দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা গাজা উপত্যকায় কেবল নিরীহ ও নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের উপর হামলা ও হত্যা করছে তা নয়। দখলদার বাহিনীর সদস্যরাও প্রতিনিয়ত হামলার শিকার হচ্ছে। এদিকে ইরানের সম্ভাব্য হামলা মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের মোতায়েন করা যুদ্ধ জাহাজ ও যুদ্ধবিমানের ভরসায় থাকলেও দখলদার ইসরাইলের নাগরিকরা চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন যাপন করছে। গত তিন/চার দিন পর্যন্ত ইসরাইলের তেল আবিব আন্তজার্তিক বিমান বন্দর সহ অন্যান্য বিমান বন্দর গুলো হতে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীন ফ−াইট বন্ধ আছে। কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা জানিয়েছে ইহুদীরা দলে দলে ইসরাইল ত্যাগ করছে। টেলিভিশন চ্যানেলটি আরও জানিয়েছে, বিমান চলাচল বন্ধ থাকলেও ইসরাইলি নাগরিকরা সড়ক ও নদীপথে দেশত্যাগ করছে। ধারনা করা হচ্ছে যে কোন সময়ে ইরান ইসরাইলে আক্রমন করতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কমান্ড পেন্টাগন বলেছে ইসরাইলের উপর আঘাত করলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার উপযুক্ত জবাব দিবে। ইসরাইলকে সুরক্ষা দিতে যা যা করনীয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তা তা করবে। পশ্চিমা মিডিয়া এএফপি ও রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে ইরান তার মিত্রদের এক কাতারে আনায়ন করে ঐক্যবদ্ধ ভাবে দখলদার ইসরাইলের উপর হামলা পরিচালনা করবে আর উক্ত হামলা এমন ভাবে সম্পন্ন করতে চায় যেন ইসরাইলের পক্ষে তার আত্মরক্ষার সুযোগ না থাকে। হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসেম ব্রিগেড জানিয়েছে কোন অবস্থাতেই ইসরাইলকে ক্ষমা করা হবে না। ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী জনগোষ্ঠীর আদর্শিক নেতা হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার বদলা অবশ্যই নেওয়া হবে। ইসরাইল নামক রাষ্ট্রটির অস্তিত্ব শেষ করে ধ্বংস করা হবে। এদিকে হিজবুল−াহ প্রধান হাসান নাসরুল−াহ ঘোষনা দিয়ে বলেছে আকাশ, স্থল এবং নৌপথে সব ক্ষেত্রেই আমরা ইসরাইলকে মোকাবিলা ও হামলা করবো। হিজবুল−াহ প্রধান আরও বলেন, ইতিমধ্যে দখলদার ইসরাইলের বিমান, সেনা ও নৌ ঘাটির চিত্র আমরা পেয়েছি। হুতিদের পক্ষ হতে বলা হয়েছে সাগরে ইসরাইল ও ইসরাইল সংশি−ষ্ট জাহাজে হামলার পাশাপাশি ইসরাইলের অভ্যন্তরে বড় ধরনের হামলা পরিচালনা করা হবে। গত দুইদিন যাবৎ আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলোতে ইসরাইলকে সুরক্ষা দিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ জাহাজ ও যুদ্ধ বিমান দেওয়ায় ব্যাপক ভিত্তিক আলোচনা এবং সমালোচনা হচ্ছে। বিশ্ব বাসি স্পষ্ট হলো এবং একই সাথে বিশ্বের মানবতাবাদী শত শত কোটি মানুষ ইসরাইলকে সামরিক সহায়তা প্রদান করায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে দুষছে। গতকাল গাজার সিটির পথে পথে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী ও হামাস যোদ্ধাদের সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। উত্তর, মধ্য ও পশ্চিম গাজায় দখলদার ইসরাইলি বাহিনী সপ্তাহব্যাপী গনহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে পশ্চিম গাজায় দখলদার বাহিনীর দমন পিড়নের ঘটনাটি অভ্যাহত ভাবে ঘটে চলেছে। হামাস যোদ্ধারা গাজার মাটিতে প্রকাশ্যে অস্ত্র উচিয়ে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। হামাস এর অন্তত দশহাজার সশস্ত্র যোদ্ধা গাজায় যুদ্ধরত। এদিকে ইরান এর সর্বচ্চ ধর্মীয় নেতা ইসরাইলে হামলার কৌশল নির্ধারনী সভায় ইরানের বিভিন্ন বাহিনীর কমন্ডারদের সাথে বৈঠক করেছেন। ইরান ইসরাইলকে চরম শিক্ষা দিতে চাইলে এমনকি অবৈধ রাষ্ট্রটিকে ধ্বংস করাই ইরানের লক্ষ এমন বক্তব্য দিয়েছেন দেশটির সর্বচ্চ ধর্শীয় নেতা। এদিকে আরব বিশ্বে ইসরাইলি পন্য বয়কট শুরু হয়েছে এবং সহসা আরব দেশ গুলো ইসরাইলের সাথে কুটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে যাচ্ছে এমনটি জানিয়েছে পশ্চিমা মিডিয়া।