতম লক্ষন দেখা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে হামাসের পক্ষ হতে বলা হয়েছে হামাস বরাবরই যুদ্ধবিরতি ও বন্দী মুক্তির বিষয়ে চারটি ধারনা কে যেমন গুরুত্ব দিচ্ছে অনুুপ ভাবে উক্ত চারটি তাদের প্রস্তাব এবং দাবী, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধ বিরতি, গাজা হতে দখলদার বাহিনীর সকল সদস্যকে প্রত্যাহার করতে হবে। বাস্তচ্যুতদেরকে নিজ নিজ বসতঘরে ফিরতেদিতে হবে এবং ইসরাইলের কারাগারে আটক ফিলিস্তিনিদেরকে মুক্তিদিতে হবে। এই চারটি প্রস্তাব যদি মেনে নিয়ে যুদ্ধ বিরতির চুক্তিতে আসে ইসরাইল তাহলে হামাসের পক্ষ হতে যুদ্ধ বিরতি ও বন্দী মুক্তি বিনিময় হবে। অবশ্য হামাসের পক্ষহতে আরও বলা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবনায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাশ হওয়া যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব যদি তাদের দাবীর সাথে একাত্বতা প্রকাশকরে তাহলে উক্ত চুক্তিকরার ক্ষেত্রে হামাসের জন্য সামান্য নয়। এদিকে হামাসের নিয়ন্ত্রন থেকে চার ইসরাইলি বন্দীকে মুক্তকরার ঘটনা কোন অবস্থাতেই সুখের বা সাফল্যের নয় এমন মন্তব্য প্রকাশ করেছে ফিলিস্তিনি সামরিক বিদরা। এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সৌীদ আরবের মধ্যকার সামরিক চুক্তি হতে চলেছে। এবিষয়ে আল জাজিরা টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে সৌদি আরবের পক্ষ হতে ইতিমধ্যে বলা হয়েছে প্রস্তাবিতচুক্তি স্বাক্ষর ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্র অবশ্যই ফিলিস্তিনি বিষিয়টি মাথায় রাখতে হবে। পুরো গাজা উপত্রকা ক্ষুধার ও চিকিৎসাহীনতার শহরে পরিনত হয়েছে।