মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:২৫ পূর্বাহ্ন

ওএমএসে চালের বরাদ্দ বাড়াচ্ছে সরকার

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় রবিবার, ২৯ মে, ২০২২

এফএনএস : আগামী অর্থবছরে নি¤œ আয়ের মানুষের জন্য খোলা বাজারে বিক্রি বা ওএমএসে চালের বরাদ্দ বাড়াতে যাচ্ছে সরকার। মূলত নি¤œ আয়ের মানুষের খাদ্য বাবদ খরচ কমানোর লক্ষ্যেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। চলতি অর্থবছরের তুলনায় আগামী অর্থবছরে কমপক্ষে এক লাখ টন চালের সরবরাহ বাড়ানোর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর ওএমএসে চলতি অর্থবছরে সমপরিমাণ গমই আগামী অর্থবছরে বরাদ্দ রাখা হবে। তবে সহজে গম সংগ্রহ করা সম্ভব হলে গম সরবরাহও বাড়ানো হতে পারে। খাদ্য মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, চলতি অর্থবছরে বাজেটে ওএমএসে যে বরাদ্দ ছিল তার চেয়ে এক লাখ টন চাল ও ৫০ হাজার টন গম বেশি সরবরাহ করা হচ্ছে। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে ওএমএস খাতে ৪ লাখ ৭০ হাজার টন চাল ও ৪ লাখ ৬৪ হাজার টন গমের বরাদ্দ ছিল। কিন্তু সম্প্রতি চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় ওএমএসের দোকানে ক্রেতার সংখ্যাও বেড়েছে। ফলে নির্ধারিত বরাদ্দ দিয়ে পুরো অর্থবছরের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। গত ১২ মে পর্যন্ত ওএমএসে ৪ লাখ ৩৪ হাজার ৫৭৮ টন চাল এবং ৪ লাখ ১৮ হাজার ৭২২ টন গম সরবরাহ করা হয়েছে। ওএমএসে প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা ও প্রতি কেজি আটা ১৮ টাকা দরে বিক্রি হয়। আর একজন ক্রেতা দৈনিক সর্বোচ্চ ৫ কেজি করে কিনতে পারে। বর্তমানে ঢাকা মহানগরের বাজারগুলোতে স্বর্ণা, চায়নার মতো মোটা চাল গত বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ বেশি এবং প্রতি কেজি খোলা আটা আগের বছরের এই সময়ের তুলনায় ৪৫ শতাংশ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। দেশের অন্যান্য বাজারেও মোটামুটি একই রকম দরে চাল ও আটা বেচাকেনা হচ্ছে। এবার বোরোর ভরা মৌসুমেও চালের দাম বেড়েছে। সূত্র জানায়, ন্যায্যমূল্য, কাবিখা, ভিজিএফ, ভিজিডি, জিআর, ইপিসহ খাদ্যবান্ধব বিভিন্ন কর্মসূচিতে সরকার নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ভর্তুকি দিয়ে চাল ও আটা সরবরাহ করে থাকে। ন্যায্যমূল্য কর্মসূচির মাধ্যমে সারাদেশে ৫০ লাখ পরিবারকে ১০ টাকা কেজি দরে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেয়া হয়। খাদ্য অধিদপ্তর বছরে ৫ মাস এ ধরনের চাল সরবরাহ করে। সেজন্য প্রয়োজন হয় ৭ লাখ ৫৫ হাজার টন চাল। আগামী অর্থবছরের বাজেটেও এ বরাদ্দ অব্যাহত রাখা হচ্ছে। বিদ্যমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে অর্থনীতিবিদরা এই কর্মসূচিতে বরাদ্দ ও সুবিধাভোগী বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন। ফলে খাদ্য সহায়তা খাতে ভর্তুকি বাবদ ১৯ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ রাখা হতে পারে। চলতি অর্থবছরে এ খাতে ১৮ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। সূত্র আরো জানায়, খাদ্যশস্যের বাজারের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা রোধ করে নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীকে মূল্য সহায়তা দেয়া এবং বাজারদর স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে সরকার ওএমএস কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। সারাদেশে ডিলারের নির্দিষ্ট দোকান ও ট্রাকে করে ওএমএসের চাল ও আটা বিক্রি করা হয়। শনিবার বাদে বাকি দিনগুলোতে ওএমএসের বেচাকেনা চলে। একজন ডিলার প্রতিদিনের জন্য ২ টন চাল ও ১ টন আটা বরাদ্দ পায়। তার বাইরে টিসিবির ভোজ্যতেল, চিনি, পেঁয়াজসহ কয়েকটি নিত্যপণ্য বাজারের চেয়ে কম দামে বিক্রি করে সরকার।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com