শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৪৯ অপরাহ্ন

এবার ইসরাইল হামাস সম্মুখ যুদ্ধ: ইসরাইলের ট্যাংক ধ্বংস তিন সেনা নিহত: মধ্যপ্রাচ্যে চীনের যুদ্ধ জাহাজ

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৩

দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ গাজায় চলছে প্রচন্ড যুদ্ধ, এতোদিনে নিরীহ ফিলিস্তীনিরা নির্বিচারে কোন ধরনের প্রতিরোধ ব্যতিত নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার হচ্ছিল। বীরদর্পে ইসরাইলী বাহিনী বিমান হামলা পরিচালনা করলে হত্যাকান্ড সহ আবাস ভুমি মাটির সাথে মিশিয়ে দিচ্ছিল, হত্যাকান্ড হতে ফিলিস্তীনি নারী শিশুরাও রেহাই পাচ্ছিল না। রবিবার রাতে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলী বাহিনী সাজোয়া যান, ট্যাংক ও বুলডোজার নিয়ে প্রবেশ করে অভিযান শুরু করলে হামাস যোদ্ধাদের সাথে তুমুল যুদ্ধ বাঁধে, যোদ্ধারা অসহনীয় প্রতিরোধ গড়ে তোলে, দুই পক্ষের মধ্যে সম্মুখ যুদ্ধ শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত ইসরাইলের ট্যাংক ক্ষেপনাস্ত্রের হামলায় ধ্বংস হয় একই সময় হামাস যোদ্ধাদের হামলায় ও গুলি বর্ষনে তিন ইসরাইলী সেনার মৃত্যু ঘটে। গুরুতর আহত হয় তিন সেনা। পরিস্থিতির ভয়াবহতা উপলব্ধি করে ইসরাইলের সেনারা গাজা ভূ-খন্ড ছেড়ে ইসরাইলের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। ইসরাইলী দখলদার বাহিনী দীর্ঘদিন যাবৎ বছরের পর বছর ট্রাংক ও বুলডোজারের মাধ্যমে নিরীহ ফিলিস্তীনিদের হত্যা সহ তাদের বসতবাড়ী ধুলার সাথে মিশিয়ে দিয়ে আসছিল সেই ট্রাংক ও বুলডোজার ধ্বংস করলো হামাস যোদ্ধারা। ফিলিস্তীনি মুক্তি সংগ্রামের হামাস বারবার জানিয়ে আসছে ইসরাইলের দখলদার বাহিনীর শত হামলা ও নির্যাতনে আমরা আমাদের পবিত্রভূমি হতে বিতাড়িত হতে পারি না। যতক্ষন জীবন আছে ততোক্ষন আমরা আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিতে অবস্থান করবো। স্বাধীনতা কামী হামাস যোদ্ধাদের উচ্চারন হয় আমরা মরবো নতুবা দখলদার শত্র“ ইসরাইলীদের মারবো। ফিলিস্তীনিরা ইসরাইলের বিমান হামলার মুখে প্রতিনিয়ত মৃত্যুমুখে পতিত হচ্ছে। গত পনের দিনে পাঁচ হাজারের অধিক নিরীহ ফিলিস্তীনি নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে। ফিলিস্তীনিরা দৃশ্যতঃ জীবন মৃত্যুর মাঝে অবস্থান করছে। সমগ্র গাজা উপত্যকা যুদ্ধ ক্ষেত্র এবং বিমান হামলার উৎসব চলছে। হাসপাতাল হতে শুরু করে শরনার্থী শিবির সর্বত্রই দখলদার। পশ্চিমা বিশ্ব ইসরাইলকে পরিপূর্ণ সমর্থন দিয়ে চলেছে। ইসরাইলের অভ্যন্তরে হামাস এর পাশাপাশি হিযবুল্লাহ যোদ্ধারা হামলা পরিচালনা করছে। ইরান ইসরাইলের বিমান হামলা বন্ধের আহবান জানিয়ে বলেছে পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে যুদ্ধের ক্ষেত্র বিস্তৃত হতে পারে। ইসরাইলের বিপক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়েছে সৌদি আরব। ইসরাইলের সমর্থনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে সৈন্য সহ দুইটি অত্যাধুনিক রনতরি মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন করেছে। ইসরাইলের জন্য মার্কিন যুদ্ধ জাহাজ তথা রনতরি বিশেষ ধরনের আর্শীবাদ। ইসরাইলের হামলা এবং দখলদারিত্ব ইরান, রাশিয়া ও চীন বারবার নিন্দা জানিয়ে আসছে। গতকাল চীন মধ্যপ্রাচ্যে ছয়টি যুদ্ধ জাহাজ পাঠিয়েছে বলে আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলোতে খবর বেরিয়েছে। ইসরাইলের হামলার বিপক্ষে এবং ফিলিস্তীনিদের পক্ষে চীনের এই ছয় যুদ্ধ জাহাজ কিনা সেটা চীনের পক্ষ হতে স্পষ্ট করা হইনি। ইসরাইলের অভ্যন্তরে লেবাননের হিযবুল্লাহ যোদ্ধারা হামলা অব্যাহত রেখেছে। যতই দিন যাচ্ছে ততোই ইসরাইল ও হামাস যুদ্ধের ক্ষেত্র যেন বিস্তৃত হচ্ছে। এই যুদ্ধে বিশ্বের অপরাপর বৃহৎশক্তি গুলো জড়িয়ে পড়লে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না এমন মন্তব্য আন্তর্জাতিক সমরবিদ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com