গাজা লাশ আর ধ্বংসের শহর ঃ হাসপাতাল, আশ্রয় কেন্দ্র ও দখলদারদের লক্ষ্য : হুযি ও হিজবুল্লাহ লড়ছে ঃ ইসরাইলের ইরান আতঙ্ক ঃ আরও একটি ফ্রন্ট খুলেছে ইসরাইল
দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ গাজায় ব্যাপক ভিত্তিক হামলা পরিচালনা করে ও হামাস যোদ্ধাদেরকে নির্মূল করতে পারছে না। বরঞ্চ দখলদার ইসরাইলী বাহিনী প্রতিমুহুর্তে হামাস যোদ্ধাদের দ্বারা হামলার শিকার হচ্ছে নিহত হচ্ছে। এমন কোন দিন নেই যে দিনে ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা মৃত্যুমুখে পতিত ও আহত হচ্ছে না। ইসরাইলী বাহিনীর হামলা এতটুকু মর্মান্তিক ও বেদনাদায়ক যেখানে ইচ্ছা সেখানেই তারা বিমান হামলা করছে এবং নির্বিচারে ফিলিস্তীনিদের হত্যা করছে। নারী এবং শিশুদের হত্যা নেশা ইসরাইলীদের পেয়ে বসেছে আর এ কারনে প্রতিদিনই নারী ও শিশু ইসরাইলী বাহিনীর হত্যাযজ্ঞ নাম লেখানো হচ্ছে পুরো বাজার শহর একদিকে আগুনে পুড়ছে অন্যদিকে লামের শহরে পরিনত হয়েছে। সর্বত্র লাশ আর লাশ, খবরে প্রকাশ দখলদার ইসরাইলী বাহিনীর বিমান হামলায় গাজা দৃশ্যত: শশ্মানে পরিনত হয়েছে গাজার সব ধরনের সৌন্দর্য কেবল বিনষ্ট হইনি সুসজ্জিত অবকাঠামোগত উন্নয়নমুখি সুরম্য বসতবাড়ী ও স্থাপনা মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে ইসরাইলী বাহিনী। গাজার মোট বসতবাড়ীর অর্ধেক মাটির সাতে মিশে গেছে। লাখ লাখ ফিলিস্তীনিরা বসতবাড়ী হারা এবং আশ্রয় শিবিরের বাসিন্দা, মিশর সহ আরব দেশ গুলোর সরবরাহ করা ত্রানই ফিলিস্তীনিদের একমাত্র ভরসা। সর্বত্র রক্ত, হামলা আর হাহাকার, হাসপাতাল গুলো যেন নরকে পরিনত হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত ইসরাইলী বাহিনী গাজার চারটি হাসপাতালে হামলা চালিয়ে শত শত হত্যা করেছে। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী ইসরাইলী সেনাদের হামলায় নিহতদের বেশীর ভাগ বেসামরিক লোক। ইসরাঈলী বাহিনীর দীর্ঘ সামরিক যখন গাজার প্রতিটি সড়কে সড়কে অবস্থান নিয়ে স্থল অভিযান পরিচারনা করলেও হামাসের চরম প্রতিরোধ তা সফল হচ্ছে না। ইসরাইলি বাহিনীর প্রধান এজেন্ডা হামাসকে নিশ্চিহৃ করা। কিন্তু তাদের মনের ইচ্ছা ফিলিস্তীনিদের নির্মূল করা। একমাস চার দিনের এই যুদ্ধে হামাসই বীরত্ব দেখিয়ে চলেছে অন্যদিকে প্রতিদিনই ইহুদী সেনারা হামাসের হামলায় নিহত ও আহত হচ্ছে। হামাসের পক্ষে এবং ফিলিস্তীনিদের রক্ষায় ব্যাপক ভিত্তিক হামলা পরিচালনা করছে হিজবুল্লাহ ও হুযিরা। ইয়েমেনের হুযি বিদ্রোহীরা কতটুকু শক্তিশালী তা এবারে ইসরাইলে হামলার মধ্য দিয়ে প্রমান হয়েছে। গতকালও খভর প্রকাশ পেয়েছে যে ইসরাইলী সেনাদের উল্লেখযোগ্য অংশ গাজায় যুদ্ধ করতে নারাজ একদিকে ভয় অন্যদিকে নিরীহ নিরাপরাধী মানুষকে হত্যা করা। গত দুই দিনে ইসরাইলে হামলায় তিন শতাধীক নিরীহ ফিলিস্তীন নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে অন্যদিকে ছয় ইহুদী সেনা নিহত হয়েছে। ইসরাইলের সেনা কমান্ডার জানিয়েছে আমাদের সেনারা গাজায় নির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী অভিযান পরিচালনা করছে তবে হামাস সন্ত্রাসীদের দ্বারা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখিন হচ্ছে, গাজা যে কতটুকু নির্মমতায় ও অগ্নীগর্ভে পরিনত হয়েছে তা স্পষ্ট করে বিশ্ববাসিকে দেখাচ্ছে কাতার ভিত্তিক আর জাজিয়া টেলিভিশন, ইসরাইল সেনাদের বর্তমান সময়ে বিশেষ রাগ ও ক্ষোভ সাংবাদিকদের প্রতি। কারন বিশ্ব মিডিয়ায় ইসরাইলের বিমান হামলা ও হত্যাযজ্ঞ কেবল মাত্র বিশ্বের শত শত কোটি মানুষকে দেখার সুযোগ করে দিচ্ছে সাংবাদিকরা। দখলদার বাহিনীর হামলায় ও হামলা এবং অভিযানের ছবি ও খবর অনুসন্ধানে নিয়োজিত অন্তত সাত সংবাদিকের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে। ইরানের পক্ষ হতে বার বার হুমকি ইসরাইলকে ভাবিয়ে তুলেছে। ইরানের হাতে তাকা অত্যাধুনিক অস্ত্র এবং বিষ্ফরক আগামী দিনগুলোতে ইসরাইলের ভূ-খন্ডে ব্যবহার হলে কিছু করার থাকবে না দখলদার বাহিনীর। এদিকে মধ্যপ্রাচ্যে চীনের পাঠানো ছয় যুদ্ধ জাহাজ ভূমধ্য সাগরে অবস্থান করছে আর চীনের যুদ্ধ জাহাজের অবস্থানের কারনে দশ্যতঃ ইসরাইলের জন্য তা মাথা ব্যথার কারনে পরিনত হয়েছে। হিজবুল্লাহর হামলার কারনে ইতিমধ্যে ইসরাইল আরও একটি যুদ্ধের ফ্রন্ট খুলেছে। ধারনা করা হচ্ছে ইরানের হামলা প্রতিরোধ ও ইরানের অভ্যন্তরে হামলা পরিচালনা করতে ইসরাইল আরও একটি ফ্রন্ট খুলতে পারে। আর এ ভাবে পুরোমধ্য প্রাচ্যময় যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তে পারে।