বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে এবং উন্নতিতে নদ নদীর ভূমিকা অপরিহার্য। যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় নদীর উপকারিতার পাশাপাশি অর্থনীতিতে, জীবন যাপন তথা জীবন ধারনের ক্ষেত্রে নদীর অসামান্য অবদানের বিষয়টি অস্বীকার করার সামান্যতম সুযোগ নেই। আমাদের দেশের বাস্তবতায় নদীর অপরিহার্যতা যেমন স্বীকৃত অনুরুপ ভাবে নদ নদীর গুলোর কোন কোনটি জনজীবনের জন্য অভিশাপ বয়ে আনছে। তবে নদীর অভিশাপের ক্ষেত্র দিনে দিনে ব্যাপক হতে ব্যাপকতর বিস্তৃত ঘটছে। নদী দখল দুষণ যেমন জনজীবনকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলছে অনুরুপ ভাবে বন্যা, ঘুর্ণিঝড় সহ নানা ধরনের প্রাকৃতিক দূর্যোগ দুর্বিপাক নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে জন মানুষের জীবনহানি, সম্পদহানীর কারন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। নদী ভাঙ্গন ও জন সাধারনের নানামুখি বিপদ ডেকে আনছে। সাতক্ষীরার বাস্তবতায় প্রাকৃতিক দূর্যোগ এবং দূর্বিপাকের সময় গুলোতে নদী গুলো দৃশ্যতঃ রক্ষকরুপ ধারনকরে। সাতক্ষীরা বিশ লক্ষাধীক মানুষের প্রত্যাশা ছিল নদ নদী গুলোকে ভাঙ্গনের কবল হতে রক্ষা করা, স্থায়ী বাধ নির্মানকরা। টেকসই ভেড়িবাধই কেবল মাত্র উপকুলীয় এলাকাকে রক্ষা করবে। আশার কথা সাতক্ষীরার দ্বীপ ইউনিয়ন হিসেবে খ্যাত শ্যামনগরের গাবুরা রক্ষায় সরকার ইতিমধ্যে মেগা প্রকল্প গ্রহন করেছে। এক হাজার বিশ কোটি টাকা খরচে উক্ত মেগা প্রকল্পের কাজ অতি দ্রততার সাথে সম্পন্ন হতে চলেছে। সম্প্রতি গণপ্রজতান্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পানি সম্পদ সচিব নাজমুল আহসান গাবুরা রক্ষা (টেকসই) নির্মানাধীন ভেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেছেন। গাবুরা বাসি সঙ্গত কারনে খুশি, বারবার প্রকৃতির হিংস্রতা এই দ্বীপ ইউনিয়নের জনসাধারনকে সম্পদ হানীর মুখে রাখলে ও বাঁধটি নির্মান শেষ হলে গাবুরাবাসি পরিপূর্ণ নিরাপত্তা পাবে। গাবুরার পাশাপাশি বুড়িগোয়ালিনি কৈখালী, পদ্মপুকুর সহ অপরাপর এলাকার ভেড়িবাঁগুলো মজবুত তথা টেকসই করা সময়ের দাবী। সাতক্ষীরার বিশ লক্ষাধীক মানুষ গাবুরা রক্ষা বাঁধের জন্য বিশেষ ভাবে উদ্রগীব।