বাংলাদেশের এক সময়ের সোঁনালী আশ খ্যাত পাটের সুনাম আর সুখ্যাতি বিষয়ে নতুন ভাবে বলার বা লেখার সুযোগ নেই। কারন অন্যতম কৃষি পন্য পাট একদা বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনে কাঙ্খিত ও যথাযথ ভূমিকা পালন করেছে। বাংলাদেশ কৃষি প্রধান হিসেবে পাট উৎপাদনের কল্যানে বিশ্বময় দেশ বিশেষ ভাবে পরিচিতি পায় এবং সম্মান অর্জন করে। বিশ্বের দেশে দেশে আমাদের দেশে উৎপাদিত পাট রপ্তানী হতো, পাটের উৎপাদন, পাটের অর্থমূল্য পাট চাষ, পাটের ব্যবহার সবশেষ বিশ্ব বাজারে পাটের রপ্তানী দৃশ্যতঃ বাংলাদেশ বিশ্বের দেশে দেশে বিশেষ সম্মান ও মর্যাদায় আসীন হয়। পাটের সুনাম আর সুখ্যাতি সময়ের ব্যবধানে আর বাস্তবতার নিরিখে অনেকটা ম্লান হয়েছে। বিশ্ব বাজারে পাটের সেই বহুল ও ব্যাপক চাহিদা নেই আধুনিক যন্ত্র, তথ্য প্রযুক্তির যুগে পাটের ব্যবহারের পরিবর্তে যন্ত্রচালিত ব্যাগের উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় পাটের চাহিদা অনেকটা তলানীতে পৌছেছে। আমাদের দেশের পাটের উৎপাদন ও গুনগত মান বিশ্বমানের সে বিষয়ে সামান্যতম সন্দেহের অবকাশ নেই কিন্তু বাস্তবতা হলো পূর্বের ন্যায় বর্তমান সময় গুলোতে পাটের চাহিদা হ্যাস পাওয়ায় ও বিশ্ব বাজারে কাঙ্খিত মুল্য না পাওয়ায় দেশের কৃষকরা দিনে দিনে পাট চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। আমাদের দেশের বাস্তবতায় তবুও থেমেনেই পাট চাষ। দেশের খেতগুলোতে কয়েকদিন আগেও ছিল পাটের উপস্থিতি, বর্তমান সময় গুলোতে পুকুরে ও জলাশয়ে পাট পঁচানো হচ্ছে বর্তমান বর্ষা মৌসুমে যথাযথ ও কাঙ্খিত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় দৃশ্যতঃ কৃষকরা পাট পঁচাতে নানা মুখি সমস্যায় পড়েছে। বর্তমান সময়ে উৎপাদিত পাট ঘরে তুলতে পাট উৎপাদনকারী কৃষকরা নানা মুখি সমস্যায় জর্জরিত। অন্যদিকে উৎপাদন খরচ পূর্বের অপেক্ষায় বেশী যে কারনে কৃষকরা দিনে দিনে পাট চাষে যেমন আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে অনুরুপ ভাবে এক সময়ের সোঁনালী আশ খ্যাত পাট তার অস্তিত্ব সংকটে পড়তে যাচ্ছে। বিশ্ব বাজারে পাটের রপ্তানী হ্যাস পেলেও পাটজাত দ্রব্য তথা পাট দিয়ে তৈরী বিভিন্ন ধরনের কুটির শিল্পের সমাহার বিশ্ব বাজারে রপ্তানী হচ্ছে। সাতক্ষীরার বাস্তবতায় পূর্বের অপেক্ষায় পাট চাষ অনেকাংশে হ্যাস পেয়েছে। তবে চাষীরা পাটচাষ হতে পুরোপুরি মুখ ফিরিয়ে নেইনি। পাটের সুদিন আবারও ফিরিয়ে আনতে হবে। আমাদের সোঁনালী আশ পাট তার অতীত ফিরে পাক এই প্রত্যাশা করি।