এফএনএস বিদেশ : ইয়েমেন থেকে ছোড়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের প্রধান বিমানবন্দর বেন গুরিওন—এ আঘাত হেনেছে। এর ফলে ফলে রানওয়ে কাঠামো এবং একটি যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত চারজন আহত হয়েছে। গতকাল রোববার সকালে ইসরায়েলি বাহিনী জানায়, তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বেশ কয়েকবার ক্ষেপণাস্ত্রটি আটকানোর চেষ্টা করার পরেও তা ভূপাতিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। এ নিয়ে তদন্ত চলছে। আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুসারে, ইসরায়েলের ব্যস্ততম এই বিমানবন্দরে হামলার পর বিমান চলাচল স্থগিত করা হয়। এর সমস্ত প্রবেশপথ এবং ঘটনাস্থলে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ইসরায়েলি মিডিয়ার খবর অনুযায়ী, হামলার সময় মধ্য ইসরায়েলজুড়ে সাইরেন বেজে ওঠে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যায়। অনলাইনে প্রচারিত আঘাতের স্থানের ভিডিওতে দেখা গেছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি বিমানবন্দরের ঘেরের ভেতরে একটি সংযোগকারী রাস্তায় আঘাত করেছে। পাশের রাস্তায় কিছু ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এদিকে, হুথিরা তাৎক্ষণিকভাবে এই হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধের কারণে ইসরায়েলি শহরগুলোতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইয়েমেনের সশস্ত্র আন্দোলনটি। ইয়েমেনজুড়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের সামরিক বাহিনী প্রতিদিন বোমাবর্ষণ করলেও হুথিদের হামলা অব্যাহত রয়েছে। আজ ভোরেও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো ইয়েমেনে আরও অনেক মার্কিন বিমান হামলার খবর দিয়েছে। আল মাসিরাহ টিভি জানিয়েছে, মার্কিন যুদ্ধবিমানগুলো আল—জাওফ গভর্নরেটের আল—হাজম জেলায় ১০টি এবং মারিব গভর্নরেটে তিনটি হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েল রেজিলিয়েন্স পার্টির নেতা বেনি গ্যান্টজ বলেছেন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্য ওরানের উপর দোষ চাপানো উচিত। তিনি এক্স—পোস্টে লিখেছেন, ইরানই ইসরায়েল রাষ্ট্রের ওপর ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে এবং তাদের অবশ্যই এর দায় বহন করতে হবে। ইসরায়েলের ওপর গুলি চালানোর ফলে তেহরানে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে। বিরোধী দলের একজন শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্ব ইয়ার গোলান বলেছেন, লাখ লাখ ইসরায়েলি আবার আশ্রয়কেন্দ্রে গেছে, গাজায় বন্দি ইসরায়েলিরা মারা যাচ্ছে, জীবনযাত্রার ব্যয় পরিবারগুলোকে চূর্ণবিচূর্ণ করছে এবং সংরক্ষিত সৈন্যরা যুদ্ধের ‘ভারের নিচে ভেঙে পড়ছে’। এটা নেতানিয়াহুর জন্য, সরকারের জন্যও অনেক বড় ব্যাপার। আমাদের অবশ্যই অপহৃতদের বাড়ি ফিরিয়ে দিতে হবে এবং যুদ্ধের অবসান ঘটাতে হবে।