এফএনএস স্পোর্টস: নারী এশিয়া কাপের শ্রেষ্ঠত্ব পুনরুদ্ধার করলো ভারত। আট আসরের মধ্যে সাতটিতে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরলো ভারতের মেয়েরা। ২০১৮ সালে সপ্তম আসরে বাংলাদেশের কাছে শিরোপা খুইয়েছিল তারা। এবার শ্রীলঙ্কা ছিল সেই জাযগায়। কিন্তু অপ্রতিরোধ্য ক্রিকেট খেলে সপ্তমবারের মতো এশিয়া কাপের ট্রফি জিতলো আকাশি-নীল জার্সিধারীরা। ট্রফি জিতে ‘ল্যাপ অব অনার’ দিয়ে সিলেটের দর্শকদেরও মাতিয়ে রাখলেন হারমানপ্রীত কৌর-স্মৃতি মান্ধানারা। গতকাল শনিবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পেয়েছে ৮ উইকেটের জয়। লঙ্কানদের ৬৫ রানে থামিয়ে দিয়ে ৫৯ বল আগেই ২ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারত। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে নারী এশিয়া কাপের ফাইনাল ম্যাচটি একতরফা ভাবেই জিতে নিয়েছে ভারত। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠা শ্রীলঙ্কা ‘আসল’ ম্যাচে এসে খেই হারিয়েছে। চাপমুক্ত হয়ে খেলার কথা জানানো লঙ্কানরা প্রথম বল থেকেই চাপে পড়ে যায়। স্টেডিয়ামে উপস্থিত হাজার দশের দর্শক ফাইনাল উপভোগ করতে এলেও তাদের আগেভাগেই ভগ্ন হৃদয়ে গ্যালারি ছাড়তে হয়েছে। যদিও দর্শকদের শেষ মুহূর্তে আনন্দ উপহার দেয় ভারতের মেয়েরা। দারুণ এক ম্যাচ জয়ের পর সেভাবে উদযাপন না করলেও গ্যালারির সামনে গিয়ে দর্শকদের সঙ্গে ট্রফি জয়ের আনন্দ ভাগাভাগি করেন ক্রিকেটাররা। ৬৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩২ রানে ওপেনার শেফালি ভার্মাকে হারায় ভারত। ৩ রান যোগ হতেই ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পাওয়া জেমিমাহ রদ্রিগেজ (২) বিদায় নেন। এরপর তৃতীয় উইকেটে স্মৃতি মান্ধানা ও হারমানপ্রীত কৌর মিলে অবিচ্ছিন্ন ৩৬ রানের জুটি গড়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন। পুরো টুর্নামেন্টে বাজে সময় কাটানো স্মৃতি পেয়েছেন হাফসেঞ্চুরির দেখা। ২৫ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় খেলেছেন ৫১* রানের বিস্ফোরক ইনিংস। হারমানপ্রীতের ব্যাট থেকে আসে ১৪ বলে ১১* রান। এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় পঞ্চমবারের মতো ফাইনাল খেলতে নামা শ্রীলঙ্কা। ভারতের বোলারদের দাপটে ৯ উইকেটে ৬৫ রান করতে পারে তারা। এর আগে ফাইনালে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড ছিল পাকিস্তানের। ২০১২ সালে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তান ৬১ রানে অলআউট হয়েছিল। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে রেনুকা সিংকে দারুণ এক চারে ভালো কিছুর সম্ভাবনা দেখান লঙ্কান অধিনায়ক চামারি আতাপাত্তু। কিন্তু পরের ওভারেই তার অপ্রত্যাশিত রান আউটে চাপে পড়ে যায় শ্রীলঙ্কা। পাওয়ার প্লেতে আসে ৫ উইকেটে ১৬ রানে। ১০ ওভার শেষে ২৬ রান তুলতে শ্রীলঙ্কা হারায় ৭ উইকেট। শেষ দিকে ওশাদি রণসিংহে ও ইনোকা রানাবীরার দৃঢ়তায় কোনোরকমে ৬৫ রান তুলতে পারে তারা। সর্বোচ্চ ১৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন ইনোকা। ১৩ রান করে আউট হন ওশাদি। বাকিদের কেউই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট নেন রেনুকা। ৫ রান খরচায় তার শিকার ৩ উইকেট। ২ উইকেট করে নেন রাজেশ্বরি ও স্নেহ রানা।