বাংলাদেশের আবহাওয়া আর ঋতু বৈচিত্রতায় বর্তমান সময়ে যে বিষয়টি বিশেষ ভাবে আলোচিত তা হলো ছয় ঋতুর ভঙ্গুরতা অর্থাৎ ছয় ঋতুর বাংলাদেশ বর্তমান সময়ে ছয় ঋতুতে পরিপূর্ণ নয়, গুটি কয়েক ঋতুতে পরিনত হয়েছে। বর্তমান সময়ে গ্রীষ্ম ঋতুর আগমনীবার্তা বা গ্রীষ্ম ঋতুতে অবস্থান করা দেশের তাপমাত্রা, আবহাওয়া, বায়ু প্রবাহ সবই গ্রীষ্মমুখি। সূর্যের প্রখর তাপ আর ভ্যাপসা গরম জনজীবনে নেমে এসেছে অস্থিরতা। বর্তমান সময়ে পবিত্র রমজান মাসের রোজার দিন গুলোতে ভ্যাপসা গরম আর সূর্যের প্রখর উত্তপ্ততা লু-হাওয়া জীবন যাত্রাকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। আমাদের দেশের ছয় ঋতুর প্রভাব বর্তমান সময়ে জনজীবনে প্রভাব ফেলছে না। চৈত্র মাসের দুপুর বেলায় আগুন হাওয়া বয় দস্যু ছেলে ঘুরে বেড়ায় পাড়াময়, সত্যিকার অর্থে বর্তমানে চৈত্র মাসের দিনে দুপুরে আগুন হাওয়া বইছে কিন্তু বাস্তবতা হলো কবির সেই দুঃসাহসি কবিতা চৈত্র মাসের আগুন হাওয়ায় দুস্য ছেলের পাড়াময় ঘুরাঘুরির চিত্র সম্পূর্ণ ভাবে বিপরীত। আমাদের দেশের বাস্তবতায় চৈত্র এবং বৈশাখ মাস তাপদাহ পরিপূর্ণ থাকলেও গত কয়েক বছর যাবৎ যে ভাবে তাপদাহ আর অতি গরম জনজীবনকে আকৃষ্ট করছে তা অতীতে এবং ইতিপূর্বেকার সময় গুলোতে হইনি। চৈত্র মাসের শেষ হতে আর মাত্র সময় কই। আজ চৈত্র মাসের শেষ দিন। আগামী কাল পহেলা বৈশাখ, আমাদের দেশের আবহাওয়া আর জলবায়ূর ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া ও বাস্তবতায় আবারও আসবে প্রথম বৈশাখ, আবারও এসেছে তাপদাহ। বিশ্ব জলবায়ূ পরিবর্তনের কারন হেতু আমাদের দেশের আবহাওয়ার গতি প্রকৃতি এবং স্বাভাবিকতা বিপন্ন হয়েছে এবং ঋতু পরিবর্তন পরিবর্ধন সহ সংযোজিত বা বিয়োজন ঘটেছে। প্রকৃতির অবরুদ্ধতা, বিষন্নতা নয় প্রকৃতিকে জোয়ারে ভাসতে হবে। জলাবয়ূ পবিরর্তনের বিষয় গুলোকে রুদ্ধ করতে হবে। আবহাওয়া আর জলবায়ূর পরিবর্তন রোধে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করতে হবে এবং তাকে কার্যকর করতে হবে।