আধুনিক সভ্যতার এই সময় গুলোতে যখন মানবতার জয়গান বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়ার কথা, বিশ্বের দেশে দেশে শান্তির সুবাতাস প্রবাহীত হওয়ার সময়, বিশ্বমানবতা মানবিকতাকেই কেবল দেখবে কিন্তু সব কিছুই বর্বরতায় আচ্ছন্ন। বিশ্ব মানবতা দেখছে নিষ্ঠুরতা, হত্যাকান্ড আর বর্বরতার সব চিহৃ। বিশ্বমানবতার শত্র“ ইসরাইল গাজা উপত্রকায় অবিরাম ভাবে বিমান হামলা পরিচালনার মাধ্যমে ইতিমধ্যে হাজার হাজার নিরিহ, আর নিরস্ত্র ফিলিস্তীনিকে হত্যা করেছে। তাদের হত্যাকান্ডের মিশন চলমান, গত দেড়মাসের অধিক সময় যাবৎ দখলদার ইসরাইলি বাহিনী পুরো গাজায় বর্বর হামলা অব্যাহত রেখেছে। সর্বাপেক্ষা দুঃখজনক এবং মর্মান্তিক বিষয় হলো ইহুদীবাদী রাষ্ট্র ইসরাইলের সেনারা নারী ও শিশুদেরকে হত্যা করে চলেছে পরম আনন্দে। বিষয়টি তাদের জন্য এমন যে মানুষ হত্যা করা কোন অনুরুপ নয়, বিশ্ব বিবেক দেখছে এবং কোন কোন বিশ্বমাতবর ইসরাইলের হত্যাকান্ডকে উৎসাহিত ও সহযোগিতা করেছে। এ কেমন বিশ্ব? এমন বিশ্ব তো হওয়ার কথা নয় নিজ ভূমিতে ফিলিস্তীনিরা পরবাসি, যে পবিত্র ভূমিতে ফিলিস্তীনিরা জন্ম নিয়েছে, যে ভূমির আলো বাতাসে তারা বেড়ে উঠেছে সেই ভূমি তাদের জন্য অভিশাপ হয়ে উঠেছে। আগ্রাসন বাদী আর দখলদারের ইচ্ছাশক্তির মহাদানব ইসরাইল তাদের মাতৃভূমিতে দখল করে তাদের নিশ্চিহৃ করতে চায়। কিন্তু অজস্র সংগ্রামী ফিলিস্তীনিরা তাদের জন্মভূমি কেন ত্যাগ করবে তা ইসরাইলের দখলদারিত্ব কেন তারা মেনে নেবে? আর তাই তো স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা পরাধীন ফিলিস্তীনিদের মুক্ত করনের সাহসি কাফেলা হামাস ইসরাইলের মহাদানবী শক্তিকে খর্ব করতে চাইছে। গত সাত অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা মহাশক্তি শালী ইসরাইলের ভূ-খন্ডে যমদুতের ন্যায় হামলা চালিয়ে ইসরাইলে শক্তি, সাহস আর অহংকারকে ধুলায় মিশিয়ে দেয়। বর্তমান সময়ে ইসরাইলের অত্যাধুনিক যুদ্ধ বিমান আর সুরক্ষিত ট্রাংকের সামনে দেশ প্রেমে আর স্বাধীনতা অর্জনের স্পৃহায় অবতির্ণ হয়ে লড়াই করছে। প্রতিদিনই ফিলিস্তীনিদেরকে হত্যা করছে দখলদার ইসরাইল বাহিনী, হত্যা নয় এ যেন গণহত্যা, মধ্যযুগীয় বর্বরতা। কিন্তু আর কতদিন নিরীহ ফিলিস্তীনিরা হত্যার শিকার হবে। দখলদার বর্বর ইসরাইলি বাহিনীকে টিকে যাবে। বিশ্ব সভ্যতা, বিশ্ব বিবেক কি বলবে?