এফএনএস: জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিবন্ধিত দলগুলো শর্ত মানছে কিনা তা জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে সেই চিঠির জবাব দেয়নি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগসহ ১৮টি দল। এর মধ্যে বিএনপি জবাব দিতে সময় চেয়েছে। বৃহস্পতিবারের মধ্যে কমিশনকে জবাব দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ইসির দেওয়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগসহ ১৮টি দল জবাব দেয়নি। তবে জবাব দিয়েছে ১৭টি দল। আর জবাব দেওয়ার জন্য তিনটি দল সময় চেয়েছে। এরমধ্যে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় চেয়েছে বিএনপি। চিঠিতে দলগুলোর কেন্দ্রীয় ও মাঠ পর্যায়ে অফিস; নির্বাচিত কমিটি ও সব স্তরে ৩৩ শতাংশ নারীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হচ্ছে কিনা তার হালনাগাদ তথ্য চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন। ২০০৮ সাল থেকে সংসদ নির্বাচনের আগে দলের নিবন্ধন প্রথা চালুর পর ৪৪টি দল নিবন্ধন পায়। এরমধ্যে পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় বর্তমানে নিবন্ধিত রয়েছে ৩৯টি দল। ইসির জবাব দিয়েছে যে দলগুলো, সেগুলো হলোÑ ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন (বিটিএফ), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, ইসলামি ঐক্যজোট (আইওজে), খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বি জেপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, বাংলাদেশ ইসলামি ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ, মুক্তিজোট, গণফোরাম, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় পার্টি জেপি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)। এছাড়া ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় চেয়েছে বাংলাদেশ বিএনপি। তিনমাস সময় চেয়েছে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল) ও বাংলাদেশ কংগ্রেস। এ বিষয়ে ইসির উপ-সচিব মো. আবদুল হালিম খান বলেন, নিবন্ধিত দলগুলো শর্ত মানছে কিনা তা জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। এরমধ্যে কয়েকটি দল সময় চেয়েছে। বাকি দলগুলোর জন্য সময় বাড়ানো হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা কমিশনের কাছে এ বিষয়ে উপস্থাপন করবো। কমিশন দেখে সময় বাড়াবে কিনা তা বিবেচনা করবে। কোনো দল শর্ত পালন না করলে কমিশন চাইলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে বলে জানান ইসির উপ-সচিব। তিনি জানান, অতীতেও কয়েকটি দলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার রেকর্ড আছে।