বিগ ব্যাশের শিরোপা জিতেছে হোবার্ট হারিকেন্স। ফাইনালে সিডনি থান্ডার্সকে উড়িয়ে দিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতেছে হোবার্ট। ফাইনালে মাত্র ৩৯ বলে সেঞ্চুরি করে দলটিকে দাপুটে জয় এনে দিয়েছেন মাইকেল ওয়েন। এর আগে জেসন সাঙ্ঘা, ডেভিড ওয়ার্নারদের ব্যাটে ভর করে ১৮২ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় সিডনি থান্ডার্স। ফাইনালে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় হোবার্ট হারিসকেন্স। দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও জেসন সাঙ্ঘার ব্যাটে দারুণ শুরু পায় সিডনি। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন তারা। তাদের ৯৭ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ওয়ার্নারের আউটে। ৩২ বলে পাঁচটি চার ও এক ছক্কায় ৪৮ রান করেন সিডনি থান্ডার্সের অধিনায়ক। এরপর আর বড় কোন ইনিংস খেলতে পারেননি সিডনি থান্ডার্সের কোন ব্যাটার। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে ফিফটি তুলে নেন জেসন সাঙ্ঘা। ছোট ছোট কার্যকরী ইনিংস খেলেন স্যাম বিলিংস, অলিভার ডেভিসরা। এর মাঝে নাথান এলিসের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন ৪২ বলে পাঁচটি চার ও দুই ছক্কায় ৬৭ রান করা জেসন সাঙ্ঘা। শেষদিকে ৯ বলে ১৬ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন ক্রিস গ্রিন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেটে ১৮২ রানের সংগ্রহ পায় সিডনি থান্ডার্স। তিনটি করে উইকেট শিকার করেন রাইলি মেরেডিথ ও নাথান এলিস। জবাব দিতে নেমে ঝড়ো শুরু করেন হোবার্ট হারিকেন্স। প্রথম ওভারেই ২৩ রান তোলে তারা। সিডনি থান্ডার্সের বোলারদের উপর তান্ডব চালান মাইকেল ওয়েন। একের পর এক চার ছক্কা হাঁকাতে থাকেন তিনি। ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই ফিফটির দেখা পান ওয়েন। মাত্র ১৬ বলে ফিফটি করেন তিনি, পাওয়ার প্লের ৪ ওভারে হোবার্টের রান দাঁড়ায় ৭৪। ১০৯ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ক্যালেব জিয়েলের আউটে। এরপর দ্রুতই নিখিল চৌধুরী সাজঘরে ফেরেন। তবে টর্নেডো ব্যাটিংয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন মাইকেল ওয়েন। ইনিংসের ১০ম ওভারে মাত্র ৩৯ বলে সেঞ্চুরি করেন তিনি। তবে সেঞ্চুরি করে বেশিদূর এগোতে পারেননি তিনি। ৪২ বলে ১০৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এতে অবশ্য জয় পেতে সমস্যা হয়নি হোবার্টের। বাকি কাজটুকু সারেন ম্যাথু ওয়েড ও বেন ম্যাকডারমট। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটের বড় জয় পায় হোবার্ট হারিকেন্স।