এফএনএস বিদেশ : পারমাণবিক অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে কোনও আলোচনায় বাড়তি সুবিধা পাওয়া নিয়ে মাথাব্যথা নেই উত্তর কোরিয়ার। তাদের দেশ ও জনগণকে শত্রুদের হুমকি থেকে রক্ষা করতে এসব অস্ত্র তৈরি করা হয়েছে। গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে পিয়ংইয়ং এই দাবি করেছে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। উত্তর কোরীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ—তে রাষ্ট্রপক্ষের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, খুব স্পষ্ট করে আমরা আবারও জানাতে চাই যে, পারমাণবিক অস্ত্র দিয়ে কারও স্বীকৃতি পাওয়া বা দরকষাকষি নিয়ে আমাদের কোনও আগ্রহ নেই। বরং আমাদের পারমাণবিক শক্তি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত, যা আমাদের দেশের সার্বভৌমত্ব ও জনগণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার যেকোনো প্রচেষ্টা দ্রুত নির্মূল করতে সক্ষম। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউজে জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার বৈঠকের পর এই বিবৃতি এলো। বৈঠকে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন তারা। বৈঠকের পর ট্রাম্প ও ইশিবা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে তাদের গুরুতর উদ্বেগ রয়েছে। পাশাপাশি, এর সমাধানের প্রয়োজনীয়তা পুনর্ব্যক্ত করেছেন দুই নেতা। তারা উত্তর কোরিয়ার সম্পূর্ণ পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে দৃঢ় অঙ্গীকার নিশ্চিত করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের ওই বৈঠকের বিষয়ে কিছু উল্লেখ করা না হলেও ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তাদের বরাতে উত্তর কোরিয়ার সম্পূর্ণ পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে কিছু বক্তব্য তুলে ধরেছে। ট্রাম্পের সঙ্গে সংলাপ পুনরায় শুরুর প্রস্তাবে সরাসরি সাড়া দেয়নি পিয়ংইয়ং। বরং তারা নিজেদের পারমাণবিক শক্তি আরও জোরদার করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। শুক্রবার এক বক্তব্যে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক রাখার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। তিনি দাবি করেন, কিমের সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক রয়েছে। প্রথম মেয়াদে তারা কয়েকটি শীর্ষ বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন।