স্পোর্টস ডেস্ক \ নকআউট পর্বের প্রথম ধাপে ফ্রান্সের দুই গোলদাতাই গড়েছেন রেকর্ড। ম্যাচ জুড়ে আলো ছড়ালেন কিলিয়ান এমবাপে। অলিভিয়ে জিরুদের গোলে অবদান রাখার পর তিনি নিজে করলেন চমৎকার দুটি গোল। দুজনেই গড়লেন রেকর্ড। দাপুটে পারফরম্যান্সে পোল্যান্ডকে উড়িয়ে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠল ফ্রান্স। দোহার আল থুমামা স্টেডিয়ামে রোববার শেষ ষোলোর ম্যাচে ৩-১ গোলে জিতেছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। প্রথমার্ধে জিরুদ দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে দুই গোল করেন এমবাপে। পুরো ম্যাচে নিষ্প্রভ থেকে শেষ দিকে পেনাল্টি থেকে পোল্যান্ডের হারের ব্যবধান কমানো গোলটি করেন রবের্ত লেভানদোভস্কি। নিয়মিতদের বেশিরভাগকে বিশ্রাম দিয়ে তিউনিসিয়ার বিপক্ষে ১-০ গোলে হারা ম্যাচ থেকে একাদশে ৯টি পরিবর্তন আনেন ফ্রান্স কোচ দিদিয়ে দেশম। ফ্রান্সের হয়ে সবচেয়ে বেশি ১৪২ ম্যাচ খেলার রেকর্ডে ১৯৯৮ বিশ্বকাপজয়ী লিলিয়ান থুরামের পাশে বসেন গোলরক্ষক উগো লরিস। শুরু থেকে বল দখলে এগিয়ে থাকা ফ্রান্স চতুর্থ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায়। অঁতোয়ান গ্রিজমানের কর্নারে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ডিফেন্ডার রাফায়েল ভারানের হেড লক্ষ্যে থাকেনি। ত্রয়োদশ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে জোরাল নিচু শটে চেষ্টা করেন অহেলিয়া চুয়ামেনি, ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন গোলরক্ষক ভয়চেখ স্ট্যাসনি। চার মিনিট পর উসমান দেম্বেলের শট সহজেই আটকে দেন তিনি। ১৯৮৬ সালের পর প্রথমবার বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় ওঠা পোল্যান্ড ঘর সামলাতেই ব্যস্ত থাকে বেশি। বল নিয়ে ফ্রান্সের বক্সেই যেতে পারছিল না তারা। ২১তম মিনিটে প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে রবের্ত লেভানদোভস্কির বাঁ পায়ের শট পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। ২৯তম মিনিটে বক্সে ঢুকে ডান দিক থেকে দেম্বেল পাস দেন দূরের পোস্টে, ছুটে গিয়ে স্লাইডে ফাঁকা জালে বল পাঠাতে পারেননি জিরুদ। যদিও অফসাইডের পতাকা তোলেন লাইন্সম্যান। ৩৬তম মিনিটে দুরূহ কোণ থেকে কিলিয়ান এমবাপের শট ঠেকিয়ে দেন স্ট্যাসনি। খেলার ধারার বিপরীতে ৩৮তম মিনিটে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল পোল্যান্ড। সতীর্থের কাটব্যাকে পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে পিওতর জেলিনস্কির শট পা দিয়ে ফেরান লরিস। ফিরতি বলে জেলিনস্কির আরেকটি প্রচেষ্টা ঠেকান দায়দ উপেমেকানো। এরপর ইয়াকুব কামিনিস্কির শট গোললাইন থেকে বিপদমুক্ত করেন ভারানে। ৪৪তম মিনিটে জিরুদের রেকর্ড গড়া গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। এমবাপের পাস ডি-বক্সে পেয়ে বাঁ পায়ের শটে দূরের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন এসি মিলান স্ট্রাইকার। ফ্রান্সের সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ডে থিয়েরি অঁরিকে ছাড়িয়ে এককভাবে চূড়ায় বসলেন জিরুদ। তার মোট গোল হলো ৫২টি। এর মধ্যে তিনটি এবারের বিশ্বকাপে।