দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ দখলদার ইসরাইলি বাহিনী নিরস্ত্র নিরীহ ফিলিস্তিনিদের উপর গণহত্যা পরিচালনা করলেও বর্বরবাহিনীর সদস্যরা ও নিরাপদে নয়। প্রতিনিয়ত এবং প্রতিমুহুর্তে তারা হামাস যোদ্ধাদের দ্বারা চরম ভাবে হামলার শিকার হচ্ছে। চার দখলদার সেনার নিহত হওয়ার পর এবার হামাসযোদ্ধারা ইসরাইল বাহিনীর মর্যাদার প্রতিক ট্যাঙ্ক উল্লেখযোগ্য সামরিক যানে হামলা চালিয়ে ধ্বংস করেছে। হামাসের আল কাসেম ব্রিগেডের যোদ্ধারা উক্ত হামলা পরিচালনা করে। হামাসের মুখপাত্র আবু উবাইদা নিজস্ব টেলিগ্রাম বার্তায় বলেছে, গত চারদিনে হামাস যোদ্ধারা দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর একাত্তরটি যান পুরোপুরি ধ্বংস করেছে। একাধিক ট্যাঙ্ক ও ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে। হামাসের সাহসী যোদ্ধারা। আজ উবায়দা আরও বলেন, আমাদের যোদ্ধারা ষোল দখলদার সেনাকে হতাহত করতে সক্ষম হয়েছে। গাজার রাফাহ আল সালামইয়াসিন ১০৫ রকেট দিয়ে একাধিক ইসরাইলি সেনাবাহীনি রনতরী ধ্বংস করা হয়েছে। রাফার পূর্বাঞ্চলে বোমা হামলার মাধ্যমে হামাস যোদ্ধারা ইসরাইলের রনতরী সম্পূর্ণভাবে ধ্বংসকরে দিয়েছে। জাবালিয়া এলাকায় অবস্থানরত ও নিরীহ ফিলিস্তিনিদের উপর গোলা বর্ষন রত থাকা ইসরাইলের মর্যাদার প্রতিক মারকাফা ট্যাঙ্ক ধ্বংস করেছে হামাসের যোদ্ধারা। গত চারদীন হামাস যোদ্ধাদের হামলা সহ দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর ক্ষয়ক্ষতির ভিডিও চিত্র হামাস যোদ্ধারা প্রকাশ করেছে। উক্ত ভিডিও চিত্রে দুর্ধষ হামাসযোদ্ধাদের হামলায় ইসরাইলি ট্রাঙ্ক ও সামরিক যান গুলোর ধ্বংস স্তুপের চিত্র দেখা যায় এ সময় ইসরাইলি সেনারা আত্মরক্ষার্থে পালাতে থাকে এবং আহত ইসরাইলি সেনাদের আত্মদান ভিডিও বার্তায় স্পষ্ট হয়। দৃশ্যতঃ পুরোগাজা এলাকা বর্তমান সময়গুলোতে দখলদার বাহিনীর সদস্যদের জন্য ও নিরাপত্তাহীন এক জনপদে পরিনত হয়েছে। এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আবারও হামাসযোদ্ধাদেরকে জিম্মি ইসরাইলিদের কে মুক্তি দেয়ার আহবান জানিয়েছেন। জো বাইডেন আরও বলেছেন হামাস যদি ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তিদেয় সেক্ষেত্রে যুদ্ধ বিরতি সম্ভব। হামাস প্রধান ইসমাইল হানিফা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রস্তাব প্রত্যাখান করে বলেছে হামাস নিজের অবস্থান হতে সামান্যতম বিচ্যুতি হইনি। গাজা উপত্যকা হতে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহারের মাধ্যমেই কেবল জিম্মি বন্দীদেরকে মুক্তিদেওয়া হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের সরবরাহের জন্য প্রস্তুত করা অস্ত্র ও বোমার চালান বন্ধ করার ঘোষনা দিলেও আবারও ইসরাইলের জন্য একহাজার বিলিয়ন ডলারে ঋন মঞ্জুর করেছে। গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় নিহত প্রায় ছত্রিশ হাজার ফিলিস্তিনির মধ্যে অর্ধেকের বেশী ফিলিস্তিনি নারী ও শিশু। কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আজ জাজিরা জানিয়েছে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের গণ কবরের পাশে ফিলিস্তিনি মায়েরা অপেক্ষার প্রহর গুনছেন। অধিকাংশ ফিলিস্তিনি মা ভাল নেই একদিকে নিজেদের জীবন হানীর শাঙ্কা অন্যদিকে স্বামী সন্তান হারিয়ে পাগল প্রায় ফিলিস্তিনি মায়েরা। তাদেরচোখে কেবল পানি আর পানি। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর নিষ্ঠুরতা এবং নির্মমতা এতটুকু স্পর্শ করেছে যে,দুইবছর হতে পাঁচ বছরের এমনকি দুধের শিশুরাও দখলদার বাহিনীর নির্মম হত্যাকান্ড হতে বাঁচতে পারেনি।এদিকে ইসরাইলের গণহত্যার প্রতিবাদে সম্পর্ক ছিন্ন করা কলম্বিয়া এবার ইসরাইলকে মানবতা বিরোধী এবং অমানবিক দেশ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। উল্লেখ্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তাইয়েফ এরদোগান অনেক আগেই ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে মধ্যপ্রাচ্যের কসাই হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। এদিকে হিজবুল্লাহর পক্ষ হতে ঘোষনা দেওয়া হয়েচে যে, হিজবুল্লাহ অত্যাধুনিক ক্ষেপনাস্ত্র তৈরী করেছে এবং তা কেবলমাত্র অমানবিক, দখলদার ইসরাইলকে ধ্বংস করার জন্যই, তেল আবিবে আবারও নেতানিয়াহু বিরোধী বিক্ষোভ করেছে দেশটির ইহুদী সম্প্রদায়। হিজবুল্লাহর হামলা আতঙ্কে গত কয়েকদিন যাবৎ ইসরাইলের সীমান্ত গ্রাম গুলোর নিরাপত্তা জোরদার করেছে। হুতিরা গতকাল ও ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালিয়েচে ইসরাইল গামী জাহাজে। গাজার ঘরে ঘরে দুর্ভিক্ষ অধিবাসিরা খেতে না পেরে অনাহারে মৃত্যুমুখে পতিত হচ্ছে।