রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:৩০ পূর্বাহ্ন

এবার গোয়া দখলে নিয়ে যা বললো আরাকান আর্মি

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী, ২০২৫

এফএনএস বিদেশ : রাখাইন রাজ্যের দক্ষিণতম প্রান্তে গোয়া শহরের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে আরাকান আর্মি। শহরটি দখলের পর এই বিবৃতিতে সশস্ত্র সংগঠনটি জানিয়েছে, তারা রাজনৈতিক উপায়ে অভ্যন্তরীণ সংঘাত সমাধানে প্রস্তুত। গতকাল বৃহস্পতিবার মিয়ামনারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০২৩ সালের নভেম্বরে রাখাইন আক্রমণ শুরুর মাত্র ১৩ মাস পর পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যটির ১৭টি টাউনশিপের মধ্যে ১৪টিই এখন আরাকান আর্মির দখলে। সংগঠনের মুখপাত্র খাইং থুখা বলেছেন, রাজনৈতিক সমস্যার রাজনৈতিক সমাধান খেঁাজা শুরু থেকেই আমাদের নীতি। আমরা এই নীতি মেনে চলছি এবং আলোচনার দরজা খোলা রাখছি। আমাদের আক্রমণ বন্ধ হবে কি না, তা মূলত শাসকগোষ্ঠী কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানায় তার উপর নির্ভর করে। ইরাবতি জানিয়েছে, আরাকান আর্মির এখন নানা ধরণের সুবিধা রয়েছে। তারা এখন রাখাইনে বেশিরভাগ চীনা প্রকল্প নিয়ন্ত্রণ করে। যার মধ্যে তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইন এবং চীনের স্থলবেষ্টিত ইউনান প্রদেশ থেকে ভারত মহাসাগরে প্রবেশাধিকারসহ বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের সুবিধা। আরাকান আর্মির মুখপাত্র সবকিছুর সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় বিদেশি বিনিয়োগের বিষয়ে আমরা ইতিমধ্যে বলেছি, আমাদের জনগণের জন্য উপকারী যে কোনো বিনিয়োগের জন্য সর্বোত্তম সুরক্ষা আমরা দেবো। আমরা প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা করবো। এই নীতিতে কোনো পরিবর্তন নেই। আরাকান আর্মি জানিয়েছে, ১১তম লাইট ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের নেতা কর্নেল থান সোয়ে উইনসহ বেশ কয়েকজন জান্তা কমান্ডার গোয়ায় লড়াইয়ে নিহত হয়েছেন। লাশের সংখ্যা, যুদ্ধবন্দিদের বিবরণ এবং জব্দ করা নথিপত্রের বরাত দিয়ে আরাকান আর্মি বলেছে, সরকার গোয়াকে রক্ষার জন্য প্রায় ১২০০ সেনা ব্যবহার করেছে। তাদের মধ্যে আনুমানিক ৭০০ জন সংঘর্ষে মারা গেছে। এ সময় বেশ কয়েকটি ক্ষতিগ্রস্ত সাঁজোয়া যান, অস্ত্র ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম জব্দ করা হয় এবং অনেক জান্তা সেনাকে আটক করা হয়। এদিকে, চীনের চাপের মুখে ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সে আরাকান আর্মির সহযোগী মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি ও তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মিও আলোচনায় বসার জন্য প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে। ইরাবতি জানিয়েছে, বেইজিং কয়েক মাস ধরে জাতিগত সশস্ত্র সংগঠনগুলোকে (ইএও) সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দিয়ে এবং সরবরাহ বন্ধ করে সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই বন্ধ করার জন্য চাপ দিয়ে আসছে। জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং বারবার শান্তি আলোচনার আহ্বান জানালেও ইএও নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোতে প্রাণঘাতী বিমান হামলার পাশাপাশি স্থল হামলা অব্যাহত রেখেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com