আবু ইদ্রিস শ্যামনগর থেকে ॥ আধুনিক যুগে সভ্য সমাজে আধুনিকতার ছোঁয়া সর্বত্র বিরাজমান।মানুষের জীবনমান উন্নয়ন পরিবর্তন, পরিবর্ধন, পরিমার্জিত হয়েছে। সেখানে উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগরের কৈখালী ইউনিয়নের মানুষেমানুষের আধুনিক জীবনযাপন তো দূরের কথা সুপ্রিয় পানির তীব্র সংকট। তার উপরে অনুন্নত যাতায়াত ব্যবস্থায় মানুষের জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। জীবনের জন্য পানির বিকল্প কিছু নেই। এই সুপেয় পানি সংগ্রহের জন্য দুর দুরন্ত থেকে ছুটে আসতে একটি নির্দিষ্ট জায়গায়। এমন একটি জায়গার নাম কাঁঠামারী। এই গ্রামের ঐতিহ্যবাহী জামে মসজিদ পুকুর হতে পার্শ্ববর্তী কয়েকটি গ্রামের মুসলিম, হিন্দু সব শ্রেণীর মানুষ সুপেয় পানি সংগ্রহ করে। পানি কতটুকু নিরাপদ, বিশুদ্ধ তা দেখার সময় নেই। বাঁচতে গেলে অবশ্যই পানি সংগ্রহ করতে হবে আর এই পানি খেতেই হবে।এই পানি সংগ্রহের জন্য দীর্ঘ প্রতীক্ষা। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় এক কলস পানির জন্। পানির জন্য পোহাতে হয় বর্ণনাতীত কষ্ট। পুকুরে পিএসএফ সিস্টেম এর মাধ্যমে পানি বিশুদ্ধ করা হয়। পি এস এফ ছাকন প্রক্রিয়ায় ছোট ছোট পাথর, খোয়া আর বালুর সংমিশ্রণে পানি পরিশোধন করা হয়। এ প্রক্রিয়ায় পানি বিশুদ্ধ হওয়ার সুযোগ নেই বললেই চলে। শুধুমাত্র পানির ঘোলা অংশটুকু অর্থাৎ পানিতে কাঁদার দ্রবীভূত কিছু অংশ ছাকা সম্ভব। নামমাত্র এই বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করতে উপকূলীয় এ এলাকায় হাহাকার পড়ে। সামনে আগত পবিত্র মাহে রমজান, আসন্ন গ্রীষ্ম মৌসুম। সূর্যের প্রখর রোদে এই পুকুরের পানি কমে যাওয়ার পাশাপাশি মানুষের পর্যাপ্ত চাহিদার কারণে পানি সংকটে পড়তে হয়। পুকুরটি খননসহ বৃদ্ধি করতে পারলে মানুষের জীবন বাঁচানো অপরিহার্য মৌলিক উপাদান পানির সংকট কিছুটা কমতো। উপকূলীয় অঞ্চলে সুপেয় পানির সমস্যা সমাধানে এলাকার সচেতন মহল জেলা প্রশাসকের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি মানবিকভাবে বিবেচনা করলে মহৎ উদ্যোগটি দ্রুত সম্পন্ন করা সম্ভব।