এফএনএস: ঈদের (ঈদুল ফিতর) সময় এক কোটি পরিবার ১০ কেজি করে চাল পাবে বিনামূল্যে। এমনটি জানিয়েছেন খাদ্য ও ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। গতকাল সোমবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তিন দিনের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের প্রথম কার্য—অধিবেশন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এ সময় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাসুদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। উপদেষ্টা বলেন, ঈদের সময় এক কোটি পরিবার ১০ কেজি করে চাল পাবে একদম ফ্রি (বিনামূল্যে)। এমন আরও কিছু কার্যক্রম রয়েছে। এসব চাল বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে বড় সহায়তা করবে। এসব বিতরণ কার্যক্রম বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ করবে। কিন্তু এর প্রধান তদারকি করবেন ডিসিরা। তিনি বলেন, আগামী মার্চ ও এপ্রিল এই দুই মাসে প্রায় সাত লাখ টন খাদ্যশস্য বিতরণ করা হবে। এর মধ্যে দেড় লাখ টন করে দুই মাসে তিন লাখ টন চাল খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে বিতরণ করা হবে। ৫০ লাখ পরিবার প্রতি কেজি ১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি করে পাবে। টিসিবির মাধ্যমে আরও ৫০ লাখ টন করে দুই মাসে এক লাখ টন চাল যাবে। ওএমএসের মাধ্যমে যাবে আরও এক লাখ টন। পবিত্র রমজান মাসে বিশাল পরিমাণ খাদ্যশস্য অত্যন্ত সুলভ মূল্যে এবং ক্ষেত্র বিশেষে বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। এই কার্যক্রম সুশৃঙ্খলভাবে পালনে ডিসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান খাদ্য ও ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। আলী ইমাম মজুমদার বলন, রোজায় সুলভ মূল্যে চাল বিতরণ কর্মসূচি নিয়েছে সরকার। এই কার্যক্রম যেন সঠিকভাবে হয়, তা তদারকি করতে ডিসিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রামে ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থেকে কর্মসূচি তত্ত্বাবধান করবেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, প্রশাসনকে যেভাবে ব্যবহার করা হয় সেভাবেই তারা কাজ করে। আমরা আশা করবো, অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে যে নির্বাচন হবে প্রশাসনের হাত দিয়ে সেটা ভালো নির্বাচন হবে। তিনি বলেন, দেশে যতগুলো গ্রহণযোগ্য ও বিতর্কিত নির্বাচন হয়েছে, তার সবই করেছে প্রশাসন। তাদের যেভাবে ব্যবহার করা হবে, তারা সেভাবেই কাজ করবে। অন্তর্বর্তী সরকার তাদের অপরাধ কর্মে ব্যবহার করবে না। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে বদ্ধ পরিকর অন্তর্বর্তী সরকার। ভূমি সংক্রান্ত বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, আগামী ১০ মার্চের মধ্যে ভূমি ব্যবস্থাপনায় ৮০ শতাংশ ই—নামজারির কাজ শেষ হবে। জমির মিউটিশনের কাজ ডিজিটাল করার কাজও চলমান। ভূমি নিয়ে মানুষের হয়রানি বন্ধে সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। ডিসিরা যাতে এ কাজে সহায়তা করে সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।