শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধি দলের বৈঠক আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা দেশের দুই সমুদ্রবন্দরে চালু হচ্ছে কনটেইনারবাহী জাহাজ চলাচল আদালতে সৌদি রাষ্ট্রদূতকে স্বামী দাবি করলেন মডেল মেঘনা বজ্রপাতে বিএনপি নেতার মৃত্যু রোববার আবার বিএনপির সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে ক্ষমা চাইতে বলেছে বাংলাদেশ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কাতারে যাচ্ছেন চার নারী খেলোয়াড় দেবহাটার ঘরে ঘরে ছাগল পালন বাণিজ্যিক ভাবে চলছে চাষ \ খামার দেখভালে এগিয়ে মা বোনেরা শ্যামনগরে পরীক্ষায় নকলের দায়ে ১১ শিক্ষার্থী বহিষ্কার দায়িত্বহীনতায় ১২ শিক্ষক অব্যাহতি মাহফিলের টাকা গ্রহণ করে বক্তা না আসায় আদালতে মামলা

ঈদের আগে ত্বকের যত্ন।

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় সোমবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৩

এফএনএস লাইফস্টাইল: রোজায় ব্যস্ততার কারণে অনেকেরই নিয়মিত ত্বকের যতœ নেওয়া হয় না। এর ওপর অপর্যাপ্ত পানি পান, ইফতারে ভাজাপোড়া খাওয়ার কারণে ত্বকে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। এসব সমস্যা এক দিনে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয়। এজন্য ঈদের কিছুদিন আগে থেকেই ত্বকের যতœ নিতে হবে। এতে ঈদের দিনে সুন্দর ত্বক পেতে বাড়তি কোনো ঝামেলা পোহাতে হবে না। আগে থেকে ত্বকের যতœ নিলে ঈদের দিন ত্বক সুন্দর ও সতেজ দেখাবে। ধাপে ধাপে এই কদিন নিজের জন্য সময় বের করে নিন। এতে রোজার ব্যস্ততার মধ্যেও ঠিকঠাক ত্বকের যতœ নিতে পারবেন।
তৈলাক্ত ত্বক
যাঁদের তৈলাক্ত ত্বক, তাঁদের ভোগান্তি বেশি। তবে কিছু নিয়ম মেনে যতœ নিলে ঈদের দিনেও তৈলাক্ত ত্বক সুন্দর থাকবে। শসার রস ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে খুবই কার্যকর। এখন থেকেই প্রতিদিন শসার রস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন।
সপ্তাহে এক দিন একটি ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। এক চা চামচ বেসন, সামান্য টক দই ও সামান্য হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। মুখে লাগিয়ে আধাঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। একটি ডিমের সাদা অংশ, শসার রস ও পুদিনাপাতার পেস্ট মিশিয়েও প্যাক বানাতে পারেন। সপ্তাহে দুদিন এই প্যাক ব্যবহারে তৈলাক্ত ত্বকে সৌন্দর্য ফুটে উঠবে। লেবুর রস ত্বকের তেলতেলে ভাব দূর করা ও ত্বকের জৌলস বাড়াতে সাহায্য করে। নিয়মিত লেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন।
শুষ্ক ত্বক
শুষ্ক ত্বক সহজে ফেটে যায়। অন্যান্যের চেয়ে শুষ্ক ও রুক্ষ ত্বকের অধিকারীদের সমস্যা একটু বেশি। এজন্য তাঁদের দরকার বাড়তি যতœ। ত্বকে তেলগ্রন্থি প্রয়োজনের তুলনায় কম থাকলে, ত্বকের গঠন পাতলা হলে, অপর্যাপ্ত পানি পানসহ নানা কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে। এজন্য এখন থেকেই ভালো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। পর্যাপ্ত পানি পানের পাশাপাশি প্রতিদিন মৌসুমি ফল ও শাক-সবজি খেতে হবে। গোসলের আগে ত্বকে-মুখে অলিভ অয়েল মেখে নিতে পারেন। শুষ্ক ত্বকে মধু ম্যাসাজে উপকার পাওয়া যায়। শুষ্ক জায়গায় মধু ম্যাসাজ করে দু-তিন মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। অ্যালোভেরা জেল মধুর সঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন। ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। উপকার পাবেন।
স্বাভাবিক ত্বক
স্বাভাবিক ত্বক সুন্দর রাখতে খুব বেশি যতেœর দরকার হয় না। এই ত্বক এমনিতেই মসৃণ ও সুন্দর লাগে। নিয়মিত ঠাÐা পানি ও ফেসওয়াশ দিয়ে ত্বক পরিষ্কার রাখতে হবে। মুখ পরিষ্কারের সময় আঙুলের সাহায্যে ত্বকে আলতোভাবে ম্যাসাজ করতে হবে। এতে ত্বকে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে। ঘরোয়া যেকোনো প্যাক ব্যবহারেও ত্বক সুস্থ ও সুন্দর দেখাবে। পাকা পেঁপে মুখে ও গলায় মেখে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। মসুর ডাল বেটে এর মধ্যে মধু, কাঁচা দুধ ও কয়েক ফোঁটা গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে মুখে ও গলায় ব্যবহার করলেও ভালো ফল পাওয়া যাবে।
ম্যানিকিউর ও পেডিকিউর
ঈদের অন্তত এক সপ্তাহ আগেই হাত-পায়ের যতেœ একবার ম্যানিকিউর ও পেডিকিউর করানো খুব জরুরি। রোজার মাসে ইফতারি তৈরি ও সাহরি রান্নাবান্নায় হাতের ওপর দিয়ে অনেক ধকল যায়। হাতের যতেœ পার্লারে গিয়ে ম্যানিকিউর করে নিতে পারেন। সঙ্গে পায়ের যতেœ পেডিকিউর করালেও ভালো ফল পাওয়া যাবে। অনেক পার্লার ঈদ উপলক্ষে হাত ও পায়ের যতেœ ম্যানিকিউর-পেডিকিউরে নানা প্যাকেজ সেবা দেয়। পার্লারে ম্যানিকিউর-পেডিকিউরে নখ, কিউটিকল, কনুই থেকে পায়ের পাতা, গোড়ালির যতœ নেওয়া হয়ে যায়। চাইলে বাড়িতেও ম্যানিকিউর-পেডিকিউর করতে পারেন। এজন্য ম্যানিকিউর-পেডিকিউর করার জন্য বিশেষ ব্রাশ কিনে নিতে পারেন। টুথব্রাশ দিয়েও কাজ সারতে পারেন। অথবা ম্যানিকিউর-পেডিকিউর সেট কিনে ব্যবহার করতে পারেন। মৃত কোষ দূর করে ত্বককে কোমল ও উজ্জ্বল করে তুলতে ম্যানিকিউর ও পেডিকিউর খুব উপকারী। এতে হাত-পায়ের রুক্ষভাব কমে আসে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

দিনটা শুরু হবে চায়ে, না কফিতে? জানুন কোনটা ভালো সকালের শুরুটা কেমন হয়, পুরো দিনের ওপর তার একটা ছাপ পড়ে। কেউ সকালে উঠে চায়ের কাপ হাতে না পেলে যেন দিনই শুরু করতে পারেন না, আবার কেউ আছেন কফির তীব্র গন্ধ ছাড়া সকাল কল্পনাই করতে পারেন না। এই দুটি পানীয় শুধু স্বাদের জন্য নয়, বরং অভ্যাস, সংস্কৃতি এবং মানসিক প্রশান্তির প্রতীক হয়ে উঠেছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে—সকালের জন্য কোনটা ভালো? চা নাকি কফি? এই নিয়ে নানান জনের নানান মত। চাপ্রেমীরা বলবেন চায়ের কথা তেমনি কফিপ্রেমীদের ভোট থাকবে কফিতে। আসুন জেনে নেই আসলে স্বাস্থ্যকর দিক থেকে কোনটি সবচেয়ে ভালো। বিশ^জুড়ে কোটি কোটি মানুষ দিনের শুরু করে এক কাপ চা দিয়ে। বিশেষ করে উপমহাদেশে চা শুধু পানীয় নয়, এক ধরনের সংস্কৃতি। আমাদের দেশে সকালে বাসার বারান্দায় বসে কড়া লাল চা কিংবা দুধ চা পান করার অভ্যাস অনেক পুরোনো। চায়ে উপস্থিত থাকে ক্যাফেইন, তবে তা কফির তুলনায় অনেক কম। এজন্য চা ধীরে ধীরে কাজ করে, মাথা ঠান্ডা রাখে এবং এক ধরনের প্রশান্তি দেয়। এতে থাকা এল—থিয়ানিন নামক অ্যামিনো অ্যাসিড মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে এবং মনোযোগ বাড়ায়। যাদের সকালে অতিরিক্ত উত্তেজনা বা নাড়া—চাড়া একদম পছন্দ নয়, তাদের জন্য চা একটি আদর্শ পানীয় হতে পারে। অন্যদিকে কফি হচ্ছে সকালের সেই পানীয়, যা অনেকের চোখ খুলে দেয়। যাদের সকালে কাজে নেমে পড়তে হয় দ্রুত, তাদের কাছে কফি যেন এক অলৌকিক শক্তির উৎস। এতে থাকা বেশি পরিমাণ ক্যাফেইন খুব দ্রুত কাজ করে, মনোযোগ বাড়ায়, ক্লান্তি দূর করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এক কাপ ব্ল্যাক কফি সকালবেলা শরীরের মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে এবং ফ্যাট বার্নিংয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখে। তাই যারা স্বাস্থ্য সচেতন, তাদের অনেকেই সকালে কফিকেই বেছে নেন। কোনটা বেশি স্বাস্থ্যকর? চা এবং কফি—দু’টোর মধ্যেই রয়েছে স্বাস্থ্য উপকারিতা। চায়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন ক্যাটেচিন এবং ফ্ল্যাভোনয়েডস হৃদরোগ, ক্যানসারসহ নানা জটিল রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। গ্রিন টি তো একেবারে স্বাস্থ্য সচেতনদের প্রিয়। অন্যদিকে কফির মধ্যেও রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং নানা উপকারী উপাদান যা টাইপ—২ ডায়াবেটিস, পারকিনসনস ডিজিজ এবং অ্যালজাইমার্স প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। তবে একটা বড় পার্থক্য হলো—কফির অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণে উদ্বেগ, ঘুমের সমস্যা, হৃদকম্পন ইত্যাদি হতে পারে। অন্যদিকে চা তুলনামূলকভাবে বেশি সহনীয় এবং দীর্ঘমেয়াদে কম পাশ^র্প্রতিক্রিয়ামূলক। জীবনধারা ও অভ্যাস নির্ভর সকালে চা ভালো, না কফি—এই প্রশ্নের উত্তর অনেকাংশেই নির্ভর করে ব্যক্তির জীবনধারা ও স্বাস্থ্যের ওপর। কেউ যদি খুব সকালে উঠে ধীরে ধীরে দিন শুরু করেন, কিছুক্ষণ বই পড়ে, প্রার্থনা করেন বা নিজেকে সময় দেন—তাদের জন্য চা একটি উপযুক্ত সঙ্গী। আবার অফিস শুরু হতেই যদি ছুটতে হয়, মাথা ঠান্ডা রাখতে না পারলে সমস্যা হয়, তবে এক কাপ কফি প্রয়োজনীয় জ্বালানির মতো কাজ করে। অনেকেই আবার দুটোই পছন্দ করেন—সকালে কফি, বিকেলে চা। এতে শরীর ও মন দুটোকেই যথাযথভাবে সাড়া দেওয়া যায়।চা বনাম কফি, এই লড়াইয়ে নির্দিষ্ট করে জেতার কেউ নেই। বরং আপনার শারীরিক চাহিদা, মানসিক অবস্থা, এবং সকালের অভ্যাস—এই তিনটাই ঠিক করে দেবে কোনটা আপনার জন্য উপযুক্ত। কেউ হয়তো সকালে এক কাপ লাল চা নিয়ে প্রকৃতির শব্দে মুগ্ধ হন, আবার কেউ কফির তীব্রতায় জেগে উঠে নতুন দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত হন। দিনের শুরুটা হোক যেভাবেই চা বা কফি, দুটোই যদি আপনাকে ইতিবাচকতায় ভরিয়ে তোলে, তবে সেটাই আপনার জন্য সেরা সকাল।

© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com