এফএনএস: রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গত ২৪ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত আয়োজন করা হয় ১০ম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা। এসএমই ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, এবারের মেলায় ১২ কোটি ১৫ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া বিক্রেতারা ১৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকা মূল্যের পণ্য ডেলিভারির অর্ডার পেয়েছেন। এর আগে নবম জাতীয় এসএমই মেলায় পণ্য বিক্রি হয়েছে ১০ কোটি টাকার। আর বিক্রেতারা পণ্য সরবরাহের ক্রয়াদেশ পেয়েছিলেন ১৭ কোটি টাকার। সেই হিসাবে এ বছর বিক্রি বেড়েছে ২ কোটি ১৫ লাখ টাকা। আর ক্রয়াদেশ বেড়েছে ২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। এ ব্যাপারে এসএমইএ ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মফিজুর রহমান বলেন, অন্যান্য বছরের মতো এবারও মেলা থেকে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। বাজারে এখন সব জিনিসের দাম বেশি। এরপরও এ মেলায় প্রচুর বিক্রি হয়েছে। ক্রয়াদেশও পাওয়া গেছে গতবারের তুলনায় বেশি। এবার সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে চামড়াজাতীয় পণ্য। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিক্রি হয়েছে পাটজাতীয় পণ্য। এসএমই ফাউন্ডেশন জানায়, উদ্যোক্তাদের অবদানের স্বীকৃতি দিতে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে ছয়জন উদ্যোক্তাকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার’ দেওয়া হয়েছে। মেলায় উদ্যোক্তাদের জন্য ৩৪০টি প্রতিষ্ঠানের ৩৫৯টি স্টলের ব্যবস্থা ছিল। অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে ছিল ৬০ শতাংশ নারী এবং ৪০ শতাংশ পুরুষ। মেলায় অংশ নেয় ফ্যাশন ডিজাইন খাতের সবচেয়ে বেশি ১৪৪টি প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া খাদ্য ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ৪২টি, হস্ত ও কারুশিল্পের ৪১টি, চামড়াজাত পণ্য খাতের ৩৫টি, পাটজাত পণ্যের ৩৬টি, আইসিটি পণ্য-সেবার ৮টি, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যের ৫টি, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস খাতের ৩টি এবং প্লাস্টিক পণ্যের ৫টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। ১০ দিনের মেলার পাশাপাশি ২৭, ২৮ ও ২৯ নভেম্বর এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ অর্থায়ন, নারী-উদ্যোক্তা, প্রযুক্তি, আইসিটি ও ক্লাস্টার উন্নয়নের ওপর আয়োজন করা হয় ৫টি সেমিনার।