সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে টানা দুই ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হার। ঘরের মাঠে দাপট দেখিয়ে সিরিজ জয়টাও নিশ্চিত করে ফেলল উইন্ডিজ। সিরিজ বাঁচানোর এই ম্যাচে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ২২৭ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ। সহজ লক্ষ্য পেয়ে দুই ওপেনার মিলেই তুলে নেন প্রায় অর্ধেক রান। এরপর হোপ ও রাদারফোর্ডের ব্যাটে ১৩.১ ওভার হাতে রেখে নিশ্চিত হয় ৭ উইকেটের বড় জয়। ২০১৪ সালের পর বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম ওয়ানডেতে ৫ উইকেটের জয়ে এগিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় ম্যাচেও মেহেদী হাসান মিরাজের দল পাত্তা পেল না স্বাগতিকদের কাছে, ৩৬.৫ ওভারেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৭ উইকেটের জয়। ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতল ওয়ানডে সিরিজ। বাংলাদেশের কাছে টানা ১১ ওয়ানডে হারের পর এবার ব্যাক টু ব্যাক জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ঘরের মাঠে টানা দুই ওয়ানডে সিরিজ হারের পর অবশেষে বাংলাদেশকে হারাতে পারল ক্যারিবীয়রা। আজ বৃহস্পতিবার এই ওয়ার্নার পার্কেই সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ। রান তাড়ায় নেমে ভালো শুরু পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইনিংসের ২১তম ওভারে গিয়ে প্রথম উইকেটের দেখা পেল বাংলাদেশ। রিশাদ হোসেনের বলে তাঁরই হাতে ক্যাচ দিয়েছেন এভিন লুইস। ১ রানের জন্য মিস করেন ফিফটি। আর তাতেই ভাঙে ১০৯ রানের উদ্বোধনী জুটি। সহজেই জয়ের ভিত পেয়ে যায় উইন্ডিজ। এরপর ব্র্যান্ডন কিংয়ের সঙ্গী হন কেসি কার্টি। এই জুটিতেও রান যোগ হয় ৬৬। মূলত এ দুটি জুটির কারণেই ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছে বাংলাদেশ। লুইস ফিফটি বঞ্চিত হলেও ৫২ বলে ৫০ করেন কিং। দারণ সব স্ট্রোক্স খেলে ছুটছিলেন শতকের পথেই। তবে এবার তার বাঁধা হলেন নাহিদ রানা। দারুণ এক ডেলিভারিতে সামলাতে ব্যর্থ কিং হলেন বোল্ড। উইন্ডিজের ১৭৫ রানে টাইগাররা পায় দ্বিতীয় উইকেটের দেখা। ৭৬ বল খেলে আউট হওয়া ব্র্যান্ডন কিং ৮ চার ও ৩ ছক্কায় করেন ৮২ রান। ব্যক্তিগত ৪০ রানে কেসি কার্টি জীবন পান সৌম্য সরকারের হাতে। আফিফ হোসেন ধ্রুব নিজের প্রথম বলেই পেতে পারতেন উইকেট, তবে সৌম্যকে এক হাতে লুফে নিতে হত ক্যাচ। আফিফকে অবশ্য উইকেটের জন্য খুব বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি। ৪০ থেকে ৪৫ রানে গিয়ে কার্টি আবারও তুলেন ক্যাচ, এবার অবশ্য বল তালুবন্দি করে আফিফকে উইকেট উদযাপনের মুহূর্ত এনে দেন নাহিদ রানা। ১৭ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক। শেরফানে রাদারফোর্ড ১৫ বলে ২৪ রানের ক্যামিও খেলে দলের জয় নিশ্চিত করেন।