এফএনএস: এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। গতকাল রোববার সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ঘোষণার দিন থেকে শিক্ষক-কর্মচারীরা এমপিও সুবিধা প্রাপ্য হবেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, গত মার্চে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ঘোষণাটি আসার কথা ছিল। এরপর বলা হয় মে মাসে। অবশেষে জুন মাসের শুরুতে এসে এমপিওভুক্তির কথা জানালেন শিক্ষামন্ত্রী। গত বছরের ১০ অক্টোবর থেকে এমপিওভুক্তির জন্য অনলাইনে আবেদন নেওয়া শুরু হয়। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদন করার সুযোগ ছিল। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে নিম্ন মাধ্যমিক স্কুল, মাধ্যমিক স্কুল, উচ্চমাধ্যমিককলেজ ও ডিগ্রি কলেজ মিলিয়ে সাড়ে ৪ হাজারের বেশি আবেদন পড়েছে। আর কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগে প্রায় ৩ হাজার ৯০০ মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন স্তরে এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করে। আবেদন করা মোট সাড়ে ৮ হাজার প্রতিষ্ঠানের ৯০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী এমপিওভুক্তির জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আবেদন পাওয়ার পর তা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়। তারা অবকাঠামো ও জমির কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষ করেছেন। এরপর বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড থেকে আবেদন করা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর সংখ্যা, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা, ফলাফল ও স্বীকৃতি নবায়নের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। এমপিওভুক্তির শর্ত : ২০২১ সালের সংশোধিত এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী, নিম্ন মাধ্যমিক স্তরের (ষষ্ঠ-অষ্টম) বিদ্যালয় এমপিওভুক্তি পেতে শহর ও মফস্বলে নূন্যতম ছাত্র-ছাত্রী থাকতে হবে যথাক্রমে ১২০ ও ৯০ জন। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের (ষষ্ঠ-দশম) ক্ষেত্রে শহর ও মফস্বলে এই সংখ্যা যথাক্রমে ২০০ ও ১৫০। উচ্চমাধ্যমিকবিদ্যালয়ের (ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ) ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ৪২০ ও ৩২০। উচ্চমাধ্যমিককলেজে (একাদশ ও দ্বাদশ) নূন্যতম ছাত্র-ছাত্রী থাকতে হবে শহরে ১৮০ জন এবং মফস্বলে ১৪০ জন। স্নাতক (পাস) কলেজে এই সংখ্যা যথাক্রমে ৪৯০ ও ৪২৫।