দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ দখলদার ইসরাইলি বাহিনী এতটুকু অপ্রতিরোধ্য হয়ে পড়েছে যে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ গাজায় যুদ্ধ বিরতি ঘোষনা প্রস্তাব পাশ করলেও গাজায় হত্যাকান্ড চলছেই। অবলিলায় এবং প্রকাশ্যে। বিশ্বের শত শত কোটি মানবতা অনুভব করতে চলেছিলেন যে হয়ত বা এবার দখলদার ইসরাইলি বাহিনী থামবে, নিরস্ত্র, নিরীহ ফিলিস্তিনিরা হত্যাকান্ড হতে বেরিয়ে আসবে বিশ্বময় বর্তমান সময়ে রোজা চলমান, এই পবিত্র রমজান মাসেও দখলদার বাহিনী ফিলিস্তিনিদের উপর নির্যাতন থামাচ্ছে না, ফিলিস্তিনিদের উপর নির্যাতনের খড়ক এমন পর্যায়ে পৌছেছে যে রমজানে অর্থাৎ রোজা রাখতে সিহরীর খাবার এবং ইফতারি সামগ্রী পর্যন্ত গ্রহনে বাঁধা দিচ্ছে। অভূক্ত ফিলিস্তিনিরা খাদ্য না পেয়ে ঘাস এবং লতা পাতা খাচ্ছে। আল জাজিরা টেলিভিশন এর খবরে বলা হয়েছে ফিলিস্তিনিরা ক্ষুধা নিবারনের জন্য পশু খাদ্য পর্যন্ত ভক্ষন করছে এবং অপরিপক্ক পশু জবাই দিয়ে তার মাংস খাচ্ছে। জাতিসংঘ সহ বিশ্বের অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গুলো গাজায় ত্রান তৎপরতা পরিচালনায় ব্যাপক ভিত্তিক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখিন হচ্ছে। পশ্চিমা মিডিয়াসহ এএসপি পরিবেশিত খবরে বলা হয়েছে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু হামাসের সাথে ইসরাইলি প্রতিনিধিদের কে যুদ্ধ বিরতির জন্য আলোচনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে। প্রকাশিত প্রতিবেদনে ইসরাইলের পুনরায় যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে বলা হয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব পাশ হওয়ার পর ইসরাইলের জন্য পুনরায় যুদ্ধ বিরতির আলোচনার বিকল্প ছিল না। পাশাপাশি ইসরাইল নামক রাষ্ট্রটির অন্যতম রাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পিছুটান অর্থাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গাজায় যুদ্ধ বিরতির পক্ষে। অবশ্য এ নিয়ে দখলদার ইসরাইলের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটে। এখানেই শেষ নয় দখলদার বাহিনী ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ হতে প্রবল চাপ, খোদ ইসরাইলিরা দেশটির প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধীর অভিযোগ উত্থাপন করেছে। এবং বর্তমান সময় পর্যন্ত ইসরাইল তার পন বন্দীদেরকে হামাস এর কবল হতে মুক্ত করতে পারেনি। বর্তমান রোজা সময় গুলোতেও হামাসের যোদ্ধাদের প্রতিরোধ হামলায় বিপর্যস্থ হচ্ছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। তেল আবিবে প্রতিদিনই সরকার বিরোধী বিক্ষোভ হচ্ছে। গতকালও দখলদার বাহিনী খান ইউনিসের ধ্বংস হওয়া হাসপাতালগুলোতে পুনরায় বিমান হামলা চালিয়েছে। খান ইউনিস তথা গাজার বিখ্যাত হাসপাতাল আলআকসায় আবারও হামলা এবং উক্ত ধ্বংস হওয়া হাসপাতালে সামান্য চিকিৎসা সেবা প্রদানের সক্ষমতাকেও ধুলিস্যাত করেছে দখলদার বাহিনী,দক্ষিন গাজায় গতকাল ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী রয়টার্স এর খবরে বলা হয়েছে দক্ষিন গাজায় হামাসের হামলায় দখলদার বাহিনীর এক সেনা কর্মকর্তা সহ তিন সেনার নিহত হওয়ার ঘটনায় দক্ষিন গাজায় দখলদার ইসরাইলি বাহিনী নির্বিচারে দক্ষিন গাজায় বিমান হামলা পরিচালনা করে ফিলিস্তিনিদের কে হত্যা করছে। এদিকে হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে গত পাঁচ মাসের অধিক সময় গুলোতে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী তেত্রিশ হাজারের অধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী ও শিশু। ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা গতকালও গাজায় প্রবেশমুুখি ত্রানবাহি একাধিক গাড়ীর গতিরোধ করে। লোহিতসাগরে হুতি বিদ্রোহীদের হামলায় থেমে নেই। গতকালও লোহিত ও ভূমধ্যসাগরে ইসরাইল সহ ইসরাইল সংশ্লিষ্ট জাহাজে হামলা চালিয়েছে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনী আবারও লেবাননে হামলা চালালে উত্তরে গত দুই দিন যাবৎ লেবাননের হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা একাধিকবার ইসরাইলি ভূ-খন্ড ক্ষেপনাস্ত্র হামলা পরিচালনা করে, রমজান মাসেরদিন গুলোতে গাজায় শিশু ও নারী হত্যা চলছেই গাজার পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌছেছে যে আগামী দিন গুলোতে গাজার কোন এলাকাই শিশুদের জন্য নিরাপদ নয়, সহসা ইসরাইলের পক্ষে গাজায় যুদ্ধ বিরতির ঘোষনা আসলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।