এফএনএস: ওষুধের দাম বাড়াতে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে চাপ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ। গতকাল বুধবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের আয়োজনে বাংলাদেশ ন্যাশনাল হেলথ অ্যাকাউন্টসের (বিএনএইচএ) ষষ্ঠ রাউন্ডের চ‚ড়ান্ত ফলাফল অবহিতকরণ কর্মশালায় এ কথা জানান তিনি। মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে ডলার সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে কাঁচামাল আমদানিতে সমস্যা হচ্ছে। তাই ওষুধের দাম বাড়ানো নিয়ে চাপ রয়েছে। এজন্য চিকিৎসকদের এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, দেশের ৯৮ শতাংশ ওষুধ আমরা তৈরি করি। দুই শতাংশ ওষুধ আমদানি করা হয়। তাই সমস্যা হওয়ার কথা নয়। চাপ সামাল দিতে সরকারের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে কথা হচ্ছে। একই সঙ্গে সংকট মোকাবিলায় বিভিন্ন কোম্পানি থেকে চিকিৎসকদের নেওয়া বিভিন্ন উপহার কমিয়ে দিতে হবে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার জানান, ওষুধের দাম বাড়ার পেছনে বড় একটি কারণ এর মার্কেটিং প্রক্রিয়া। চিকিৎসকদের বিভিন্ন উপহার দেওয়া, প্রচারের জন্য মোড়ক চাকচিক্য করাসহ নানা কারণে দাম বেড়ে যায় ওষুধের। তাই মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে নিয়ম মানা হচ্ছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা দরকার।