এফএনএস স্পোর্টস: ২০১২ সালে যখন মার্শেই থেকে চেলসিতে নাম লিখিয়েছিলেন সেসার আসপিলিকুয়েতা, খুব বেশি পরিচিতি তার ছিল না। ১১ বছর পর তিনি সেই ক্লাব ছাড়ছেন কিংবদন্তি হয়ে, বিশ্ব ফুটবলে বড় নাম পেয়ে। চেলসির রক্ষণ দুর্গের বড় ভরসা এখন পাড়ি জমালেন আতলেতিকোয়। গত কিছুদিনের ঘটনাপ্রবাহে এই দলবদল অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। আনুষ্ঠানিক ঘোষণাও চলে এলো বৃহস্পতিবার। চেলসির সঙ্গে আসপিলিকুয়েতার চুক্তির এক বছর বাকি ছিল এখনও। তাকে ছাড়ার ইচ্ছে ছিল না ক্লাবের। কিন্তু ৩৩ বছর বয়সী ডিফেন্ডার নিজেই আগ্রহী ছিলেন নতুন ঠিকানা বেছে নিতে। ইন্টার মিলানে তার যোগ দেওয়ার কথাও শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু পরিবারের চাওয়ায় ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে নিজ দেশেই ফিরে যেতে মনস্থির করেন তিনি। তার প্রতি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা থেকে চেলসি তাকে ছেড়ে দেয় ফ্রি এজেন্ট হিসেবেই। আতলেতিকোর সঙ্গে আপাতত ১ বছরের চুক্তি আসপিলিকুয়েতার। ১৩ বছর পর তিনি ফিরে গেলেন স্পেনের ফুটবলে। ২০০৬ সালে ওসাসুনার ‘বি’ দলের হয়ে তার ক্যারিয়ার শুরু। পরের বছরই জায়গা পান মূল দলে। সেখান থেকে ২০১০ সালে নাম লেখান ফ্রান্সের ক্লাব মার্শেইতে। ২০১২ সালে ৭০ লাখ পাউন্ডে তাকে দলে নেয় চেলসি। এরপর চলতে থাক ইতিহাস রচনার পালা। চেলসিতে ক্রমেই রক্ষণের নির্ভরযোগ্য সেনানী হয়ে ওঠেন তিনি। এক পর্যায়ের পান ক্লাবের নেতৃত্ব ভার। এই দীর্ঘ পথচলায় চেলসির হয়ে তিনি জিতেছেন দুটি প্রিমিয়ার লিগ, চারটি এফএ কাপ, দুটি ইউরোপা লিগ, একটি করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, লিগ কাপ, উয়েফা সুপার কাপ ও ক্লাব বিশ্ব কাপ। চেলসির বর্ষসেরা ফুটবলারের স্বীকৃতি পান ২০১৩-১৪ মৌসুমে। সব মিলিয়ে এই ক্লাবের জার্সিতে ৫০০ ম্যাচের বেশি খেলেছেন তিনি। রক্ষণ সামলানোর পাশাপাশি গোল করেছেন ১৭টি, গোলে সহায়তা করেছেন ৫৬ বার। ক্লাব চেয়ারম্যান টড বোয়েলির বিদায়ী বিবৃতিতেও ফুটে উঠল, চেলসির কতটা জুড়ে ছিলেন আসপিলিকুয়েতা। “একজন যোদ্ধা, একজন চ্যাম্পিয়ন ও ক্লাবের প্রতি নিবেদিত এক কিংবদন্তি হিসেবে চেলসিতে চিরস্থায়ী ছাপ রেখে বিদায় নিচ্ছে সেসার। এক দশকের বেশি সময় দলের ক্লাবের মানদÐ উঁচু তারে বেঁধে দিয়েছে সে এবং সবার সামনে তুলে ধরে, সাফল্য অর্জনের জন্য দিনের পর দিন কতটা কী করতে হয়।” আসপিলিকুয়েতার আগে এবার চেলসি ছেড়ে গেছেন আরও বেশ কজন। কালিদু কুলিবালি, এনগোলো কঁতে ও এদুয়ার্দ মঁদি নাম লিখিয়েছেন সৌদি আরবের ফুটবলে। এ ছাড়া কাই হাভার্টজ গেছেন আর্সেনালে, মাতেও কোভাচিচ ম্যানচেস্টার সিটিতে ও ম্যাসন মাউন্ট ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। চেলসি এখনও পর্যন্ত দলে নিয়েছে দুই ফরোয়ার্ড ক্রিস্তোফা এনকুনকু ও নিকোলাস জ্যাকসনকে।