দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ ইসরাইল বাহিনীর বিমান হামলা চলছেই প্রতিদিনই নিরস্ত্র, নিরিহ ফিলিস্তিনিরা নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার হচ্ছে, দখলদার বাহিনীর সদস্যরা নির্বিচারে হত্যা করছে তাদের নির্মম হত্যাকান্ডের আওতায় নারী ও শিশুরাও পার পাচ্ছে না। ঐতিহাসিক গাজা বর্তমান সময়ে ইতিহাসের ঘোরতর অন্ধকারাচ্ছন্ন সময় অতিক্রম করছে। একদিকে ইসরাইলি বাহিনী যুদ্ধ বিরতির জন্য কাতার, মিশর এর মধ্যস্থতা কামনা করছে অন্যদিকে ইসরাইলি বাহিনী গাজায় ব্যাপক পরিমান হত্যাযজ্ঞ করে চলেছে। গতকাল পশ্চিমা মিডিয়া জানিয়েছে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যকার যুদ্ধ বিরতির বিষয়টি অনেক দুর এগিয়েছে। অবশ্য হামাসের পক্ষ হতে বলা হয়েছে আমাদের কে সেই সময় যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব কার্যকর এবং সমর্থন করবে যে সময়ে ইসরাইলি বাহিনী গাজা হতে তাদের পযুরো সেনা সদস্যকে প্রত্যাহার ও ফিলিস্তিনি হত্যা করবে। ইসরাইলি বাহিনী গতকাল রাফায় দিন ও রাতে চব্বিশ ঘন্টা হামলা চালিয়েছে। তাদের হামলার ধরন এবং প্রকৃতি ছিল মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে ছাড়িয়ে। খান ইউনিস যেমন নিরবতায় পৌছেছে সেখানে সামান্যতম বসতবাড়ী এবং জনবসতির চিহৃ নেই। রাফায় চলমান হত্যাযজ্ঞ আগামী দিনগুলোতে রাফাতেও শ্মশানে পরিনত করবে। এদিকে রাফাতেও দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা হামাস যোদ্ধাদের দ্বারা চরম প্রতিরোধের সম্মুখিন। গতকালও রাফাতে ইসরাইলি সেনারা ব্যাপক ভিত্তিক হতাহতের শিকার হয়েছে। মিশর সীমান্তের রাফা শহর প্রত্যন্ত সমৃদ্ধশালী এবং আধুনিকতার ছোয়ায় রাফা শহর ছিন্নভিন্ন হচ্ছে সেখানে চরম মানবিক বিপর্যয় বিরাজ করছে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনী রফা শহরের হাসপাতালে হামলা চালিয়ে হাসপাতাল গুলো ধ্বংস স্তুপে পরিনত করেছে। দখলদার বাহিনীর হামলায় আহত রাফা বাসিকে চিকিৎসা প্রদানের সামান্যতম সুযোগ ও নেই। মিশর সীমান্তবর্তী হওয়ায় আহতদের অনেকে মিশরে প্রবেশ করলেও সামান্য অংশ মিশরের প্রবেশ পরবর্তি চিকিৎসা সেবা নিতে পারলেও অধিকাংশ আহতরা বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর দিকে ঝুকছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনা আবারও বলেছে ফিলিস্তিনিদের উপর নির্মমতা ও গণহত্যা এই উপত্যকাটিতে কেবল মানবিক বিপর্যয়ের নগরী হিসেবেই দেখা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা গুলো বিশ্ব ব্যবস্থায় ইসরাইলকে অমানবিক রাষ্ট্র হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেছে অবিলম্বে জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক আদালত সহ বিশ্ব নেতৃত্বকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের আহবান জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন তাদের ত্রিমাসিক প্রতিবেদনে গাজায় গণহত্যার বিষয়টি অতি গুরুত্বের সাথে তুলে ধরে বলে ফিলিস্তিনিদের হত্যাকে বিশ্ব মানবতা হত্যার সাথেই কেবল তুলনা করা চলে। এদিকে ইসরাইলের পার্লামেন্টের স্পীকার আমির তাহানা অতি সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক মুলিভানের সাথে বৈঠক করেছে। পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যম উক্ত দুই নেতার বৈঠক সম্পর্কে বলেছে যে ইসরাইলের লক্ষ্য হামাসকে পরাজিত করা এবং ইসরাইলি সেনাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আল জাজিরা অবশ্য উক্ত বৈঠকের বিশ্লেষন ধর্মী বিশ্লেষন করনে এ বিশ্লেষন ধর্মী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ইসরাইলের মূল লক্ষ্য গাজাকে ধ্বংস করা এবং ফিলিস্তিনিদেরকে নিশ্চিহৃ করা যেন আগামী দিনগুলোতে ফিলিস্তিনি জাতিগোষ্ঠীর কোন ধরনের অস্তিত্ব না থাকে। এদিকে হামাস ইসরাইলের যুদ্ধ বিরতির বিষয়টি মাজ পতে আটকে যাওয়ার বিষয়ে পশ্চিমা মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে ইসরাইল গাজায় স্থায়ী যুদ্ধ বিরতি ও তাদের সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে একমত নয়। ইসরাইল স্থায়ী যুদ্ধ বিরতি চাইছে না। তারা কিছু দিনের জন্য যুদ্ধ বিরতি চালিয়ে তাদের জিম্মিদের মুক্তি করতে চাইছে। হামাস প্রধান ইসরাইল হানিয়া স্পষ্ট ভাবেই বলেছে ইসরাইলের ইচ্ছাপুরনের জন্য হামাস কোন ধরনের চুক্তিতে যেতে পারে না। অবশ্যই ইসরাইলকে স্থায়ী যুদ্ধ বিরতিতে একমত হতে হবে। আল জাজিরা আরও একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে প্রকাশিত ও প্রচারিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবকে ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য অব্যাহত বাবে চা দিচ্ছে। উল্লেখ্য সৌদি আরব ইসরাইলের হামলা ও ফিলিস্তিনিদের হত্যা বন্ধে সোচ্চার ও হত্যাকান্ডের বিরোধী অবস্থানেব। এদিকে গাজার ক্ষুধার্থ ফিলিস্তিনিরা প্রতিদিনই খাদ্যের অঢভাবে শীর্ণ, জীর্ন এব রোগাক্রান্ত হচ্ছে। একটি ত্রান বাহী গাড়ী গাজার কোন এলাকাতে দেখা গেলে উক্ত গাড়ি ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিরা ঘেরাও করে ধরছে এবং অনেকটা জোরজবরদস্তি করে গাড়ী হতে খাদ্য জোর করে নিচ্ছে বা নেওয়ার চেষ্টা করছে। দখলদার ইসরাইরি বাহিনীর সদস্যরা গতকালও গাজার প্রবেশ মুখে ত্রান বাহি গাড়ী আটকিয়েছে। হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা ইসরাইলের ভূ-খন্ডে তাদের হামলা থামছে না। গত দুই দিনে ক্ষেপনাস্ত্র হামলার পাশাপাশি রকেট হামলা ও চালিয়েছে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা। হুতি যোদ্ধাদের সাগরে অবস্থান অব্যাহত আছে। লোহিত ও ভুমধ্যসাগরে চলাচল করা জাহাজ গুলো তাদের হামলার লক্ষ্য বস্তুতে পরিনত হচ্ছে, জোটভূক্ত দেশগুলো তা রোধ করতে পারছে না।