শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:২৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
উৎপাদন ব্যবস্থায় মনোযোগী এবং গতিশীলতাই শেষ কথা সরবরাহ এবং চাহিদা বাজার ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রক আশাশুনি উপজেলা সমিতি ঢাকার কমিটি গঠন প্রতাপনগরে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতা ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত বিড়ালক্ষ্মী মহিলা দাখিল মাদ্রাসায় বার্ষিক ক্রীড়া ও পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত কুল্যায় জামায়াতের কর্মী সম্মেলন বুধহাটা বাজার মুদি ব্যবসায়ী সমিতির কমিটি গঠন শ্যামনগরে কৃষকের মাঝে প্রশিক্ষণ ও কৃষি উপকরণ বিতরণ বুধহাটা এবিসি কেজি স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান খুলনায় ১৪৫ বোতল ফেনসিডিল সহ আটক এক খুলনা জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি গঠনে বটিয়াঘাটা যুবদলের শুভেচ্ছা মিছিল

উৎপাদন ব্যবস্থায় মনোযোগী এবং গতিশীলতাই শেষ কথা সরবরাহ এবং চাহিদা বাজার ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রক

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

দৃষ্টিপাত রিপোর্ট \ দেশেল অধিকাংশ মানুষই বাজার ব্যবস্থার উপর নির্ভরশীল। যে কারোর যে কোন প্রয়োজনীয় পণ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে বাজারের বিকল্প নেই। আর বাজারে যে সকল দ্রব্য বা পণ্য সামগ্রী, কৃষি বা শিল্প যাই বলি না কেন তা উৎপাদনের মাধ্যমেই অর্জিত হয় এবং উৎপাদন পরবর্তী বাজারে সরবরাহ করা হয়। বরাবরই দেখা গেছে বাজারের পণ্য সামগ্রীতে উত্তাপ ছাড়ায় আর এই উত্তাপের বিষয়ে যে কারণটি সর্বাপেক্ষা অধিক পরিমান বিবেচ্য হয় তা হলো সরবরাহের ঘাটতি অথবা সংকট সেই সাথে কৃত্রিম সংকট। বাজার ব্যবস্থাকে স্থিতিশীল করণে, খাদ্য শস্য তেকে শুরু করে রবি শস্য, মাছ, মাংস, পোল্টি্র, ডিম সর্বপরি শিল্প সামগ্রী ক্ষুদ্র, বৃহৎ, নির্মাণ সামগ্রীসহ সব ক্ষেত্রে উৎপাদনকে এগিয়ে নিতে হবে তাহলে বাজারে পণ্যের সংকট থাকবে না। কোন সামগ্রী যখন অহরহ এবং সহজ লভ্যতা থাকে, চাহিদা আর সরবরাহের ক্ষেত্রে ব্যাপক বা বৃহত্তর পরিসরে ব্যবধান না থাকে তখন সেই পণ্যের মূল্য ক্রেতা সাধারণের ক্রয় সীমার মাঝে থাকে। বাংলাদেশ বরাবরই কৃষি প্রধান দেশ। এ দেশের মাটি উর্বর আর মাটির উর্বরতাকে পুঁজি করে দেশে ব্যাপক পরিমান খাদ্য শস্য, রবি শস্য, সবজি এবং বহুবিধ ফল উৎপাদন হয়। দেশ বর্তমানে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ কিন্তু চালের মূল্য ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। দেশের বাজার ব্যবস্থায় চালের অবশ্য সামান্যতম সংকট নেই কিন্তু মূল্য বৃদ্ধির অস্বাভাবিকতা চলছেই। এক্ষুনে কৃষিতে অধিকতর মনোনিবেশ ঘটাতে হবে বেশি বেশি ধান উৎপাদন হলে সঙ্গত কারণেই চালের মূল্য উর্ধমুখিতার পরিবর্তে নিম্নমুখি হবে এবং সাধারণের সংগ্রহের ক্ষেত্রে সহজলভ্য হবে। মাছে ভাতে বাঙালী চিরায়ত এই প্রবাদটি দিনে দিনে ফ্যাকাশে এবং হলুদাভাব হতে চলেছে আর ফ্যাকাশে ও হলুদাভাব হওয়ার মোক্ষম কারণ মাছের বাজারে সর্বদা ঝাজ। বাংলাদেশ প্রতি বছর মাছ রপ্তানীর মাধ্যমে বিশ্বময় সম্মান, মর্যাদা যেমন অর্জন করছে অনুরূপ বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করছে। সা¤প্রতিক বছরগুলোতে সাদা প্রজাতির মাছ ও রপ্তানী হচ্ছে। বাজার ব্যবস্থায় মাছের মূল্য বৃদ্ধির পাগলা ঘোড়া প্রতিনিয়ত ছুটেই চলেছে। রুই, মৃগেল, কাতলার ন্যায় মিঠা পানির মাছের যেমন মূল্য বৃদ্ধির উৎসব চলছে অনুরূপভাবে লবণাক্ত পানির ট্যাংরা, পারসে, ভেটকি সহ অপরাপর মাছের মূল্য উর্ধ্বমুখি, কই, বাগুর, চ্যাং, শোলের মূল্য তো সর্বদাই আগুন ছোয়া। দেশের বেকার যুবকদের মাঝে পোল্টি্র মুরগী ব্যবস্থা বিশেষ আগ্রহের সৃষ্টি করলেও বাজারে পোল্টি্র মাংস ও ডিমের সহজলভ্যতা সুদুর পরাহত। অধিক পরিমান পোল্টি্র চাষ করলে বাজারের চাহিদা মেটানো সম্ভব। একদা মা বোনেরা হাঁস মুরগী পালন করতো, গরু ছাগল পালন করতো কিন্তু সা¤প্রতিক সময় গুলোতে তার পরিমাণ যৎ সামান্য মা বোনদের পাশাপাশি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে দেশী হাঁস মুরগী ও গরু ছাগল পালন করা সময়ের দাবী।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com