সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৪:১০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
উপজেলা পরিষদের সেবা পৌঁছে দেবো জনগণের দোরগোড়ায়: মশিউর রহমান বাবু হাসছে সাতক্ষীরার আম বাজার ঃ চলছে কুলষিত করার হীনচেষ্টা ইসরাইল গাজা যুদ্ধে হারতে চলেছে ঃ প্রবল প্রতিরোধ হামলায় হামাস ভোমরায় বিজিবির অভিযানে স্বর্ণসহ আটক ১ গোদাঘাটা বারাকাতিয়ায় দাখিল মাদ্রাসায় চক্ষু শিবির উদ্বোধন কালিগঞ্জের উপজেলা লিজেন্ট ক্রিকেট দল বনাম বিএইচসি যুব সংঘ ক্রিকেট একাদশের মধ্যে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ কালিগঞ্জে খুদে ডাক্তার কর্তৃক স্বাস্থ্য পরীক্ষা পরিদর্শন দক্ষিণ শ্রীপুরে কৃষক স্কুলের বাজার ভ্রমণ বিষ্ণুপুর ভ্যাপসা গরমে তালের শাঁসের চাহিদা বাড়ছে সাতক্ষীরার মেডিকেল সামনে সড়কে বিঘার চিত্র মোবাইল কোর্ট

ঐতিহ্যবাহী বাসা তৈরির সুনিপূণ কারিগর বাবুই পাখি হারিয়ে যাচ্ছে

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শনিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

জি,এম,আমিনুর রহমান রমজাননগর শ্যামনগর থেকে: সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা গ্রামবাংলা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে বুদ্ধিমান ও শিল্পী বাবুই পাখি। বাবুই পাখি গ্রামবাংলার ছোট্র একটি শিল্পীর নাম। এ পাখি যেমন বুদ্ধিমান তেমনি শিল্পির মতো অপরুপ তার কারুকার্য। বাবুই পাখি দেখতে অনেকটা চুড়ুই পাখির মত। তবে আকারে একটু বড়। এরা ঝাঁক বেঁধে তাল গাছের চুড়ায় বসবাস করে, এরা খুব পরিশ্রমী পাখি। গ্রাম গঞ্জে এই বাবুই পাখি আর আগের মত চোখে পড়ে না। রজনীকান্তের কবিতা “বাবুই পাখিরে ডাকি, বলিছে চুড়াই, পাকা হোক, তবু ভাই, পরের ও বাসা, নিজ হাতে গড়া মোর কাঁচা ঘর, খাসা।” যার ফলে এখন আর আগের মতো এই পাখি দেখা যায় না। এক শ্রেনীর লোক শিকার করছে বাবুই পাখি। অন্যদিকে খাঁচায় বন্দি করে বেচা কেনাও হচ্ছে। এই বাবুই পাখির বাসা গ্রাম গঞ্জের একটি ঐতিহ্যবাহী দৃশ্য। তাল গাছের পাতার নিচের অংশে বাবুই পাখি বাসা তৈরী করে। বাবুই পাখিদের বাসা বানানোর নির্মাণ শৈলী, কারিগরী দক্ষতা দেখে আধুনিক যুগের প্রকৌশলীদেরও ভাবিয়ে তোলে। তাল পাতার ছেড়া তন্তু দিয়ে তারা বাসা বাঁধে। পাতা ছিড়ে এনে সুখ্য ভাবে ঠোঁট দিয়ে তা গাঁথুনী করে বাসা তৈরী করে, তাই এর নাম শিল্পী বাবুই পাখি। ঝড় বৃষ্টিতেও সেই বাসা ভেঙ্গে পড়ে না। তাল পাতার বাসায় কোন ভাবেই জল ঢোকে না। এ বাসায় প্রবেশ ও বাহির হওয়ার জন্য রয়েছে একাধিক দরজা। এ এক অদ্ভুত দৃশ্য। অন্ধকার ঘরকে কিভাবে আলোকিত করতে হয় তাও বাবুই পাখিরা ভালো ভাবেই জানে। বাবুই পাখির বাসার ভিতর আধুনিক যুগের মত লাইটের ব্যবস্থা আছে। বাসার ভেতর একটু গোবর রাখা হয়, তার ভেতর জোনাকি পোকার মাথাটি ঢুকিয়ে দেয়। ফলে জোনাকির আলোতে বাসা আলোকিত হয়ে উঠে। পরিবেশের বিপর্যয় আর নগরায়নের কারণে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে ফুটিয়ে তোলা পাখি আজ বিলুপ্তের পথে। তাছাড়া ক্ষেত খামারে বিভিন্ন রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহারের ফলে বাবুই পাখি রহস্যজনকভাবে মারা যাচ্ছে। তাছাড়া ছোট শিশুদের আগ্রহজনিত কারণে তারা বাবুই পাখির বাসা গুলো ভেঙে দিচ্ছে ঢিলা ছুড়ে। এখন সময়ের দাবি প্রকৃতিপ্রেমী পাখি বাবুইকে টিকেয়ে রাখা সকলের নৈতিক দায়িত্ব। ঐতিহ্যবাহী পাখির বাসা বানানোর এই কারিগরকে ফিরিয়ে আনতে সকলকে এক সঙ্গে চেষ্টা করতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com