এফএনএস স্পোর্টস: সাকিব আল হাসানের মতে, বিপিএলের মান ধরে রাখতে না পারা, সবকিছু ঠিক ঠাক করার জন্য বাজেট না থাকা, বাজেট না পাওয়া এগুলো বিপিএলে আয়োজকদের ব্যর্থতা। তিনি মনে করেন যারা দায়িত্বে আছেন তাদের স্বদিচ্ছার অভাব আছে। বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক এবং বিপিএলে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে নেতৃত্ব দেওয়া মাশরাফি মর্তুজাও বিপিএল নিয়ে সাকিবের কণ্ঠে সুর মেলালেন। তার মতে, সাকিব যে কথাগুলো বলেছে সেগুলো আগেই চিহ্নিত। তার মতে, বিপিএলের ব্যবস্থাপনা দেখেই মনে হবে একটা হযবরল ব্যাপার। গতকাল বৃহস্পতিবার বিপিএলের শিরোপা উন্মোচন অনুষ্ঠানে মাশরাফি বলেন, ‘বিপিএলের পরিবেশ দেখলে আপনার মনে হবে একটা হযবরল ব্যাপার। কারণ এক মাঠে ছয়-সাত দল অনুশীলন করছে। খালি চোখে যে কেউ দেখলে বলবে, এক মাঠে সবকিছু হচ্ছে! একটা টুর্নামেন্ট আয়োজনের আলাদা সৌন্দর্য থাকে। হাইপ তোলার বিষয় থাকে। এই বিষয়গুলো আমরা শুরু থেকে পারিনি।’ সাকিবের মতো মাশরাফিও মনে করেন বোর্ডের স্বদিচ্ছার বিষয় আছে। লভ্যাংশ ক্লাবগুলোর সঙ্গে ভাগাভাগির বিষয় আছে। কারণ ফ্র্যাঞ্জাইজিগুলো লাভ করার জন্য আসে, ‘ক্লাবগুলোকে কমফোর্ট জোনে রাখা বোর্ডের দায়িত্ব। ফ্র্যাঞ্জাইজি মালিকগুলোর লোকসান হয়। তাহলে তো তারা থাকতে চাইবে না। একটা দল যেন লম্বা সময়ের জন্য আসে সেই ব্যবস্থা বোর্ডের করতে হবে।’ এবারের বিপিএলে বেক্সিমকো গ্র“প ফ্র্যাঞ্জাইজি নেয়নি। কুমিলা ভিক্টোরিয়ান্স বিপিএল থেকে সরে যেতে চেয়েছিল। সিলেট নাম ও মালিকানা পরিবর্তন করে বিপিএল খেলছে। তবে এবার যারা দল নিয়েছে তাদের সঙ্গে বিসিবি তিন বছরের জন্য চুক্তি করেছে। বিষয়টি ভালো বলে উলেখ করেছেন মাশরাফি, ‘অন্তত তিন বছরের জন্য দলগুলো ফ্র্যাঞ্জাইজি নিয়েছে। তারা এখন পরিকল্পনা নিয়ে পরিষ্কার। এখন দলগুলো কী চায়, বোর্ড কী চায়-বিপিএল গভর্নিং বডির সঙ্গে বসলে সমাধান হতে পারে। বিস্তর আলোচনার বিষয় আছে। সাকিব যে সমস্যার কথা বলেছে, স্পট অন (চিহ্নিত) মনে হয়েছে। এখন দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে।’