ক্ষিন গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলা স্থল অভিযানে দখল দার ঃ এবার
নিহত হচ্ছে নারী ও শিশু ঃ ইসরাইলের সেনা ঘাঁটিতে হামাসের হামলা ঃ ষাট সেনা
হতাহত ঃ দুই সেনার মৃত্যু স্বীকার করেছে ইসরাইল ঃ লোহিত সাগরে মার্কিন রনতরিতে
হামলা ঃ গাজার চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছেঃ তুরস্কের আবারও হুশিয়ারী,
দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ একদিনে সাতশত ফিলিস্তীনিকে হত্যা করলেও দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর অন্ততঃ ষাট সেনা হতাহতের শিকার হয়েছে। নির্বিচারে বর্বর ইসরাইলের বিমান বাহিনীর বিমানগুলো গাজার বিভিন্ন এলাকাতে বিমান হামলা চালানোর সময় গুলো হামাস যোদ্ধাদের দ্বারা চরম ভাবে প্রতিরোধের মুখে পড়েছে। হামাস যোদ্ধারাও ব্যাপক ভিত্তিক হামলা চালিয়েছে দখলদার বাহিনীর উপর। হামাস ইসরাইলের অভ্যন্তরে একটি সেনা ছাউনিতে হামলা চালিয়ে ষাট সেনাকে হতাহতের খবর দিয়েছে। অবশ্য এ বিষয়ে ইসরাইলের পক্ষ থেকে কোন বিবৃতি প্রদান করা না হলেও বলা হয়েছে হামাস আমাদের সেনা ছাউনিতে হামলা করেছে। অবশ্য ইসরাইল তাদের দুই সেনার নিহত হওয়ার খবর স্বীকার করেছে। দ্বিতীয় দফায় যুদ্ধ বিরতির ফয়সালা না হওয়ায় হামাস জানিয়েছে যে ইসরাইলকে আগে ফিলিস্তীনিদের উপর হামালা ও হত্যা বন্ধ করতে হবে তারপর যুদ্ধ বিরতি সহ বন্দী বিনিময় চুক্তি হতে পারে। আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পরপরই ইসরাইল গাজায় ব্যাপক ভিত্তিক বিমান হামলা পরিচালনা শুরু করলে হামাস ও দখলদারদের বিরুদ্ধে হামলা পরিচালনা করে। গাজায় সরাসরি প্রতিরোধ যুদ্ধের পাশাপাশি ইসরাইলের ভূ-খন্ডেও ব্যাপক ভিত্তিক হামলা পরিচালনা করে। এদিকে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী হামাসের সাথে যুদ্ধে না পেরে নিজেদেগর সেনাদের প্রাণ রক্ষা করতে ও যুদ্ধ ট্রা্কং সহ সামরিক যান বাঁচাতে উত্তর গাজা হতে সরে আসছে হামাসের পক্ষ হতে বলা হয়েছে এদিকে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে গাজায় তারা হামাসের একজন কমান্ডারকে হত্যা করেছে। গাজার উত্তর এলাকা হতে ইসরাইলি বাহিনী ফিরে আসতে শুরু করার সময়ে বিমান হতে লিফলেট ফেলে বলছে তাদের পরবর্তি দার্গেট দক্ষিনের খান ইউনুস। উল্লেখ্য হামাসের সাথে সাত দিন যাবৎ খান ইউনুসে দখলদার ইসরাইল বাহিনীর সাথে হামাস যোদ্ধাদের সম্মুখ যুদধ চলছে। উক্ত সম্মুখ যুদ্ধে দুই ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছে বলে হামাস সূত্রে জানাগেছে। এদিকে কাতার ভিত্তিক আল জাজিরা খবরে বলা হয়েছে ইসরাইল বাহিনীর সাথে হামাস যোদ্ধাদের শেখ রাদওয়ান ও আল নাসের এলাকাতে ব্যাপক ভিত্তিক যুদ্ধ চলছে। সম্মুখ এই যুদ্ধে দুই পক্ষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওা গেছ। ইসরাইলি বাহিনীর কয়েকটি ট্রাংক ও সামরিক যান ধ্বংসের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কাতার ভিত্তিক মিডিয়া আল জাজিরা টেলিভিশন সহ একাধিক মিডিয়া। গাজায় অব্যাহত ভাবে ইসরাইলের বিমান হামলা এবং হামাসের প্রতিরোধ যুদ্ধ চারিদিকে বোমা, আগুন আর লাশ সব মিলে গাজা এক নরক যন্ত্রনার ভূমিতে পরিনত হয়েছে এমন বিভিষিকাময় পরিস্থিতিতে গাজায় অবস্থানরত বিদেশী নাগরিক ও দ্বৈত নাগরিক গাজা ছাড়ছে। ইতিমধ্যে মিশরের রাফাহ সীমান্ত দিয়ে মিশরে প্রবেশ করেছে। গাজা ছেড়ে যাওয়া বিদেশীদের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, নরওয়ে, জার্মান, তুরস্ক ও ফিলিপাইনের নাগরিক। ইসরাইলকে সমর্থন ও সহযোগিতা কারী পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলোর প্রতি হামাসের দুরত্ব ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অনেক আগেই হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকায় রেখেছে। গতকাল লোহিত সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের একটি রনতরি ও বানিজ্য জাহাজের হামলার ঘটনা ঘটেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মকান্ডের স্থল পেন্ডাগন তাদের রনতরি ও বাণিজ্য জাহাজে হামলার কথা স্বীকার করেছে। সাম্প্রতিক সময় গুলোতে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধের প্রভাব এই হামলা কিনা তা বিস্তারিত বলেনি পেন্টাগন। বৃটিশ এক গণ মাধ্যম ইয়েমেনের হুযি বিদ্রোহীদের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেছে যেহেতু লোহিত সাগরে হামরার ক্ষেত্রে ইয়েমেনের ভূ-খণ্ড ব্যবহার করার সম্যখ সুযোগ বিধায় হুযি বিদ্রোহীরা যে হামলা পরিচালনা করতে পারে সেটা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এদিকে ইসরাইলকে ব্যাংকার বাস্টার বোমা সরবরাহের পরে এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকে আরও অত্যাধুনিক সব ভয়াবহ অস্ত্র দিচ্ছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তাইয়েফ এরদোগান বলেছেন ইসরাইলকে সায়েস্তা করতে যা যা প্রয়োজন এবং করনীয় তার সবই করবেব তুরস্ক। সাম্প্রতিক সময় গুলোতে তুরস্ক ইসরাইলের হামলা ও গণহত্যার বিরুদ্ধে ব্যাপক ভাবে সোচ্চার অবস্থানে। ফ্রান্স ও ইসরাইলের হামলার বিপক্ষে অবস্থান নিেেছ। ইসরাইল হিজবুল্লাহকে তাদের অন্যতম প্রতিপক্ষ ও আতঙ্কের নাম হিসেবে দেখছে। গত দুই দিন যাবৎ ইসরাইল লেবাননে হামলা চালালে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা অত্যন্ত শক্তিশালী ক্ষেপনাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইসরাইলের ভূ-খন্ডে যার প্রভাব দেশটিতে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। সর্ব শেষ খবরে জানা গেছে ইসরাইলি বাহিনী দক্ষিন গাজায় ব্যাপক ভাবে বোমা হামলা শুরু করেছে একই সাথে ট্যাংক বহর নিয়ে স্থল অভিযানে নেমেছে। এবারও ইসরাইলি হামলায় নারী ও শিশুরা মৃত্যুবরন করছে। হাসপাতাল গুলোতেও হামলা চলছে, হামলা চলছে শরনার্থী শিবির গুলোতে। গাজার চিকিৎসা ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়েছে এমন অবস্থা চলতে থাকলে ইসরাইলি হামলায় যে সতের হাজার ফিলিস্তিনির মৃত্যু ঘটেছে সে অপেক্ষা অধিকতর ইসরাইলের মৃত্যু ঘটছে।